জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি নৈতিক স্কোয়াড

নাটক ও সিনেমার ডায়লগ আওড়ানোর মত করে আওয়ামীলিগকে পঁচা দূর্গন্ধ যুক্ত মলমূত্র, ও জননেত্রীকে কেন্দ্র করে যেসব গালিগালাজ সহ কুৎসা রটানো হচ্ছে। এমনকি জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ব্যাক্তিগত এবাদত বন্দেগী (তাহাজ্জতের নামাজ সহ অন্যান্য আমল অজিফা) গুলোও কটাক্ষ করে রঙ্গতামাসায় পরিনত করা হচ্ছে। যা জননেত্রীকে নৈতিকভাবে ধারণ করা জনগনের ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রচন্ড আঘাত করলেও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেসব অভিযোগ খণ্ডানোর ও প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে।
আশ্চর্য হলেও সত্য যে, যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই দৃশ্যমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব হলেও, বিরোধী মতাদর্শিক দের পরিকল্পিত অপপ্রচার এবং সাধারণ মানুষের সহজ সরল চিন্তাভাবনা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামী লেবাসে কিছু অনৈতিক মানুষের দুর্নীতির মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার কাহিনী এবং হাজারও উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে কিছু প্রকল্পে পরিকল্পিত ভাবে নিয়মের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে দুর্নীতির নাটক মঞ্চায়ন করে, দেশের ডিজিটালাইজেশন কে ব্যবহার করে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে, দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে উন্নয়ন মানেই দুর্নীতিমূলক একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করার একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বলা যেতে পারে যে, বিরোধী পক্ষ একাজে অনেকটাই সফল হয়েছে।
সাংবাদিক বা রাজনৈতিক বা শহুরে বা সুবিধাবাদী ধনীক শ্রেণীর লেবাসে নয়, বরং একই শ্রেণীর বা একই লেভেলের একজন হয়ে যদি উক্ত শ্রেণীর লোকজনদের সাথে মিশতে বা কথা বলতে বা রাজনৈতিক আড্ডা দিতে পারেন। তাহলে আমার কথার সত্যতা অনেকটাই অনুধাবণ করতে পারবেন। দেখবেন ফরিদপুর বা কোন এক উপজেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মাপকাঠিতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন গুলোর সকল নেতাকর্মীদের এবং বালিশ ও পর্দা কেলেঙ্কারির মাপকাঠিতে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলোকে মাপা হচ্ছে।
মার্কিনীদের অনৈতিক তৎপরতা এবং বিরোধী মতাদর্শের কিছু সাংবাদিক, কলামিস্ট ও অনার্দশিক লোকজনের দেশে থেকে ও বিদেশে অবস্থান করে, যুক্তিতর্ক হীন ও ঢালাও ভাবে আওয়ামীলীগ ও জননেত্রীকে আক্রমণ করা সহ অনৈতিক অপবাদ দেয়া হলেও প্রতিবাদ করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। নেত্রীর উপর আসা যে কোনো ধরনের অন্যায় অপবাদ এবং আক্রমণের সময় যেমন তারা নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেও দ্বিধাবোধ করতে না। তেমনই নেত্রীর পক্ষে বলা বা প্রচার করা যে কোন কথা বা স্লোগানকে তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকতে পরে না। এবং লাইক, শেয়ার ও কমেন্টস করতে দ্বিধাবোধ করে না। কারণ এটা ব্রেইন এর খেলা, ব্রেইন তার উপর আসা যেকোন ক্রিয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য, যেমন আমাদের নিজের ও পরিবার সহ একান্ত আপনজনদের উপর আসা যেকোন ক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্রেইন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকে, যেখানে যুক্তি, তর্ক, লাভ,ক্ষতি বিচার ও বিশ্লেষণের কোন সুযোগ থাকে না থথথথ'
বিষয়টি রাজনীতিবিদদের জন্য প্রযোজ্য নয়, কারণ রাজনীতি করা আর কাউকে বা কোন আদর্শকে ব্রেইনে ধারণ করা এক জনিস নয়। রাজনীতি আর রাজনীতিবিদেরা নানান ফ্যাক্টর দ্বারা পরিচালিত বা প্রভাবিত হয়, কিন্তু ব্রেইনে অবস্থান করা নৈতিকতা বা অনৈতিকতা কোন কিছুর দ্বারাই প্রভাবিত বা পরিচালিত হতে পারে না।
উদাহরণ : মশা সহ যেকোন ছোট/বড় যেকোন প্রাণীর আক্রমণে মুহূর্তের মধ্যেই (অটোমেটিক) হাত চলে যায় তা প্রতিহত করতে, সন্তান আক্রান্ত হলে মাতাপিতা আসন্ন বিপদ বা অপদের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পরে উদ্ধার করতে, পরিবার/পরিজন ও ভবিষ্যতের অনিশ্চিত দিনগুলোর কথা চিন্তা না করে প্রেমিক/প্রেমিকা বেড়িয়ে পরে অজানার উদ্দেশ্যে।
এরকম হাজারও উদাহরণ দেয়া সম্ভব, যেখানে ব্রেইন তার তার চিন্তা-চেতনা ও যুক্তি-তর্কের সময় বা ফুসরত পায় না অথবা ব্রেইন তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও যুক্তি-তর্ক দ্বারা উক্ত বিষয়ে বা সাবজেক্ট এর ক্ষেত্রে বিচার ও বিশ্লেষণ করতে অপারগ হয়ে পরে। কারণ উক্ত বিষয় বা সাবজেক্ট ব্রেইনে এমন ভাবে অবস্থান করে যে, উক্ত বিষয় বা সাবজেক্ট-ই তখন ব্রেইনকে প্রভাবিত ও পরিচালিত করে, অন্তত উক্ত বিষয় বা সাবজেক্ট এর নিজস্ব বিষয়াদি বা আদর্শের ক্ষেত্রে।একারণে সব আওয়ামীলীগ এর সদস্যই নেত্রীর উপর আসা অন্যায়।
২: চউই ব্যতীত ইঞ্জিনিয়ারিং প্রত্যেকটা সেক্টর থেকে বিএনপি গত এক দশকে এককভাবে সরাসরি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে , যেটা প্রমাণ করা সম্ভব।
২. গত এক দশকে আওয়ামী পন্থী কোম্পানির এখানে নিগৃহীত হয়েছে সম্পূর্ণরূপে যা প্রমাণ করা সম্ভব।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিং এ সকল ডিপার্টমেন্টের যে সমস্ত প্রজেক্টগুলি ফরেন ফান্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে এবং ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়েছে, সেখান থেকে হিউজ পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে বিদেশি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে পাচার হয়েছে যার সাথে না বিএনপি না আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই জড়িত নয়। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষা ড্রয়িং ডিজাইন এবং সিস্টেম এর মাধ্যমে টাকাগুলো দেশের বাইরে চলে গিয়েছে। শুধু রাজনীতিবির জন্য অন্য শিক্ষায় শিক্ষিত কারো পক্ষে বিষয়টি বুঝতে পারার কোন উপায় নেই। প্রমাণ করা সম্ভব।
৪, ছাত্রলীগ করে আসা সব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলোতে চাকরি করা ইঞ্জিনিয়াররা কোথায় পোস্টিং পেয়েছে আর বিরোধী মতাদর্শে ইঞ্জিনিয়াররা কোথায় পোস্টিং হয়েছে এইটা বের করা খুব একটা জটিল বিষয় নয়, যার দ্বারা অনেক কিছুই বুঝতে পারার কথা।
৫. সব থেকে বড় কথা অত্যন্ত চতুর্দার সাথে ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার উভয় পক্ষই নিজেদের মতো করে কাজ করে মিডিয়াতে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। ইচ্ছাকৃতভাবে টেন্ডার ডকুমেন্টের মধ্যে অতি অল্প দামের বিষয়কে অনেক বেশি দামে কোট করে এবং বেশি দামের জিনিসে কম দামে কোট করে। টোটাল প্রাইস সমন্বয় সমন্বিত করে যেমন নিয়মের মধ্যে ফেলে কাজটি নিজেরা বাগিয়ে নিয়েছে। তেমনই মিডিয়া কে কৌশলে ব্যবহার করে এবং জনসাধারণের সাধারণ সেন্টিমেন্ট কে কৌশলে ব্যবহার করে। সরকার এবং সরকার প্রধান শেখ হাসিনা কে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়ে আওয়ামীলীগ এর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়েছে দলীয় মানসিকতার সিন্ডিকেট এর সদস্য ব্যবসায়ী এবং ইঞ্জিনিয়ার গণ যার ভাগ দেশের বাইরে লন্ডন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। অনেকটা শিয়ালের কাঁঠাল খেয়ে আরেকজনের মুখে আঠা লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
৬.ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট গুলোর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডার পদ্ধতিকে ব্যবহার করে ইউজ পরিমান টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে যা থেকে আপাতদৃষ্টিতে উভয়পক্ষের রাজনীতিবিদায় বঞ্চিত, আওয়ামী লীগ তো বটেই তবে শেষ পর্যন্ত সেখানকার অংশ বিএনপির কোষাগারে যায় নাই তারি বা প্রমাণ কোথায়?
৭. আজকে বহির্বিশ্বে বিএনপি বিদেশে যেভাবে টাকা উড়াচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ আন্দোলন সংগ্রামে কর্মী সমর্থকদের যেভাবে খাওয়া দাওয়া আসা যাওয়া সহজ থাকার খরচ ব্যবহার বহন করে চলেছে, মূলত এই অর্থের যোগানদাতা জননেত্রীর কষ্টে তৈরি করা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড গুলো, কারিগর আমরাই ইঞ্জিনিয়াররাই।
৮. ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি নামে একটি পদ্ধতি আমরা টেন্ডার এর ক্ষেত্রে থাকি, মূলত এই পদ্ধতিটাই হচ্ছে সিন্ডিকেট পদ্ধতি। এর মাধ্যমে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ কয়েকটা কোম্পানি। যার দ্বারা সমস্ত কাজগুলো করিয়ে নেয়ার হাতিয়ার। প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে এই পদ্ধতি প্রয়োগ ঘটিয়ে অধিকাংশ কাজই কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানি কে দিয়ে করানো হয়। উক্ত কোম্পানীগুলোর, মুজিব কোটের আড়ালে অরিজিনাল চেহারাটা খুঁজে বের করা খুব জটিল কিছু কোনো কাজ নয়।
৯. মধ্য ক্ষত শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় রাজনৈতিকভাবেও এই সেক্টর থেকে বিএনপি লাভবান হয়েছে, মেগা প্রজেক্ট মেগা দুর্নীতি এর কথা বলে দায়ভার আওয়ামী লীগের উপর চাপানো হয়েছে,। জননেত্রীর উপরে চাপানো হয়েছে।
৮. এই জায়গাটাতেই আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরো সিনারিটা ভরিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী লীগের ঘাড়ে বন্ধুদেরকে বিএনপি গুলি চালিয়েছে এতদিন, এখন বন্ধুত্ব শুধু ঘুরিয়ে ধরতে চাই।
প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ সামাজিক মিডিয়ায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পাশাপাশি দুর্নীতি এর সাথে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইয়ে দিতে চাই।
নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার মাথার উপর থেকে দুর্নীতির অভিযোগটা লন্ডনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাই। সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রোগ্রাম আমার নেতৃত্বে আমরা করব সাজাবো, কোন মন্ত্রী বা রাজনীতিবিদ এর উপর বিষয়টি আসবে না। আওয়ামী লীগের উপর তো নয়ই। শুধু প্রয়োজন জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সমর্থন সহ আইইবি এবং মৃত বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদকে পাস কাটিয়ে আমাকেসহ নির্যাতিত কয়েকজন ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া এবং সাপোর্ট দেওয়া, কোন কোন জায়গা থেকে বাধা আসবে সেগুলো আগে থেকেই আমরা জানিয়ে দেবো সেই বাধা গুলো প্রতিহত করার ক্ষেত্রে নেত্রীসহ প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন।
৯, বুয়েট চুয়েট রুয়েট কুয়েট এর প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ ছাত্রলীগের পোস্ট হোল্ডকাড়ি প্রকৌশলীবৃন্দ, যারা হয়তো সরকারি ডিপার্টমেন্ট এ চাকুরী করে, অথবা ব্যবসা করে, তারা একসঙ্গে সংবাদ মাধ্যম সহ সরকারের সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহ প্রণীত হয়ে আবেদন করবে। যে গত ১০ বছরে তারা কোন ভাবে অবৈধ সম্পদের মালিক হয় নাই। এমনকি গত ১০ বছর আগে আর বর্তমানে তাদের বউ বাচ্চাদের এমন কি পিতা-মাতার সম্পত্তি ছিল এবং এখন কি হয়েছে। সমস্ত তথ্য তারা স্ব প্রণোদিত হয়ে সরকার এবং মিডিয়াকে সরবরাহ করতে আগ্রহী। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ঘাড়ে বিএনপি যে দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়েছে বিশেষ করে জননেত্রীর ঘাড়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ চাপানো হচ্ছে সেইটা যে ঠিক নয়। বরং উল্টো ঘটনা ঘটেছে, একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে এই ক্রাইসিস মুহূর্তে জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এবং তার পাশে দাঁড়াতে আমরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সহ পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করব। আমার কুয়েতের ৪৬০ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীর পক্ষ নিয়ে আমি নিজে চ্যালেঞ্জে দাঁড়িয়ে যাবো। এরকম প্রত্যেকটার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। একই মঞ্চে সমস্ত ধরনের সাংবাদিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সামনে।
শুধু এরকম নয় আরো বিভিন্ন কর্মসূচি পরিকল্পনা আমার এবং আমাদের মাথায় আছে যার দ্বারা সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে এক দেড় মাস পুরা আলোচনার বিষয়বস্তু এর তীর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। শুধু দরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সাপোর্ট সহ আপনার সহযোগিতা। আশা করি আওয়ামী লীগের উপর থেকে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকটাই লাঘব পাবে।
এছাড়াও আরেকটি বিষয় এ আওয়ামী লীগ দুর্দান্তভাবে সুবিধা পাবে সামনের নির্বাচনে। সকল ডিপার্টমেন্টের সব ইঞ্জিনিয়ারগন বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারগন নিজেদের চাকরি এবং অস্তিত্ব ঠিক রাখার জন্য অধীনস্থ ঠিকাদার দেরকে সঙ্গে নিয়ে ঠিক সেই ভাবে আওয়ামীলীগের পক্ষে নির্বাচনী কাজে সহায়তা করতে বাধ্য হবে।
আমি চ্যালেঞ্জ সহকারে বলতে পারি যে এটা করাতে পারব। জননেত্রীর সমর্থন সহ আমাকে সভা সমাবেশ বক্তৃতা বিবৃতি এবং মুভমেন্ট করার স্বাধীনতাসহ ব্যবস্থা আমি বা আমরাই করে নেব। শুধুমাত্র আই ই বি কেন্দ্রিক তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃবৃন্দ এর পক্ষ থেকে যে বাধা আসবে সেই বাধা গুলোকে প্রতিহত করতে জননেত্রী সমর্থন এবং আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিষয়গুলোর কোন ইম্প্যাক্ট আমাদের কোন মন্ত্রী মহোদয়ের উপরে এসে পড়বে না গ্যারান্টি দিচ্ছি। আওয়ামী লীগের কোন নেতৃবৃন্দের উপরে পরবে না, গ্যারান্টি দিচ্ছি। শুধুমাত্র জনগণকে বোঝানোর জন্য প্রমাণ কিছু তথ্য প্রমান উপস্থাপন করা হবে।
সত্যি কথা বলতে কি? পুরো প্রকৌশলী সমাজের কোন জাত কুলমান এবং রাজনৈতিক আদর্শ বলতে তেমন কোন কিছু নেই। এরা শুধু অর্থনৈতিক আদর্শটাই বোঝে। কাজেই এদেরকে রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের জন্য ব্যবহার করা, খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আন্তরিকতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এর সঠিক ব্যবহার। দরকার জননেত্রী সমর্থন এবং আপনার সহযোগিতা।
উল্লেখ্য জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ ব্যবসা ব্যবসায়ীদের উপর রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের অকল্পনীয় প্রভাব এবং পর্দার আড়ালের বিশেষ সম্পর্ক। মূলত এই জিনিসটাকেই এবারের নির্বাচনে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে চাই বা ব্যবহার করাইতে চাই, এক কথায় ইঞ্জিনিয়ারদের এই প্রভাবটাকে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জন্য কাজে লাগাতে বাধ্য করতে চাই। হিতে বিপরীত তো নয়ই, কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতিসহ ভোটের নিয়ন্ত্রণ এর পুরোটাই উনাদের মেকানিজম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। প্রয়োজনে আপনার বিশেষ বাহিনী বিশেষভাবে আমাদের এই কাজের সাথে যুক্ত থেকে অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি তে কোথাও কোন বিশেষ ডিফেক্ট ফাইন্ড আউট করতে পারলে, সমন্বিত এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেই ডিফেক্ট গুলোকে সারিয়ে নেয়াও সম্ভব।
নিশ্চয় আওয়ামী লীগের অনেক নামিদামি লোকজন নিয়ে এই ধরনের কাজ করার জন্য টিম তৈরি করা হয়েছে বা হচ্ছে। আমরা সেগুলোর সাথে যুক্ত হতে চাই না। সেগুলো তাদের নিজের মত কাজ করুক। আমরা জননেত্রীর স্পেশাল একটা বাহিনীর মত আলাদা ভাবে আপনার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাব আপনাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে।
শুধুমাত্র কয়েকটা অনুষ্ঠানসহ কিছু কার্যক্রম এর দরকার। আপনার এবং জননেত্রীর উপস্থিতিতে তুলে ধরতে চাই। আনোয়ার কোন রাজনীতিবিদ কে আমরা বিশেষ করে আমি এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় বলতে রাজি নই।
১০. সর্বশেষ প্রস্তাবনা হচ্ছে, যদি আমরা সাফল্যের সাথে এই নির্বাচনী বইতরনী পার হয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করতে পারি। তাহলে আমরা একটা সিস্টেম ডেভলপের জন্য একটা প্রেজেন্টেশন দেবো, অতি ছোট এবং সহজ হবে যে সিস্টেমের কারণে ৫০ কোটি টাকার উপরে যে কোন প্রজেক্ট এর অভ্যন্তরীণ সমস্ত বিষয় জননেত্রীর নজরে থাকবে, উনার নির্দেশনা ব্যতীত কাজের কষ্টিং যেমন এক টাকাও বৃদ্ধি পাবে না, কাজের জন্য নির্ধারিত সময় একদিনও বেশি লাগবে না, আবার উনার নির্দেশনা কারণে যেকোনো পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু জনগণ ও বিরোধীদল এ বিষয়ে কোনো পক্লেইম করার সুযোগই পাবে না।
এটা কোন নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এর জন্য বলছি না, প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন ছোট্ট একটা স্পেশাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেল এর দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল এবং সিভিল সমস্ত প্রজেক্ট গুলোকে মনিটর করা সম্ভব। যদিও ডিপার্টমেন্ট আলাদা ভাবে যা করছে টা করে যাবে। এরা অনেকটা ইন্ডিয়ার সিবিআই এর মত স্পেশাল পাওয়ার নিয়ে, প্রয়োজনে প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে সময়মত তুলে ধরবো।
( চলবে......)
লেখক: সদস্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
