ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা


পল্লব রানা পারভেজ photo পল্লব রানা পারভেজ
প্রকাশিত: ২৫-১২-২০২২ দুপুর ৩:৪১

৫২'র ভাষা আন্দোলন , ৫৪'র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, পঞ্চাশের দশকের শেষ পর্যায়ে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২'র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬'র ৬ দফা, ৬৯'র আসাদের শার্ট, ৭০'র সাধারণ নির্বাচন, ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধ সকল আন্দোলন এবং দ্রোহের একত্রিত উচ্চারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।  

সংগ্রামকে ধারণ করে মুক্তির প্রয়াসে ঐতিহাসিক এক সন্ধিক্ষণে পৌঁছায় শত বছরের নিষ্পেষিত বাঙালি জাতি৷ দিনটি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেন, ক্ষমতাসীন অগণতান্ত্রিক মুসলিম লীগকে প্রত্যাখ্যান করে জন্ম নেয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। কেক কেটে নয় বরং গণমানুষকে শোষণ থেকে মুক্তির অঙ্গীকার নিয়েই যাত্রা শুরু বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো ও ঐতিহাসিক এই বৃহৎ গণসংগঠন।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পথচলা, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকেন্দ্রিক চেতনার দূরদর্শী বাস্তবায়নে যে দলটি সর্বদা অগ্রগামী ছিল তা হলো এখনকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫-এর কালো অধ্যায়ের পর এই সংগঠনকে টুকরো টুকরো করে ফেলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েও সফল হতে পারেনি স্বার্থানেষী শাসকবর্গ৷ মানুষের ভালোবাসা ও ভালো লাগায় টিকে ছিল এই সংগঠন। এই সংগঠন দমে যায়নি, ফিরেছে পাহাড়ের মতো শক্ত হয়ে, গণমানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে,তরুণ প্রজন্মের আলোর পথে ধাবিত করতে  ধারাবাহিকতাময় সেই পথচলা আজও বহমান৷ যদিও সামনে দীর্ঘপথ!বাস্তবায়ন করা হয়েছে নানা প্রনোদনা প্যাকেজের। ফলে মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে ভারতে কেউ পিছনে ফেলেছে৷ মৌলিক চাহিদা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের মতো পূরণ করার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে শেখ হাসিনা দিয়েছেন বিশেষ নজর৷

প্রবহমান পদ্মার বুকে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতু প্রমাণ করে বাংলাদেশ আজ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় বরং আগামী দিনের এক শক্তি।পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,  মহেশখালী মাতারবাড়ী,পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, কর্নফুলী টানেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।  

প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস,গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রপ্তানী আয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি যা বদলে দিয়েছে দেশের অর্থনীতি।  

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে মানা হয় দক্ষিণ এশিয়ার ইমারজিং টাইগার হিসেবে৷ যার পিছনে নিঃসন্দেহে রয়েছে শেখ হাসিনার সদূরপ্রসারী নেতৃত্ব এবং জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থন।

দেশ, জাতির উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এটা দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে। তবে, খুব ভালোর মাঝে একটু হলেও যেন থাকে নেতিবাচকতার ছোঁয়া। অর্থলোভী, সুযোগ সন্ধানীরা থাকে অপেক্ষায় নিজ আখের গোছানোর প্রয়োজনে।

ক্ষমতাকালীন সবচেয়ে দুরাবস্থা আওয়ামী লীগের জন্য অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই এ নেতিবাচকতা বিরাজমান। সহযোগী সংগঠনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এ দুরাবস্থার ছাপ। কারণ হিসেবে বলা যায়, হাজারো সুসময়ের কোকিল নিজের স্বার্থে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বির্নিমাণের সাংগঠনিক কারিগর আওয়ামী লীগের পতাকাতলে।

এসব অনুপ্রবেশকারীরা সুকৌশলে তৈরি করছে ‘মাই ম্যান সংস্কৃতি’। সাংগঠনিক কমিটিগুলোতে অপেশাদার, সাংগঠনিক নিয়ম-শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে জড়িত লোকজনকে স্থান দেয়া হচ্ছে। যারা প্রতিনিয়ত অনৈতিক কাজ করে চলছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে।

এছাড়া, কমিটিগুলোর গতিশীলতা অনেক ক্ষেত্রে থাকছে না। নিয়মিত কমিটি তৈরি করার কথা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে দেয়া হচ্ছে পুনরায় অনুমোদন। আমাদের সৌভাগ্য যে জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব কাজকর্ম দিনে দিনে কঠোর হাতে দমন করছেন৷ নিজদলের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না অনৈতিকতার প্রশ্নে। যার ফলে ভিন্নধর্মী এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে এদেশের মাটিতে। যা আগে কখনও হয়নি।

বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাংগঠনিক কারিগর, মুখ থুবড়ে পড়া দেশকে নতুন করে পথ দেখানো এক সময়োপযোগী দিকনির্দেশক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। যখনই স্বৈরাচারের দুঃশাসনে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে এদেশ তখনই আলো দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ।

ধারাবাহিক সংগ্রামের এ আদর্শিক যাত্রা অব্যাহত রাখুক লাখো মানুষের ভালোবাসার স্পন্দন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ মানেই পথ দেখানোর শক্তি। এগিয়ে যাক প্রিয় মাতৃভূমি। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় আওয়ামীলীগের এই পথযাত্রা শুভ হোক,  স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের সারথী হোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।  

লেখক - পল্লব রানা পারভেজ, কর্মসংস্থান সম্পাদক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া