ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

বোয়ালমারীতে পপুলার লাইফের মৃত্যুদাবীর অর্থ প্রদানে টালবাহানার অভিযোগ


জাকির হোসেন, বোয়ালমারী photo জাকির হোসেন, বোয়ালমারী
প্রকাশিত: ২৪-৮-২০২৩ বিকাল ৫:১৪

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের এক গ্রাহককে মৃত্যু দাবির অর্থ প্রদানে টালবাহানা ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী  মোছাঃ ছালেহা বেগম এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছালেহা বেগম বোয়ালমারী পৌরসভাধীন সোতাসী গ্রামের মোঃকাইয়ুম মিয়ার স্ত্রী বলে জানাগেছে।
লিখিত অভিযোগে ছালেহা বেগম জানান, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিঃ  বোয়ালমারী শাখার ম্যানেজার মোঃ আতিকুল ইসলাম মিন্টু ও তার সহকারী মোঃ কামাল হোসেন এর প্ররোচনায় আমার মৃত মেয়ে কুলসুম আক্তার (মৃত্যু কালীন বয়স ২০) ২০১৭ সালে অত্র শাখায় ১২ বছর মেয়াদী একটি একক বীমা পলিসি গ্রহণ করেন। মাসিক ১ হাজার ৩৬ টাকা  কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার এই বীমার বিপরীতে আমার মেয়ে ২৪ কিস্তিতে ২৪ হাজার ৮ শত ৬৪ টাকা পরিশোধের পর ২০১৯ সালে নিউমোনিয়া রোগে আকস্মিক ভাবে মারা যায়।মেয়ের মৃত্যুর পর বীমা বিধি অনুযায়ী নমিনি হিসাবে আমি কোম্পানির বোয়ালমারী শাখা মেয়ের মৃত্যু দাবীর ৩ লক্ষ টাকা দাবী করি। এর পরই শাখা ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম মিন্টু নানা টালবাহানা শুরু করেন। তিনি আজ না কাল,এই মাস না সেই মাস করে আমাকে ঘোরাতে থাকেন। এভাবে ঘুরতে-ঘুরতে দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও আমি আমার মেয়ের মৃত্যু দাবীর অর্থ ফেরত পাইনি। এমনকি মৃত্যু দাবীর মোটা অংকের টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় যোগাযোগের নামে ম্যানেজার মিন্টু কয়েক দফায় আমার কাছ থেকে আরো ১০/১২ হাজার টাকা হাতিয়ে  নিয়েছেন।শুধু তাই নয়,আমার মেয়ের মৃত্যুর পরও মিন্টু আমাকে ভুল বুঝিয়ে বেআইনি ভাবে বীমার আরো দুটি কিস্তির টাকা আদায় করেন।কিন্তু তারপরও কোন সমাধান না পেয়ে আমি এখন চরম ভাবে হতাশ হয়ে পড়েছি। বর্তমানে টাকার ব্যাপারে একটু খোঁজ-খবর নিতে গেলেও ম্যানেজার মিন্টু চরম দূর্ব্যাবহার করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন।  আমি গরিব মানুষ। বিবাদীদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়েটির নামে বীমা খুলে ছিলাম। কিন্তু ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম মিন্টুর প্রতারণা-জালিয়াতি আর অসদাচরণে আমার সব সপ্ন মাটি হয়ে গেছে। কষ্টে জমানো মূল টাকাটাও এখন ফেরত পাচ্ছিনা। ফলে আমার মেয়ের রেখে যাওয়া ৪ বছরের শিশু কন্যা সন্তানটিকে নিয়ে আমি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ অবস্থায় বীমার শর্ত মোতাবেক আমার মেয়ের মৃত্যু দাবীর অর্থগুলো আমাকে ফেরত দেওয়া হলে ভিষণ উপকৃত হতাম। জানতে চাইলে পপুলার লাইফের বোয়ালমারী শাখার ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন,নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ না করায় সালেহা বেগমের মেয়ে কুলসুমের বীমাটি তামাদি হয়ে যায়। এর কয়েকমাস পর গ্রাহক মারা যান। ফলে আমরা ছালেহার আবেদন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠালেও কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেননি। তবে জমা হওয়া মূল টাকাটা তিনি ফেরত পাবেন। বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশারেফ হুসাইন বলেন, সালেহা বেগমের একটি দরখাস্ত আমি পেয়েছি। শুনানির জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। শুনানি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এমএসএম / এমএসএম

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি