ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

তেইশের প্রথম ভোরের কথা


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ৩১-১২-২০২২ বিকাল ৬:৩৪

তেইশের প্রথম ভোরে আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন, বাংলাদেশের আকাশ তখন সাধারণ মানুষের ভাগ্যের মতো সাদামাটা কুয়াশার চাদরে ঢাকা। মাঝে সাজে সাধারণের কপালে যেমন খোলে সম্ভাবনার দুয়ার, তেমনি আজকের আকাশে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে দিনের লাজুক সূর্য। ঘোমটা পরা এই সূর্যের এক চিলতে হাসিতে আপনি যে বাংলাদেশ দেখছেন, সে দেশ আগের মতো গরিব দেশ নয়। এক টুকরো উন্নত বিশ্বের ছোঁয়া 'মেট্রোরেল' এসেছে দেশে।  এর আগে উন্নত বিশ্বের মতো উদ্বোধন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল, ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে 'থার্ড টার্মিনাল', ঢাকাবাসীর মাথার উপর দিয়ে মাকড়শার জালের মতো উড়াল সড়কসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্প আজকের দিনের রোদ কুয়াশার মতো দেখা যাচ্ছে। 

উন্নয়নের এসব খণ্ড চিত্রের পাশাপাশি আগের এই গরীব বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখন ইউরোপের সম্মানিত নাগরিক। সেখানে উন্নত জীবন যাপন করছেন তারা। দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি ডলার অবৈধ পথে পাচার করে তারা ইউরোপের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছেন।  গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে। নিত্যপণ্যের দামে হাঁসফাঁস করে আপনি যখন এই দেশে কোনমতে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন, বাংলার সূর্য সন্তানরা তখন পশ্চিমে বিলাসবহুল বাড়ি কিনছেন, গাড়ি কিনছেন। দুই হাজার বাইশের আওয়ামী লীগ সরকার যেমন তাদের দাবিয়ে রাখতে পারছে না তেমনি তাদের আটকাতে পারেনি এর আগের কোনো কালের সরকার। সাবেক বিএনপি, তত্ত্বাবধায়ক, জাতীয় পার্টি কিংবা অতিবুদ্ধির সামরিক শাসক, সবাইকে নস্যি করে অথবা এসব শাসকদের উদার হৃদয়ের আশীর্বাদে তারা ইউরোপে উন্নত বিলাসী জীবন যাপন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। বর্তমান এবং অতীতের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত অনেকেই আছেন এই দলে।  সম্ভাবনার দুয়ার খোলা উন্নয়নের পিঠে চড়ে, দেশের জনগণের সম্ভাবনাকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করে যারা চৌকস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন, দুই হাজার তেইশের ভোরে সবার জন্য শুভ কামনা। আপনাদের জন্য ২০২২ এর মতো শুভ হোক ২০২৩।

বঙ্গোপসাগরের বুকে তেইশের প্রথম ভোরে যে সূর্য উঠেছে, এই একই সূর্য যুগ যুগ ধরে উঠে আসছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে সূর্য দেখার অভিজ্ঞতা সবার এক রকম হবে না। ২০১০ সালের প্রথম ভোরে বেগম খালেদা জিয়া কি কল্পনা করেছিলেন যে  ১৩ নভেম্বরেই ঢাকা সেনানিবাসের বাড়িটি তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে৷  দুই হাজার এগারোর প্রথম ভোরে তিনি কি ভেবেছিলেন একদিন গুলশানের ভাড়া বাসাটি ছেড়ে তাঁকে কারাগারে রাত্রিবাস করতে হবে। যখন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, কখনও কি ভেবেছিলেন একদিন ঘরহীন হয়ে যাবেন তিনিও।  যখন  দেশের সবচেয়ে আলোচিত এবং ক্ষমতাধর নারী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, যখন রাষ্ট্র ক্ষমতার চূঁড়ায় ছিল তাঁর আসন। সে সময়ে নতুন ভোরের সূর্য তাঁর মনে যে আবেগের ঢেউ জাগিয়েছিল, তেইশের ভোরের প্রথম সূর্য দেখে তাঁর মনে কি সে আনন্দের ঢেউ জাগবে আবার? তেইশের প্রথম ভোরে তিনি বন্দী জীবনের স্বাদ নিচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কৃপা ও অনুগ্রহে শর্ত সাপেক্ষে উপভোগ করছেন পৃথিবীর আলো বাতাস এবং নতুন সূর্য দেখার অভিজ্ঞতা। 

'লুকিং ফর শত্রুজ' শব্দটির জন্ম হয়েছিল ২০০৪ সালে। এই অমোঘ বাণীর জন্মদাতাকে অনেকেই আদালতের আঙিনায় দেখেছেন তার পায়ে লোহার ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় জোট সরকার গঠন করার পর প্রতিটি ভোরের সূর্যের তাপে প্রতাপশালী হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তখন কোন একদিনের ভোরে তিনি কি কল্পনা করেছিলেন টানা পনের বছর তাকে কারাগারে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা,  দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা ও আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা হয়েছিল তার আমলে।

বর্তমানে প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাগার থেকে দেখছেন সূর্যের আলো। দুই হাজার চারের প্রথম ভোরের সূর্য যেরকম শৌর্যশালী ছিল, তেইশের প্রথম ভোরের সূর্য সে উত্তাপ জাগাবে না তার মনে। সে সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা হয়তো আর হবে না তার। অথচ কি প্রতাপ প্রতিপত্তি ছিলো ২০০৫ এর প্রথম ভোরে। 'লুকিং ফর শত্রুজ্' এর জন্ম দেওয়া বাদেও সক্রেটিসের বিয়োগান্তক ও ট্রাজেডি নাটকের চেয়েও আধুনিক ট্রাজেডি নাটকের অবতারণা করেছিলেন তিনি। 'জজ মিয়া' নাটকের চিত্রনাট্য রচনা করে বাংলাদেশের রজনীতির মঞ্চকে তিনি রঙ্গমঞ্চ বানিয়েছিলেন। তার চিত্রনাট্যের প্রধান ভুক্তভুগী 'জজ মিয়া' আজ তেইশের ভোরে খোলা আকাশে সূর্য দেখবেন। কারাগারে বন্দী সেই লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘরে ঢুকবেনা সূর্যের তেজ। বাবরের চিত্রনাট্যের 'জজ মিয়া' আজকের পৃথিবীর আলো বাতাসে মুক্ত। জজ মিয়ার মত ভুল চিত্রনাট্যের কারণে এখনও যারা বিনা দোষে আছেন কারাগারে, তেইশের ভোরে তাদের জন্য প্রার্থনা, মুক্ত হোক প্রাণ। 

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর প্রায় প্রতিটি দিন রাজপথে দেশের কথা এবং মানুষের কথা বলতে ব্যাকুল ছিলেন শেখ হাসিনা।

২০০৯ সালের প্রথম ভোর শেখ হাসিনার জীবনে বিশেষ পরিবর্তনের আলো নিয়ে এসেছিল। যার প্রেক্ষিতে সেবছর ৬ জানুয়ারি ভোরের সূর্য তিনি অবলোকন করেছেন পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে। তাঁর নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল নতুন মন্ত্রী পরিষদ। সেবছর ৬ জানুয়ারি  ক্ষমতার যে ধাবমান ঘোড়ার পিঠে চড়েছিলেন শেখ হাসিনা, সে ঘোড়ার পিঠে তিনি সওয়ার আছেন তেইশের ভোরেও। আজকের ভোরে তিনি এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী, অনেকের কাছে তিনি লৌহ মানবী, কারও কারও চোখে মানবতার মা।  সেই সময় বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান ছিলো- '২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে'। তেইশের ভোরে সেই অনুমান সত্য। বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশ।  সেই ভোরের বাংলাদেশ আর আজকের ভোরের বাংলাদেশের মধ্যে আছে বিস্তর ফারাক।

২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারির ভোরে তেতুলিয়ায়  তাপমাত্রা ছিলো সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের মতো মানবসৃষ্ট বহু সংকট ডিঙিয়ে আমরা এসেছি তেইশের ভোরে। লঞ্চ ডুবি, অগ্নিসংযোগ, সড়ক দুর্ঘটনা, খুন, ধর্ষণ,  এসিড নিক্ষেপ, অগ্নি সন্ত্রাস, গুম, জঙ্গি হামলা, সিরিজবোমা নিক্ষেপ, বাসে আগুন, হরতাল, অবরোধ, ক্রস ফায়ার,  ধড়-পাকড় ইত্যাদি বহু অপকর্মের সাথে ছিলো সরকারি- বেসরকারি উন্নয়ন কাজে বিলাসী খরচের আড়ালে অর্থ লুটপাটের চিত্র। তেইশের ভোরে এসব অভিযোগের অনেকগুলো আছে আগের মত। এসিড নিক্ষেপ, জঙ্গি হামলার মত ভয়াবহ কিছু বিষয় আছে নিয়ন্ত্রণে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল দুই হাজার তিনে। তেইশের বাংলাদেশে বিশেষ ক্ষেত্রে আছে আমেরিকার বিশেষ নিষেধাজ্ঞা।

২০০৩ এর ৩০ ডিসেম্বরের ভোরে আলো ফোঁটার আগে ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন এর ফাঁসি কার্যকর করেছিল মার্কিন সরকার। তেইশের ভোরে ইউক্রেন এর বেসামরিক জনগণের উপর সামরিক অস্ত্র প্রয়োগ করছে রাশিয়া। সেই সময় ইরাক আমেরিকা যুদ্ধের আঁচে যেমন বেড়েছিল তেলের দাম, তেইশে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের তাপে বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। এই বড় বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের জনজীবনে, যেমন পড়েছিল দুই হাজার তিন, চারের প্রথম ভোরে। স্বাভাবিকভাবে তেইশের ভোরে দেশের মানুষ চিন্তিত তাঁর জীবন মানের উন্নয়ন বিষয়ে।

একটি দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার দাবি ছিলো বাংলাদেশের সুশীল সমাজের। সে দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে ২০০৪ সালের ৯ মে। তেইশের ভোরের প্রত্যাশা দুর্নীতি দমন কমিশন নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করবে।  বাংলাদেশে এখন কর্মসংস্থানের অভাব আছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে বর্তমান সরকার পূর্বে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা যথাযথভাবে পূরণ করা হয়নি। বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগগুলো খণ্ডন হবে। মানুষের জীবন-মানের উন্নতি হবে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে, দেশে বজায় থাকবে কর্মের পরিবেশ, সংসদ যৌক্তিক সমালোচনায় সচল থাকবে, তেইশের ভোরে সাধারণ মানুষের এসব প্রত্যাশা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।

ড. ইয়াজউদ্দিন ২০০৭ সালের প্রথম ভোরের সূর্য অবলোকন করেছিলেন অন্যরকম এক ভালো লাগায়। সেই সময়ের বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ছায়া সরকার হিসেবে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনের মাধ্যমে এবং বিএনপির নির্দেশে অপরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে খাদের কিনারে নিয়েছিলেন। ২০০৭ এর প্রথম ভোরে তিনি কি জানতেন ক্ষমতার শেষ বাঁশি বাজবে এত দ্রত! বেলা বয়ে যায়। ১৯৮১ সালের প্রথম ভোরে বেগম খালেদা জিয়া কি ভেবেছিলে জীবনের এতগুলো ভোর তাঁকে কাটাতে হবে স্বামী হারানোর বেদনা ও নিঃসঙ্গতায়। কোনো দিন কি ভেবেছিলেন প্রিয় সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্য হবে না তাঁর।

এক এগারোর কারিগর জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ২০০৯ সালের প্রথম ভোরেও ছিলেন কর্মব্যস্ত। তাঁর কর্মজীবনের ফিরিস্তি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ঢাউস আকৃতির বই- 'শান্তির স্বপ্নে সময়ের স্মৃতিচারণ'। তেইশের প্রথম ভোরে বাংলাদেশের সূর্য তিনি দেখবেন না। তাঁর মত ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ উন্নত বিশ্বের সূর্য অবলোকন করবেন ইউরোপে মাটিতে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কিংবা এম এ আজিজ এর জীবনের কয়েকটি ভোর এসেছিল দেশের সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধান খবর হওয়ার আশীর্বাদ নিয়ে। দেশের ইতিহাসে মানুষের অধিকার হরণের অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন তারা। তারা আমাদের দেশের মানুষ।  তাই তাদের মহান অপকর্মগুলোকেও আমরা তুচ্ছ ভেবে মনে রাখি না। দেশের মনুষ যে সাধারণ নির্বাচনে এক দিনের জন্য নিজেকে রাজা-বাদশা ভাবার অনুভূতি পেত, জনগণের সে অনুভূতি তারা হরণ করেছেন সগৌরবে। সাধারণ মানুষের করের টাকা শ্রাদ্ধ করে তারা যে নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন, তেইশের প্রথম ভোরের প্রত্যাশা আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ আবার অন্তত একদিনের জন্য নিজেকে রাজা-বাদশা ভাবার অধিকার ফিরে পাবে। শুধু মাঠে আন্দোলন না করে নির্বাচনে অংশ নিবে বিএনপি। সাধারণ মানুষ ফিরে পাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা।

লেখক- যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক সকালের সময়

সুজন / সুজন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া