৩০০০ বিঘার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় কৃষকের স্বস্তি
কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষ অবশেষে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে চলেছে। উপজেলার সর্ববৃহৎ এই বিলে প্রায় তিন হাজার বিঘা কৃষিজমি প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় ফসলহানিসহ মানুষের চলাচল ও বসবাসে প্রতিবন্ধকতা হয়ে আসছিল। অবশেষে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-মামুন লাভলু ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দাবির পরিপেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর আর্থিক সহযোগিতায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে বিল এলাকার বড় ব্রিজসংলগ্ন স্থানে সাকবাড়িয়া খালে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন। ফলে বৃহত্তর এই বিলটিতে চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা নির্বিঘ্নে চাষাবাদসহ চলাচলে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া এখানকার শত শত কৃষকের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের খালগুলো সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে অবৈধ মৎস্য ঘের করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখায় দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষকরা ফসল থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ ছিল নাভ অবশেষে গতকাল ৫ জুলাই সোমবার বেলা ১১টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শাকবাড়িয়া খালের বড় ব্রিজ নামক স্থানে বিশালাকৃতির দুটি পাইপ বসানো হয়েছে। এ সময় ৭ গ্রামের শত শত কৃষক ও সাধারণ মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাইপ বসানোর কাজে অংশ নিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইউনিয়নের মহারাজপুর, মঠবাড়ী, কালনা, শ্রীরামপুর, অন্তাবুনিয়া, দেয়াড়া ও খড়িয়া গ্রামের মানুষ অতিবৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কারণ ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা পরবর্তী শাকবাড়য়িা খালের বড় ব্রিজটি ধসে পড়ায় এলাকাবাসী নিজ নিজ এলাকা মুক্ত রাখতে সেখানে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে দীর্ঘদিন উল্লিখিত গ্রামের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি হওয়ায় ধান ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিগত কয়েক বছর যাবৎ আন্দোলন করে এলেও দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবির মুখে ইউপি চেয়ারম্যান সংসদ সদস্যর সাথে দ্রুত আলোচনা করে সোমবার কাজটি করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংসদ উক্ত কাজের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-মামুন লাভলু বলেন, আইলা পরবর্তী বিকল্প পথে পানি নিস্কাশন হতে দীর্ঘ সময় লাগত। শাকবাড়িয়া খালের বিধ্বস্ত বড় ব্রিজের স্থানে অস্থায়ী বাঁধ আছে এবং ৪টি ইউনিয়নের মানুষ ও প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করায় বাঁধ কাটা সম্ভব হয়নি। এছাড়া উক্ত স্থানে আবারো বড় ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হলেও ঠিকাদার কাজ না করায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সাংসদের নির্দেশে অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাইপ বসানো হলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ দ্রুত পানি থেকে মুক্ত হবে।
পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-মামুন লাভলু, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সাহেবালি খোকন, সমাজসেবক ও যুবলীগ নেতা অ্যাড. আরাফাত হোসেন ও মো জাকারিয়া হোসেন।
এমএসএম / জামান
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা
মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত
চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান
গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান
দুমকিতে সশস্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দুমকিতে গাভী লুটপাটের অভিযোগ 'মিথ্যা', দাবি করে সংবাদ সম্মেলন
ভূমিকম্পকে আল্লাহর সতর্কবার্তা হিসেবে দেখার আহ্বান – মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব (বড় হুজুর, কাছাইট)
সিংগাইরে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা
Link Copied