ঢাকা বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জীবিকার তাগিদে !!


তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ photo তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ
প্রকাশিত: ৯-৮-২০২২ দুপুর ১০:৫১

আমাদের সমাজের সামাজিক   স্তর বিন্যাসের কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিনিয়ত ঘাত প্রতিঘাত পোহাতে হয় ।বিশেষ করে নিম্ন মদ্ধবিত্ত পরিবার গুলো অনেক কষ্ট করে দিনযাপন করে।হতদরিদ্র মানুষরা যে কারো কাছে হাত পেতে চলতে পারে কিন্তু নিম্ন মদ্ধবিত্ত বা মদ্ধবিত্ত পরিবারের লোকজন অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়লে চক্ষু লজ্জার ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে পারে না।۔যেমন করোনাকালীন সময়ে আমরা এর প্রভাব বুজতে পেরেছি।একটি নিম্ন মদ্ধবিত্ত পরিবারের যদি একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি থাকে তাহলে একার পক্ষে সেই পরিবারের লোকজন এর ভরণপোষণ চালানো অনেক   কঠিন হয়ে পরে।

একটি হিসাব করে দেখুন বাজারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের মাঝে এর বিস্তর প্রভাব পড়েছে।দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকি কিন্তু মানুষের বেতন কিন্তু বাড়েনি।সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে অন্যান্য দ্রব্য মূল্যের দামও বেড়েছে তবুও মানুষ জীবন সংগ্রাম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য।একটা সময় ছিল আশি/নব্বই দশকে মানুষ তিন হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে আরামে সাড়া মাস পার করে দিত কিন্তু এখন পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েও একটি পরিবারের ভরণ পোষণ ঠিকভাবে হচ্ছে না ,ঠিক অন্য দিকে যারা উচ্যবিত্ত তাদের অর্থ সম্পত্তির পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে۔।এক কথায় বলতে পারি গরিবরা দিন দিন গরিব হচ্ছে, ধনীরা আরো বেশি ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হচ্ছে।ঢাকা শহরের এক রাতে কেউ উড়াচ্ছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আর কেউ বা রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে রাত পার করছে।

আমরা মানুষ!! আমরা নাকি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব!! আজ কোথায় আমাদের মানবতা !!আজ কোথায় আমাদের বিবেক নামক আদালত !!আমরা আমাদের মনের ভিতর থাকা পশুকে লালন করে চলেছি প্রতিক্ষণ।আমরা প্রায় বলি দেশকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে কিন্তু আমরা কি কখনো সেই সব সন্ত্রাসের সন্ত্রাসী হওয়ার আড়ালের গল্প জানি !! ইদানিং অনেক ধরণের প্রতারণার কার্যক্রম চলছে অনলাইন মাদ্ধম গুলোতে শিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া যা পরিচালনা করা সম্ভব নয় কিন্তু কেন তারা শিক্ষিত হয়েও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে !! আমরা۔ কি কখনো ভেবেছি ? উত্তর হবে অভাব।

একজন মানুষ অভাবে পরেই চুরি ডাকাতি করে ,একজন মানুষ চাকরির অভাবে পরেই প্রতারণার আশ্রয় নেয় ۔আমাদের দেশে সরকারি চাকুরী তো এক সোনার হরিণ !!আর বেসরকারি ক্ষেত্রে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয় এবং যোগ্যতা থাকার  পরও অনেক সময় ভাগ্যের কাছে হেরে যেতে হয়।একটি দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র সমান ভাবে রাখার জন্য কর্মসংস্থান এর কোনো۔ বিকল্প নেই।প্রতি۔বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করে বের হচ্ছে কিন্তু কজনই  বা ভালো চাকুরী পাচ্ছে!۔ যাদের টাকা আছে তারা উজ্জ্বল۔ ভবিষ্যতের জন্য বাহিরের দেশে পারি জমাচ্ছে কিন্তু যাদের টাকা নেই তাদের কথা কজনই  বা ভাবে! তাই জন মত  সবার কাছেই আবেদন এই দেশ আমার আপনার।আমাদের একটাই চাওয়া উচিত আমাদের দেশের প্রতিটি পরিবার সচ্ছল ভাবে বাঁচুক এবং কোনো মায়ের সন্তান অভাবের কারণে খারাপ না হয়ে যাক।এর জন্য সমাজের শিল্পপতি থেকে  শুরু যারা আছে সবাইকে এগিয়ে আস্তে হবে সাধারণ মানুষের পাশে।আমরা যদি সরকারকে না সহযোগিতা করি তাহলে আমাদের দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়।

 

এমএসএম / এমএসএম

রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও একুশে বইমেলা

বিশ্ব জলাভূমি দিবস: টিকে থাকার জন্য জলাভূমি সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি

দেবী সরস্বতী: বিদ্যা, জ্ঞান, ও শুভ্রতার বিশুদ্ধ প্রতীক

স্বাস্থ্যসেবায় বায়োকেমিস্টদের অবদান: এক অপরিহার্য দৃষ্টিভঙ্গি

আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা

কন কনে শীতে অযত্নে -অবহেলায় কাটছে পথশিশুদের জীবন

দাবি আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৫: স্থায়ী শান্তির জন্য শেখা

জেন-জির হাত ধরে আগামীর নেতৃত্ব: সম্ভাবনা ও করণীয়

ব্রিটেনের রাজনীতিতে ছোট ভুলেও কড়া শাস্তি

মুক্ত বাতাসে কতকাল ঘুরে বেড়াবে সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা?

প্লাস্টিকের বোতল স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করছে

নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেই কোন সুসংবাদ