পাটের দামে হতাশ কৃষক

মাগুরার শ্রীপুরে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। পাট জাগ ও দাম নিয়ে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে কৃষকের কপালে। এ ছাড়া শ্রমিক ও পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় অনেক কৃষকের পাট এখনও ক্ষেতেই রয়ে গেছে।কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মণ পাট ঘরে তুলতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কৃষক শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে লোকসানেই পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলের কৃষকের প্রধান ফসল পাট। গত দুই বছরে কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে এবার অধিক জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে শ্রীপুরে প্রায় ৫ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ পর্যন্ত ফলন। নদী তীরবর্তী ও বিল অঞ্চলের আশপাশের কৃষকরা পাট কেটে জাগ দিতে পারলেও উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক এখনও পাট কেটে ক্ষেতেই রেখে দিয়েছেন।
সাধারণত পাটের মৌসুম শেষ হলে কৃষকরা জমিতে ধান আবাদ করে থাকেন। কিন্তু জাগ দেওয়ার সমস্যা, শ্রমিক সংকট ও বাজারে প্রত্যাশিত দাম না থাকায় অনেকে পাট বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও চাষিদের অনেকে এখনও ধান রোপণ করতে পারেননি। এতে কৃষকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।আমলসার ইউনিয়নের বিলনাথুর গ্রামের কৃষক মালেক মন্ডল বলেন, গত দুই বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় এ বছর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রতিমণ পাট ঘরে তুলতে প্রায় ২৪-২৫শ টাকা খরচ হয়েছে। সে পাট এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১৭০০-১৮০০ টাকা। লোকসান দিয়েই পাট বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।
গয়েশপুর ইউনিয়নের ছাবিনগর গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা জানান, দাম কম থাকায় এ বছর ক্ষেত থেকে পাট কাটতে ইচ্ছে করছে না তাঁর। তিনি জানান, একজন শ্রমিককে রোজ ৮০০-৯০০ টাকা দিয়ে পাট কাটতে হচ্ছে। খেতের আশপাশে পানি না থাকায় দূরে নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বাবদ আঁটিপ্রতি ৩-৪ টাকা খরচ হচ্ছে। অনেকে পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এ বছর পাট চাষে কৃষকদের কোনো লাভ হবে না।শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের মামুন জোয়ার্দার বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরই পাটের দাম অনেক কম। পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। এসব কষ্ট সুখে পরিণত হতো, যদি পাটের ভালো দাম পাওয়া যেত। এখন তো পাট গলার ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। পাটের দাম বৃদ্ধি করা না হলে অনেক কৃষককে পথে বসতে হবে।
নাকোল ইউনিয়নের জাকিউল আলম নামে এক পাট চাষী বলেন, “পাট চাষে এবার খুব ক্ষতি হয়েছে আমাদের শুরুর দিকে অতিবৃষ্টি হয়েছে ফলে আশানুরূপ পাট ঘরে তুলতে পারিনি। অন্য দিকে পাটের দাম নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। চাষের যেটা খরচ সেটাই আমরা তুলতে পারছি না । সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যাতে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা তো কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধাও পাই না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা জানান, গত দুই বছর দাম ভালো হওয়ায় এ বছর সে আশায় কৃষকরা পাট চাষ করেছেন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। পানির অভাবে কৃষকদের পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হলে এ সমস্যা থাকবে না। পাটের দাম কিছু দিনের মধ্যে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

গাজীপুর-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপির ৪ প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত অন্য দল

আদালতের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

রায়পুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে এস এম মামুন মিয়া

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

জুড়ীতে কৃষ্ণনগর বাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপহার প্রদান

গাছে ঝুলন্ত লাশ, পা মাটিতে-শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখে গোলচত্বর ও ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাণীশংকৈলে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

হাটহাজারী নাগরিক সেবা নিয়ে বিপাকে পৌরবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস

নওগাঁর মহাদেবপুরে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির ৩০তম কারাম উৎসব পালিত
Link Copied