জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি নৈতিক স্কোয়াড

হেডলাইন দিয়ে আমি আপনাদের এমন একটি দল বা গ্রুপকে বোঝাতে চাচ্ছি। যে দলের সদস্যরা হৃদয়ে, মননে ও মস্তিষ্কে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধারণ করে। মস্তিষ্ক, মন ও হৃদয় এর পারস্পারিক সম্পর্কটা অত্যন্ত জটিল। বিশেষজ্ঞদের মতে মন দ্বারা মস্তিষ্ক তাড়িত অর্থাৎ মনের চাহিদা অনুযায়ী মস্তিষ্ক দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সিগনাল প্রেরণ করে থেকে এবং অঙ্গপ্রতঙ্গ সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। আবার দেহের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি তাৎক্ষণিক বা বিলম্বিত হওয়া নির্ভর করে মনের উপর, আর এ-ই সম্পুর্ন বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় হৃদয় দ্বারা। সেক্ষেত্রে বলা যায় যে, রাজনীতিবিদ, লেখক, দার্শনিক, আত্মীয় বা অনাত্মীয় যেই হোক না কেন, তিনি আমাদের মননে ও হৃদয়ে কিভাবে বা কতো গভীরে অবস্থান করছেন, তার উপর নির্ভর করে তার যে কোন বিষয়ে আমাদের দৈহিক বা মানসিক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে এবং কখন হবে? এছাড়াও মননে ও হৃদয়ে অবস্থানকারী সাবজেক্ট এর সাথে আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিও এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে বলেই আমি মনে করি।
তবে মননে ও হৃদয়ে স্বার্থহীন ভাবে কাউকে ধারণ করার বিষয়টি সম্পুর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে ধারনকারি ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে থাকে, বিষয়টির সাথে যেহেতু লাভ-লস ও ভয়ভীতির সম্পর্ক থাকে না, সেহেতু এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে হৃদয়ে ও মমনে অবস্থান করা বিষয়ের ধরন, ধারন ও গভীরতা এক্ষেত্রে প্রদর্শিত প্রতিক্রিয়ার ধরন, ধারণ ও মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে স্বার্থের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। পদ-পদবি, টাকা-পয়সা এবং ভয়-ভীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলশ্রুতিতে নেতা বা নেত্রীকে বা উনাদের আদর্শকে হৃদয়ে, মনোনে ও মস্তিষ্কে ধারণ করার বিষয়টি এখন রূপকথা বা শুধুমাত্র পাঠ্য পুস্তকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইতো, কিছুদিন আগেও দেশে আওয়ামীলীগ ব্যতীত কোন মানুষকে খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর ছিল, কিন্তু নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে। দেশে আওয়ামীলীগ তো দূরের কথা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করা কিছু পক্ষ ও বিপক্ষবাদী চিহ্নিত মুখ ও রাজনৈতীক দলগুলোর মুখপাত্র ব্যতীত দেশে রাজনীতিবিদ, বিশেষ করে আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মী, অনুসারী ও অনুগামী যেন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও নমিনেশন পাওয়ার ইচ্ছায় এলাকাভিত্তিক গণসংযোগে ব্যস্ত কিছু নেতৃবৃন্দের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি অর্থাৎ গদবাধা রাজনৈতিক বক্তব্য এবং সরকারের মেগা প্রজেক্ট গুলো ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত স্টিকার ও নেত্রীর বন্দনামুলোক ভিডিও প্রকাশ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রচার ও প্রচারণা। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায় হতে ও দেশের অভ্যন্তরীণ বিপক্ষবাদীদের পক্ষ হতে অযৌক্তিক ও, প্রমাণের অযোগ্য ঢালাও ভাবে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে ঢালাও ভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সকল সদস্যকে এবং সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আজগুবি যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, যেসব কুৎসা রটানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে মেগা প্রজেক্টগুলো করা হচ্ছে বা হয়েছে মেগা দূর্নীতি করতে। মাঝারি প্রজেক্ট মাঝারি আকারের দুর্নীতি ইত্যাদি। এমনকি বিভিন্ন প্রজেক্টকে ইঙ্গিত করে বা লক্ষ্য করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচারের উদ্ভট ও মনগড়া সব অভিযোগ করা হচ্ছে যা অভিযোগকারী ও প্রচারকারী ব্যক্তি বা দল বা সংস্থার পক্ষে কোনভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। অথচ এইসব মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ ও আক্রমণ গুলির একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রমাণের অযোগ্য হলেও, বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করা বা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার মত কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আওয়ামীলিগের কোন নেতাকর্মীকে রাজনৈতীক ভাবে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও মিডিয়ার পক্ষ থেকেও এবিষয়ে অভিযোগকারীকে যৌক্তিকভাবে এর ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হচ্ছে না। এমনকি অভিযোগ কারির নিকট এসব বিষয়ের বা অভিযোগের প্রমাণাদি আছে কিনা সে বিষয়েও জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না।
সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যেকোন প্রজেক্ট (প্রকৌশল, সাস্থ্য ও চিকিৎসা, কৃষিজ ইত্যাদি অভিদপ্তর গুলোর আওতাধীন ) এর ডিপিপি, ড্রইং এবং ডিজাইন, টেন্ডার ডকুমেন্ট, টেন্ডার প্রসেস, জিএস কনস্ট্রাকশন এবং তত্ত্বাবধান এমএন কনসালটেন্সি এর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এবং উক্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের, এমন কি তদ্বীয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দায়িত্বেরত; মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদেরকে লক্ষ্য করেও সেভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে বলে তেমন একটা শোনা যায় না।
অথচ প্রজেক্ট এর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন করা, এমনকি ঠিকাদার নিয়োগ দেয়াসহ গুণগত ও পরিমাণগত নিশ্চিত করণ পূর্বক সরকারকে হস্তান্তর করা পর্যন্ত, পুরো দায়িত্ব পালন করে থাকে উপরোক্ত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর ভিত্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণভ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (জননেত্রী শেখ হাসিনা) শুধুমাত্র একনেক এর মিটিং এর মাধ্যমে অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সমস্ত অভিযোগের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ তথা আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীগণ। যদি প্রশ্ন করা হয় যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যমান এসকল উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর দুর্নীতির সাথে কিভাবে যুক্ত ও কতটা যুক্ত?
আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের কত অংশ এসব দুর্নীতির সাথে যুক্ত ? আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের যে অংশটি কোনভাবেই এই সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়, অথবা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও কোনভাবেই অনৈতিকতা বা দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকে নাই বা যুক্ত হয় নাই, অথবা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকেও দুর্নীতি সহ অলৌকিকতার কাছে মাথা নত না করে, উল্টো বাধা দিতে গিয়ে, বা বাঁধা প্রদান করতে গিয়ে, নানারকম হয়রানী সহ বদলি বা চাকরিচ্যুত হয়েছে বা চাকরী থেকে নিজেই যাতে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, সেজন্য চিহ্নিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতি বা সাবেক ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়োগ বা পদায়ন করে দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সাইটে গুপ্তচরবৃত্তি করিয়ে কোন অনৈতিকতার প্রমাণ না পেয়ে, এমনকি অন্যান্য সাইটে পূর্বনির্ধারিত ভিজট করলেও, ছাত্রলীগ করণেওয়ালা চিহ্নিতদের প্রজেক্টে কনসালটেন্ট হিসেবে চাকরিরত দের আন্ডারে থাকা সাইটগুলোতে অনির্ধারিত ভাবে ভিজিট করেও কোন অনৈতিকতার প্রমাণ না পেয়ে, নিজের অফিস রুমে ডেকে নিয়ে দরজা লাগিযে অকথ্য গালিগালাজ করে নিজ থেকে ইস্তেফা দিয়ে যাদের চাকরী থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি অত্যন্ত বড় মাপের অনৈতিকতা কে বাধা দিতে গিয়ে, একদিনের নোটিশের চাকরিচ্যুত হয়েও হুমকি ধামকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। বিরোধী দলীয় ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ করতে গিয়ে এক ভাইয়ের মৃত্যু হওয়ায়, আরেক ভাই , যিনিও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, অনৈতিকতাকে বাধা দিতে গিয়ে এই সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত হয়েও নির্বংশ হওয়ার ভয়ে নিজের নাম উল্লেখ পূর্বক প্রতিবাদ করতে সাহস করছে না।
১৯৯১ পরবর্তী জামাত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী দের সমর্থনে গঠিত সরকারের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তাল বিক্ষোভ ও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে। স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা অপহৃত ও চরমভাবে নির্যাতিত হয়ে, সকলের নিকট পরিচিত হওয়ার কারণে কোথাও থেকে চাকরি না পেয়ে। বিভিন্ন নিয়ম কানুনের ফ্যাকরায় ফেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাগন চাকরি দিতে না চাওয়ার কারণে পিয়ন দের বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্মচারীদের মাধ্যমে সিভি তে ট্যাগ করা নিজের ছবির বেশভুষণ বা চেহারার পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন ছবি লাগিয়ে চাকরী করে, লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে।
এবং টানা ১৫ বছরের ক্ষমতাসীন এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই এরূপ জানা ও অজানা নানান ধরণের নির্যাতন ও নিহগ্রহের স্বীকার হয়েছে যেসকল আওয়ামী মতাদর্শের অনুসারীরা, যারা দূর্দিনেও জননেত্রীর নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিরোধী দলীয় সরকার দ্বারা নানা ভাবে নির্যাতিত হয়ে এসেছে। এছাড়াও যারা স্বার্থহীন ভাবে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হৃদয়ে, মমনে ও মস্তিষ্কে ধারণ করে, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের কটাক্ষ, টিটকারি বা অনৈতিক আক্রমণ বা অপবাদ যাদেরকে বিচলিত করে, টেনশনে ফেলে, এমনকি প্রতিশোধ পরায়ন করে তোলে।
বলতে পারেন ?
এই শ্রেণীর লোকজন দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের বাদদিয়ে শুধুমাএ রাজনৈতিক কারণে, কেন জননেত্রীর প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি, এমনকি আওয়ামী লীগের প্রতি গণহারে ও ঢালাওভাবে প্রমাণের অযোগ্য, অনৈতিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগগুলো মেনে নিবে ?
সংশ্লিষ্ঠ ডিপার্টমেন্ট বা অধিদপ্তর গুলোতে গিয়ে খোঁজখবর বের করাটা কি সত্যিই খুব কঠিন কাজ ?
গত ১০ বছরে অধিদপ্তর গুলোতে খবর নিয়ে, টাকার অংকে সবচাইতে বেশি কাজ করেছে, এরূপ ২০/২৫ টি কোম্পানির লিষ্ট করে, সেসবের পেছনের কারিগরদের রাজনৈতিক অতীত ইতিহাস বের করা কি খুবই কঠিন কাজ? তাহলেই তো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো এর কারিগরদের রাজনৈতীক পরিচয় বেড়িয়ে আসে ?
গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বের হয়ে আসা ডিগ্রিধারী মানুষজনের হয়তো সত্যিকারে রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়াটা দুস্কর, কিন্তু এর আগে পাশ করে আসা ডিগ্রিধারীদের মধ্য হতে আওয়ামী পন্থী ও বিরোধীপন্থীদের চিহ্নিত করা কি খুব কঠিন কাজ ?
এর মধ্য হতে আওয়ামী পন্থীদেরকে কোথায় চাকরি করেছে, কে কোথায়, কোন পদে, বা কোন প্রজেক্ট এর মূল দায়িত্ব পালন করেছে। বদলি পদায়ন এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের কি অবস্থা ? ইত্যাদি বিষয়গুলো চিহ্নিত করা বা সঠিক অবস্থার একটি ধারণা পাওয়া কি সত্যিই খুব কঠিন কাজ ?
কয়টি মিডিয়া বা সরকারের কয়টি সংস্থার কাছে এরূপ তথ্য আছে ?
যদি না থাকে, তাহলে মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যমগুলো কেন একটি একটি পক্ষকে ভালোভাবে এই ধরনের অভিযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং তা প্রচার করছে ?
এমন যদি হয় যে, এই রূপ তথ্য নিতে গিয়ে দেখা গেল যে, বিরোধী পক্ষের মানুষজন ও ব্যবসায়ীরাই গত এক দশক ধরে এক চেটিয়াভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোর পরিচালনা সহ অধিকাংশ বিষয়গুলোতে যুক্ত থেকেছে, তাহলে দেশের জনসাধারণের একটা বড় অংশের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী একটি রাজনৈতিক দল এবং দেশের জনগণের একটা বড় অংশের হৃদয়ে মননে ও মস্তিষ্কে অবস্থান করা, দেশের অভ্যন্তরীণ চেহারা পাল্টে দেয়ার এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের জায়গা থেকে জাতিগতভাবে একটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেয়ার কারিগর এর উপর এই ধরনের অপমানজনক ও ঢালাও অপবাদের দায়ভার কে নেবে ?
বিরোধী ঐসকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, যারা তলে তলে এসবের সুবিধাভোগী হয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছে?
না কি যারা তাদের এই ধরনের অপপ্রচার চালানোর ক্ষেত্রে বা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছে ?
আফসোস লাগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নৈতিক অধঃপতন এবং বিরোধীদের অনৈতিক উত্থানের বিষয়টি ভাবলে, যে আওয়ামী লীগ এক সময় রাজনীতির মারপ্যাঁচে পাকিস্তানি গন তাদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালিয়েছে, বাঙালি জাতিকে অন্যায় অত্যাচার এবং নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করেছে, আজকে সেই আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিরোধী পক্ষ গুলি চালাচ্ছে, অনেকটা কাঁঠাল খাওয়ার পর অন্যের গোঁফে কাঁঠালের আঠা লাগিয়ে দেয়ার মত বিষয়টি,
যদিও বিষয়টি প্রমাণযোগ্য নয় অন্তত আমি প্রমাণ করতে পারবো না বিধায় স্বীকার করে নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং লোকজনদের পিছনে বিরোধী পক্ষের এত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের খরচ পাতিসহ, সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জনিত রোগের কারণেও নেতৃবৃন্দের সিঙ্গাপুর তথা বিশ্বের নামিদামি দেশগুলোতে চিকিৎসা এবং চেকাপের জন্য ঘন ঘন যাতায়াত এর বিষয়টির সাথে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য ব্যয় হওয়া অর্থের সাথে সংযোগ খুঁজে থাকেন। সেই সাথে দেশের অভ্যন্তরে নেতাকর্মীদের খাওয়ানো পরানোসহ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরে অনৈতিক টাকা পয়সার বন্যা বয়ে দেয়ার আশঙ্কা করেও সরকারি পদ্ধতিতে ব্যয় করা অর্থ এর সাথে একটা সংযোগের অভিযোগ করে থাকেন অনেকে।
একমাত্র রাষ্ট্রই বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ করতে পারে যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তবে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নাগরিক হিসেবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিষয়টির আলোকে আমার মনেও অনেক কৌতুহল আছে বা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। আমরা নাটক ও সিনেমা প্রচারের আগে ডিসক্লেইমার নামক লেখা দেখতে পাই, যেখানে লেখা থাকে যে এই নাটক বা সিনেমার কাহিনী এবং চরিত্রের বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক। এদের সাথে কারো কোন কিছু মিলে গেলে বা সামঞ্জস্য থাকলে নির্মাতা বা প্রদর্শক দায়ী নয়। কোন টকশো প্রচারের আগে কি এই রূপ কোন বিষয় বলে নেয়া হয় ?
তাহলে উক্ত প্রচার মাধ্যমে প্রদর্শিত বা কথিত বিষয়গুলি যদি আমার নিজের জন্য মানহানিকর হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা, যাকে আমরা বা আমার মত অনেকেই মননে মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে ধারণ করে থাকে, সেই জননেত্রীর জন্য যদি বিষয়গুলো অপমানজনক অপবাদ ও কুৎসা রটনার পর্যায়ে পরে যা কিনা আবার প্রমাণ করা অসম্ভব , তাহলে কেন দেশের প্রচলিত আইনে এই বিষয়গুলো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না ?
একজন মানুষ যদি তার নিজের মানহানির জন্য রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে পারে, তাহলে সেই মানুষদের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দলের নামে ঢালাওভাবে অপবাদ বা কুৎসা রটনার ক্ষেত্রে কেন উক্ত দলের বা সংগঠনের সম্মানহানির জন্য রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাওয়া যাবে না ?
আমি বিষয়টি আওয়ামী পক্ষ হয়ে উত্থাপন করলেও, আওয়ামী বিরোধী মতাদর্শের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো ও একই রূপ অভিযোগের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের দ্বারস্থ হতে পারবে না কেন ?
যদি সত্যি কারে এই এই সব অপবাদ ও অপমানযোগ্য অনৈতিক অপবাদ দেওয়া থেকে আমাদের নেতা-নেত্রী এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মুক্ত রাখা যায়, সেই সাথে প্রচার মাধ্যম গুলো কেউ যদি এই সমস্ত ঢালাও অপপ্রচার করা থেকে বিরত রাখা যায়, এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এইরূপ একটা আইন প্রণয়ন করা যায় যে, যেকোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যই হোক অথবা পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত হোক না কেন ? দুর্নীতি অভিযুক্ত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিডিয়া কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিতে পারবে না, এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকে, তাহলেও অটোমেটিক উক্ত ব্যক্তি এর রাজনৈতিক দলের সদস্য পদ স্থগিত হয়ে যাব। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বংশ পরিচয় এবং ছেলে-মেয়ে বা তার দ্বারা সুবিধা ভোগীদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে পরিচিত ও প্রচারিত হওয়ায় বা হতে থাকে যে সামাজিকভাবে তিনি এবং তার ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজন মুখ দেখাতে লজ্জা অনুভব করবে।
আমি মনে করি সেক্ষেত্রে দুর্নীতির অনেক অংশই কমে আসবে। সেই সাথে অধিদপ্তর বা ডিপার্টমেন্টগুলোকে একটি সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসলে, যে সিস্টেমের ফলে উন্নয়ন প্রজেক্টগুলো মাঠ পর্যায়ে থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত একটা চেইন সিস্টেম এর মধ্যে চলে আসবে, তাহলে এই সিস্টেমের কারণেই দুর্নীতি বা করাপশন কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। চলবে
লেখক: সদস্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
