প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি ও এক সাহসী : বদিউল আলম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১১ জুন কারামুক্তি দিবস। হিসেবে সারা দেশে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে পালন করলে এ ১/১১ সময়ে দেশের অধিকাংশ নেতা যখন পালাতক দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ, সভা সমাবেশ প্রচার প্রচারণা বন্ধ সে সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে সর্ব প্রথম পোস্টার বের করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেন তৎকালিন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম।
বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম ছাত্র জীবনে ছিলেন খুব মেধাবী। প্রাইমারী ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে রেকর্ড সৃষ্ঠি করেছিল। ছোটকাল থেকে সাহিত্য, সাংস্কৃতি, আবৃত্তি সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও অসাধারণ বিচরণ ছিল। তিনি জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কুসুমকলি আসরের সংগঠনের মধ্যে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। নিজের যোগ্যতা, দক্ষতায় ধীরে ধীরে স্থান করে নিয়েছে জাতীয় পর্যায়ে। বর্তমান তিনি দেশের গৌরবময় যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি জুরুরী অবস্থায় সারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের উপর জেল, জুলুম নির্যাতন শুরু হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও গ্রেফতার করা হলে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে সর্বপ্রথম সারা দেশে লিফলেট ও পোস্টার বের করে ছড়িয়ে দেন। এ সময় সারা দেশে রাজনীতির সভা সমাবেশ প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকায় জেলার এবং কেন্দ্রীয় অনেক বাঘা বাঘা নেতা গ্রেফতারের ভয়ে পোস্টারও গ্রহণ করেনি, তারা এখন অনেকে এমপি-মন্ত্রী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী নিয়ে বসে আছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের জন্ম হয়েছে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য। ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে দেশের প্রত্যেক গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বর্তমান সময়ে সারা দেশে বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও, হত্যাকান্ড, তান্ডবের প্রতিবাদে যুবলীগ ভুমিকা পালন করছেন। বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো আন্দলন কর্মসূচি ঘোষণা করলে প্রতিহত করার জন্য গ্রাম-গঞ্জে যুবলীগের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো নির্দেশে যুবলীগের নেতা কর্মীরা মাঠে ময়দানে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে আগামিতেও পালন করবে। মুহাম্মদ বদিউল আলম ছাত্র জীবনে ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে বিএনপি জামায়াতের ক্যাডারার আমাকে বর্বর হামলা চালায়। রাম দা দিয়ে এক হাত কেটে ফেলেন, তৎকাালিন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাদ্রাজে নিয়ে ১৯৯৪-৯৭ সাল পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে উলিংডং ও মালার হাসপাতালে চিকিৎসা করে বদিউল আলম কে সুস্থ কওে তোলেন। ১৯৯৪ সালের ১২ সেপ্টম্বর আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে মিছিল করার সময় পুলিশ ঢাকা থেকে উনাকে গ্রেফতার করেন।
২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারী পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যুবলীগের তৎকালিন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম পটিয়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বদিউল আলমকে মনোনীত করেন। এতে স্থানীয় এমপি এক জামায়াত নেতা কে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বানিয়ে জনগণের ভোটে বিজয়ী বদিউল আলমের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেয়।
এতে পটিয়ার হাজার হাজার জনগণ বদিউল আলমের পক্ষে রাজপথে প্রতিবাদ করলে পুলিশ সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বদিউল আলমকে পটিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে রাতভর নির্যাতন চালানোর পর পটিয়ার আরো ৯ শতাধিক নিরহ মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালে "বিচারপতির বিচার চাই, লম্পট লতিফের ফাঁসি চাই" শিরোনামে একটি সরকার বিরোধী লিফলেট বের করেন বদিউল আলম এবং এটা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে বদিউল আলম "জুলুম নির্যাতন অন্যায়-অবিবেকী আচরণ বন্ধ কর, অবিলম্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি চাই" শিরোনামে সর্বপ্রথম যুবলীগের পক্ষ থেকে বদিউল আলম লিফলেট ও পোস্টার বের করেন। এসময় দেশের অনেক সিনিয়র নেতা ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, বদিউল আলম সারাদেশে লিফলেট, পোস্টারগুলো পৌঁছে দিয়েছিল।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকায় সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে বিএনপি-জামায়াত তিনদিন ধরে তান্ডব চালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখলে মুহাম্মদ বদিউল আলম ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন সহ ওই এলাকায় গিয়ে ব্যারিকেট তুলে দেন। এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কোন আওয়ামী লীগের নেতা সাহস করেনি এবং নেতা-কর্মীদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি।
উল্লেখ্য মুহাম্মদ বদিউল আলম, চট্টগ্রামের পটিয়া সদরে গৌবিন্দরখীল গ্রামে ১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম হাজী ছিদ্দিক আহমদ, পরিবারে তার ৫ ভাই এবং সবাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মুহাম্মদ বদিউল আলম পটিয়া উপজেলার সুচক্রদন্ডী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৮৪ সালে, পটিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ১৯৮৫ সালে, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৯১ সালে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ২০০১ সালে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন ১৯৯৪ সালে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন ১৯৯৮ সালে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ২০০২ সালে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন ২০০৬ সালে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ২০১২ সালে এবং ২০২০ সাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী করেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ঢাকায় একাধিক শিল্প-কারখানার মালিক। কক্সবাজার ডিজিটাল হসপিটাল প্র্রাইভেট লি. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার মেট্রাল ইন্ড্রাটিজ লিমিটেড সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। পটিয়াবাসী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ও দলের দূর্দিনের ত্যাগী এই নেতাকে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনের এমপি পটিয়াবাসী এবং দলীয় নেতা কর্মীদের পছন্দের এবং প্রিয় মানুষ তিনি পটিয়ার মানুষের কাছে একজন মানবিক ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত।
লেখক ও সাংবাদিকনজরুল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক-জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ চট্টগ্রাম।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
