৩৭০০ কোটি টাকায় ৮ লাখ শৌচাগার হতদরিদ্রদের
মোট ৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৯টি শৌচাগার সরকারি খরচেই নির্মাণ করা হবে। আর এতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।হতদরিদ্রদের জন্য সারা দেশে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৭টি স্থাপন করা হবে। এছাড়া দুর্গম ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় স্থাপন করা হবে ৮০ হাজার ৬৬২টি শৌচাগার।‘গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় প্রকল্পটি জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪৬০টি টাইপ-১ পাবলিক টয়লেট, ২ হাজার ৪৬০টি বি টাইপ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কাজ, বিভিন্ন ধরনের কমিউনিটি শৌচাগার ও পাবলিক টয়লেট মেরামত ও সংস্কার করা হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান সকালের সময়কে বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি এখনো একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। দেশের হতদরিদ্র মানুষ যাতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন সুবিধা পান সেজন্যই এ প্রকল্প।
প্রকল্পটির আওতায় দরিদ্র পরিবারের জন্য ৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৭টি উন্নত শৌচাগার দেওয়া হবে। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এখানে প্রতিটি শৌচাগার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ বা ফেরিঘাট, হাট-বাজার, বিনোদন এলাকায় ২৪৬০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। যার প্রতিটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ টাকা করে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ২৪৬০ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে, যার প্রতিটির খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগপ্রবণ দুর্গম এলাকার জন্য ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে। সেখানে বিশেষ ধরনের শৌচাগার তৈরি করতে হবে। যেমন, হাওড় অঞ্চলে পানির স্তর ওপরে। স্বাভাবিক শৌচাগার সেখানে ডুবে যাবে, আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করবে। তাই সরকার স্বীকৃত দুর্গম এলাকায় বিশেষ শৌচাগার তৈরি করতে ব্যয় কিছুটা বেশি পড়বে।
দুর্যোগপ্রবণ ও দুর্গম এলাকায় নিরাপদ স্যানিটেশন (জলবায়ু পরিবর্তন সহনীয়) ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দুর্যোগকালে জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। গ্রামের মানুষকে যদি নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন সুবিধা দিতে পারি, তবে তারা আরো বেশি করে কাজ কর্ম করতে পারবে। গ্রামের মানুষ সুস্থ্য ও সবল থাকলে দেশের উন্নয়নের গতি আরো বাড়বে। দেশের মানুষকে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন দিতে আমরা নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দিকে স্যানিটেশন পরিস্থিতি বিশেষ করে গ্রামীণ স্যানিটেশন পরিস্থিতি ও কভারেজ ছিল খুবই শোচনীয়। স্যানিটেশন কভারেজ নিরূপনের জন্য ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে একটি জাতীয় ভিত্তি জরিপ করা হয়, যেখানে দেখা যায়, দেশের প্রায় ২১ মিলিয়ন পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার করে, ২৫ শতাংশ অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করে এবং ৪২ শতাংশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে। ২০০৩ সালের জাতীয় স্যানিটেশন প্রচারাভিযান শুরুর পর স্যানিটেশন প্রসারের লক্ষ্যে সরকার অনেকগুলো নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়ন ও ১০০ ভাগ স্যানিটেশন কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (১ম, ২য় ও এ পর্যায়) উল্লেযোগ্য।
জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (১ম পর্যায়) জুলাই ২০০৪ থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের কভারেজ ৬ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর জাতীয় সানিটেশন প্রকল্প (২য় পর্যায়) জুলাই ২০০৪ থেকে জুন ২০১৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের কভারেজ ৪ শতাংশে দাঁড়ায়। সর্বশেষে জাতীয় স্যানিটেশন বাস্তবায়নে উন্মুক্ত স্থানে মণত্যাগের কভারেজ পায় শূণ্যের কোটায়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের মোট দরিদ্র জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনের আওতায় আসবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশন কভারেজ ৪২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ শতাংশ হবে।
এমএসএম / জামান
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
Link Copied