একরাম ছাড়া সদর আসন হারানোর ভয় তৃণমূল আওয়ামী লীগের

নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজে ছুটে চলা ব্যাক্তির নাম মানবিক এমপি খ্যাত একরামুল করিম চৌধুরী। লড়াই করে বেঁচে থেকে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখাতেন, প্রতিটি নেতাকর্মীকে তিনিই একরামুল করিম চৌধুরী।
দিন যতই গণিয়ে আসছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ততই নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার সাহস জোগাচ্ছেন এমপি একরাম। পরিহার করার সময় ঘনিয়ে আসছে প্রতিহিংসার রাজনীতির। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দেশের সাংবিধানিক নিয়মেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠ একাধিক মহল ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
আর আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ সার্বোজনীন ও গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্পূন করতে চাই নির্বাচন কমিশন। এদিকে নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) উপজেলাটি জাতীয় সংসদের ২৭১ নম্বর আসন। এ আসনটি জেলা শহর কেন্দ্রীক হওয়ায় এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় পুরো জেলার রাজনীতি। তাই সকল দলের নেতৃবৃন্দের জন্য এ আসনটি হলো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। যা স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্টের উপ-নির্বাচনে জাতীয় নেতা আব্দুল মালেক উকিল এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী ৩ দশক পর্যন্তই আসনটি ছিল আ'লীগের দখলে। পরবর্তীতে স্বৈরচার শাসক এরশাদ পতনের পর জেলার রাজনীতিতে নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রুপিং ও দলীয় কোন্দল শুরু হওয়ায় সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে স্থানীয় আ'লীগ রাজনীতি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিগত ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখলে নেয় বিএনপি।
এদিকে ২০০৪ সালের ২৩ শে জুলাই নোয়াখালী জেলা আ'লীগের কাউন্সিলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে বিপুল ভোটে প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এ উদীয়মান তরুণ সংগঠক একরামুল করিম চৌধুরী। জেলা আ'লীগের সাবেক কোষাধক্ষ্য প্রবীণ আওয়াামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী ইদ্রিস মিয়ার সুযোগ্য সন্তান, নগদ চৌধুরী খ্যাত একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে প্রায় দেড় যুগ আগে জরাজীর্ণ নোয়াখালী জেলা আ'লীগের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শুরু করেন নিজের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। প্রতিদিন ছুটেছেন জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃণমূলের আওয়ামীলীগের ত্যাগীদের খোঁজে। দলকে সু-সংগঠিত করে সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান করতেন নেতা-কর্মীদের।
একরামুল করিম চৌধুরী নিজেই স্বপ্ন দেখতেন, আবর স্বপ্ন দেখাতেন কুলহারা নেতাকর্মীদেরও। তৃণমূলে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করতেন তিনি। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা এ তরুণ সংগঠক একরামুল করিম চৌধুরীর ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ ও দুর্বল হয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। জেলা আ'লীগকে ধীরে ধীরে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসেন এ নেতা। যার ফলে 'বিএনপি'র দূর্গ নামে পরিচিত নোয়াখালী জেলার রাজনীতি এখন পরিণত হয়েছে আওয়ামীলীগের দুর্গে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আ'লীগ, বিএনপি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের ত্রিমুখী লড়াইয়ে আ'লীগের একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে একরামুল করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় সংসদ সদস্য। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও এ আসনটিতে একরামুল করিম চৌধুরী আ'লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন তিনি। এদিকে এ আসনের সদর- সুবর্ণচর উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী, নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করেছেন জনতার এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সাংগঠনিক ভাবে সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন নোয়াখালীর আওয়ামী রাজনীতিকে। নেতা-কর্মীদের খোঁজে তৃণমূলের পথে-প্রান্তরে, ছুটে চলা এ নেতার নেতৃত্বে সুশৃঙ্খল ভাবেই চলছে জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় একরামুল করিম চৌধুরীর দক্ষ নেতৃত্বে অতীতের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছে আ'লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, নোয়াখালীর আ'লীগে তৃণমূলের শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় একরামুল করিম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দিলে সাংগঠনিক ভাবে ধারাবাহিক নেতৃত্ব বজায় থাকবে জেলা আ'লীগ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক তৃণমূলের সংগঠনকে দক্ষ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন এমপি একরাম।
তৃনমূলের নেতাকর্মীদের দাবি জেলায় বর্তমানে আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হলে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আওয়মীলীগের দখলে থাকা এ আসনটি হারানোর ভয় রয়েছে আওয়ামীলীগের।
উল্লেখ্য গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হোন একরামুল করিম চৌধুরী। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন আঙ্গিকে আবার কাজ শুরু করেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে থাকেন এমপি একরাম। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় তাকে। নতুন রূপে জেলার প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে তিনি দলকে চাঙ্গা করতে থাকেন তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে। তার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে গত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জেলার ৮টি পৌরসভা ও ১১০টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশিরভাগ ইউনিয়নে জয়লাভ করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা। পুনরায় ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিপুল ভোটে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একরামুল করিম চৌধুরী এবং ২০২০ সালে জেলা আ'লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে তাকে।
সদর-সূবর্ণচর আসনের প্রবীন আ'লীগার ও তৃনমূলের একাধিক নেতাকর্মীরা আরো বলেন, সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী আওয়ামী রাজনীতিতে দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। তিনি তার দক্ষ নেতৃত্বে জরাজীর্ণ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এ সাফল্যের জন্য মানবতার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করবেন এবং আগাামী নির্বাচনে নোয়াখালী ০৪ আসনের নৌকার মাঝি হিসেবে একরামুল করিম চৌধুরীকে পুনরায় মনোনয়ন দিয়ে আবার প্রমান করবেন, নোয়াখালীর একরাম জনতার একরাম, শেখ হাসিনার একরাম।
আমরা আশা করি তিনি সব সময় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে আসছেন ভবিষতেও আগের ন্যায় মূল্যায়িত করবেন। জেলা আ'লীগ এখন শুধু সুসংগঠিত নয়, সাংগঠনিক ভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতেকে নোয়াখালী থেকে বিতাড়িত করব ইনশাআল্লাহ।
এমএসএম / এমএসএম

ফেনীতে মশিউর বিল্পবের পুজামন্ডপ পরিদর্শন

মুলাদীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি কন্যা ডা. জাহানারা লাইজু

দোহারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইলের রনদা প্রসাদ সাহার দুর্গা মন্দির পরিদর্শনে শারমীন এস মুরশিদ

‘মা ইলিশকে নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে’

আমরা এই রাষ্ট্র দেখতে চাইনা, যেখানে দলের কাছে নিরাপত্তা নিতে হয়: ড. আতিক মুজাহিদ

আদমদীঘি জামায়াতের বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন

ক্ষেতলালে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষকের মৃত্যু, চালক আটক

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি-গুইমারা

রাঙামাটিতে পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ-৩

মান্দায় দূর্ঘটনায় আহত যুবককে দিয়ে থানায় মামলা

চৌগাছার বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি
