খুমেক হাসপাতালে ৪র্থ দিনের মত চলছে কর্মবিরতি ও ধর্মঘট, গ্রেপ্তার ২

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এছাড়া একই দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। এতে রোগী এবং স্বজনদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
ক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধের দোকানীকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খালিশপুর থানার ৪১/১, বয়রা জংশন রোড এলাকার মৃত শেখ শাহাজাহানের ছেলে ও বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) এবং সোনাডাঙ্গা থানার হাসানবাগ এলাকার ছোট বয়রার মীর বাড়ীর মোশারেফ মীরের ছেলে ও আবিদ ফার্মেসীর কর্মচারী মীর বায়েজিদ (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর।
তিনি জানান, হামলায় তাদের ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে ২য় দিনের মতো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে খুলনা মেডিকেলের সামনে ওষুধের প্রায় ৯০টি দোকান। দোকানীদের ওপর হামলাকারী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির খুলনা শাখা। সমিতির সহ-সভাপতি এসএম কবীর উদ্দিন বাবলু বলেন, হামলায় তাদের ১০ থেকে ১২ দোকান মালিক ও কর্মচারী আহত হয়েছিল।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, দুই পক্ষের বিরোধের রেষারেষিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। সোমবার রাত থেকে রোগী দেখছেন না ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আর মেডিকেলের সামনের দোকান বন্ধ থাকায় রোগীর স্বজনদের ওষুধ কিনতে যেতে হচ্ছে দূর-দূরান্তে। এতে অতিরিক্ত সময় লাগার পাশাপাশি ব্যয় হচ্ছে বাড়তি টাকা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিগগিরই হাসপাতালে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বুধবার রাতে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান। তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখলে ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন, চলাচলে দুর্ভোগ শতাধিক পরিবারের

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে গোলক ধাধা

দর্শনা কেরুজ আমতলাপাড়ায় দিনে-দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে চুরি

সাঘাটার মডেল মসজিদ: ছয় মাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ

বগুড়ায় বাসের ভেতর তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, চালক গ্রেপ্তার

ভূরুঙ্গামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ভূট্টা বাদে ৯ প্রকার বীজ প্রণোদনা হিসাবে পাবে ৪২০০ কৃষক

দুর্গাপুরে সেচ্ছাসেবক দলের মাদক বিরোধী মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ প্রায় ২০ জন আহত

কুড়িগ্রামে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

গোপালগঞ্জে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস পালিত

ঠাকুরগাঁওয়ে থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় মির্জা,ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বীরগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন.
