বাড়ছে ঝুঁকি
জুড়ীতে চা বাগানে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে করোনার প্রকোপ ব্যাপক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) নতুন করে ৩২ জনের মধ্যে ২১ জনের পজিটিভ ফলাফল এসেছে। আক্রান্তের হার ৬৬%। এই ফলাফল দেখে সহজেই বোঝা যায় উপজেলায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কতটা বাড়ছে। জুড়ী উপজেলা চা বাগান অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে সবচেয়ে বেশি।
করোনা ভাইরাস রোধকল্পে সারাদেশে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। এ কঠোর লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলেও সচল রয়েছে চা শিল্প। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ও মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই হাজার হাজার শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছে চা বাগানগুলোতে। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চা বাগানের শ্রমিক নেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে ইতোমধ্যে করোনার ঢেউ লাগতে শুরু করেছে। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলার ধামাই চা বাগানে ইতোমধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। এ বাগানের দুজন কর্মকর্তা বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাগানের বাংলোতে আইসোলেশনে আছেন। সাধারণ শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চা শিল্পের চাকা সচল রাখলেও তাদের সুরক্ষায় বাগান কর্তৃপক্ষের নেই চোখে পড়ার মতো কোনো প্রদক্ষেপ।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ফাঁড়ি বাগানসহ মোট ১৬টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ৮ হাজার চা শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছেন। চা শ্রমিক নেতারা জানান, বেশিরভাগ চা বাগানে সাধারণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তারা আরো জানান, চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নেয়া গেলে চা বাগানগুলোতে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিতে পারে।
ধামাই চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি যাদব রুদ্র পাল বলেন, গত কয়েক দিনে আমাদের বাগান থেকে দুবার চা শ্রমিকদের জন্য ফ্রি মাস্ক দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে সাধারণ শ্রমিকদের সচেতনতা কম।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা শ্রমিক নেতা বলেন, ইতোমধ্যে অনেক বাগানের বড় কর্তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাগানের বড় কর্তারা যেখানে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে সাধারণ চা শ্রমিকরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এখনই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
বাংলাদেশ চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন জুড়ী ভ্যালীর সাধারণ সম্পাদক কমল বুনার্জী বলেন, কঠোর লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলেও শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চা শিল্পের চাকা সচল রাখছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিতরণ করা হচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে বিনামূল্যে চা শ্রমিকদের করোনা টেস্ট করাসহ প্রণোদনা দাবি করছি।
আকিজ গ্রুপের ডিজিএম কাজল মাহমুদ (ধামাই, আতিয়াবাগ, সোনারুপা ও বড়লেখার বাহাদুর পুর চা- বাগানের দায়িত্বে থাকা) মুঠোফোনে বলেন, আমি নিজেও কয়েক দিন পূর্বে করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমার বাগানের দুজন কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হয়ে বাগানের বাংলোতে আইসোলেশনে আছেন। করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা সাধারণ শ্রমিকদের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ফ্রি মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, উপজেলার একটি বাগানের একজন ইতোমধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে চা বাগানগুলোতে কয়েকজন আক্রান্ত আছেন। যেহেতু বাগানের চা শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে তাই তাদের সচেতন করতে আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
