মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে গ্রেফতার ৯

দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস একই চক্র দীর্ঘ বিশ বছর ধরে করে আসছে। এই চক্রের প্রধান গুরু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিংপ্রেসের মেশিনম্যান মো. আব্দুস সালাম খান। এই প্রশ্নফাঁসের গুরু পারিবারিক ও বংশপরম্পরা আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বছরের পর বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে আসছে। আর এই প্রশ্নফাঁস করেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বছর ধরে বংশপরম্পরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে আসছে। ফলে এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর তদন্তও শেষ করা যাচ্ছে। একটি মামলার সূত্র ধরেই প্রতিবছর ফাঁসকারীরা ধরা পড়ছে। গত দুইদিনেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৫ চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলার তদন্তে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুর, নীলফামারী, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁস চক্রের গুরুত্বপূর্ণ হোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ হাপ্পুসহ ৫ চিকিৎসক এবং অন্য চারজনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিংপ্রেসের মেশিনম্যান গত ২০০২ সালের দিকে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির আগে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর তাদের কাছে ভর্তি পরীক্ষার আগে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে দিতেন। এরপর তার সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী চক্র তৈরি করা হয়। আর চক্রের সদস্যদের নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতারমতো গড়ে তোলা হয় মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার কোচিংসেন্টার। এই মেডিকেল কলেজে ভর্তি কোচিংয়ের নামে সংঘবদ্ধ চক্র প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অপরদিকে এই প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের নামে সুপ্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ ভর্তি কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা নানা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিংপ্রেসের মেশিনম্যান মো.আব্দুল সালাম খানের কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে তারই আপন খালাত ভাই তার সহযোগিতায় সারাদেশেই মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ ও আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা হতো। আর এসব ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র উচ্চমূল্যে অবৈধভাবে বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন। আর এসব অর্থ দিয়ে গত ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন। আর এই চক্রটি গত ২০১১, ২০১৫ ও ২০২০ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষার অপরাধ আইনের ১৯৮০ সালের ৪(খ) ১৩ এর পেনাল কোর্ড ৪০৬, মিরপুর মডেল থানায় গত ২০-০৭-২০২০ সালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্তের একপর্যায়ে একজনের কাছে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র পাওয়া গেছে। এই ৩৩টি ব্যাংক হিসাব হতে গত ২০০৬ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২১ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে। আবার ২১ কোটি ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন ও হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন আব্দুস সালাম খান। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিংপ্রেসের মেশিনম্যান বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গত ২০০১ সাল থেকে চাকরি করতেন। সালামের কাছ থেকেই অর্থের বিনিময়ে সেই প্রশ্নটি তার আপন বড় বোন শাহজাদী আক্তার ওরফে মীরা সংগ্রহ করতেন। এরপর মীরা এককালীন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা তার খালাত ভাইয়ের কাছে বিক্রি করতেন। এরপর তিনি তার আপন ভাতিজাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেডিকেল ও ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতেন। আদালত সূত্র জানায়, এই চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে গত ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারাদেশে এমবিবিএস এবং ডেন্টাল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। ফলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় মেধাবীদের বঞ্চিত করে অবৈধ উপায়ে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুযোগ করে দিয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে মেডিকেল ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে ১২ জন চিকিৎসকসহ ১৭ জন সিআইডির অভিযানে গ্রেফতার হন। তাদরে মধ্যে ১০ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার, সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশনস, সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) সিআইডি ঢাকা এক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন।
উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খান ওরফে কারিম খুললার থ্রি ডক্টসর নামের একটি মেডিকেল কলেজ ভর্তি কোচিংসেন্টারের মালিক। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তি বাণিজ্য করে আসছেন। আর তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে এসব অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সহযোগী মুসতাহিন হাসান এবং নাজিয়া মেহজাবিন তিশা ফ্রি ডক্টরস কোচিংসেন্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। অর্থের বিনিময়ে খুলনার থ্রি ডক্টরস নামে মেডিকেল ভর্তি কোচিংসেন্টারের মালিক ডা. ইউনুচ উজ্জামান খান তারিমের স্বীকারোক্তিতে ফাঁস করা প্রশ্নের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজে গত ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হন। আর আদালতের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লুইস সৌরভ সরকার বলেছেন, মুসতাহিন হাসান এবং নাজিয়া মেহজাবিন তিশা থ্রি ডক্টরস কোচিংসেন্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা অর্থের বিনিময়ে সেই কোচিংসেন্টারের ফাঁস করা প্রশ্নের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
সিআইডির সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট সিআইডির সাইবার টিম রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মেডিকেল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত ৭জন চিকিৎসকসহ ১২জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুলসংখ্যক ব্যাংকের চেক এবং এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চক্রের প্রধানের কাছ থেকে একটি ডাইরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডাইরিতে চক্রের সদস্যদের নাম, ঠিকানা উদ্ধার করে সিআইডি। আর ১৩ আগস্ট গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডা. মো. ্ইউনুস উ্জজামান খান তারিম, ডা. লুইস সৌরভ সরকার, ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়া, ডা. শর্মিষ্ঠা মন্ডল, ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা।
ডা. মো. উইনুচ উজ্জামান তারিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। কিন্তু তিনি চিকিৎসা পেশা বাদ দিয়ে মেডিকেল ভর্তি কোচিংসেন্টার ‘থ্রি ডক্টরস কোচিং’ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজেকে ডাক্তার তৈরির কারিগর বলা হলেও প্রশ্নফাঁস করে শত শত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। আর এই প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়াকে থ্রি ডক্টরস কোচিংসেন্টার ছাড়াও মালিকের বাসায় পড়ানো হতো। অন্যের চেয়ে তিনি কম মেধাবী হওয়ার পরও তারিমের স্পেশাল ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জাতীয় মেধায় ১১তম হওয়ার পরও ৪টি ফাইনার প্রফেশনাল এক্সামিনেশনের সব বিষয়ে ফেইল করেন। পরে একাধিক চেষ্টায় তিনি পাশ করেন। আর লামিয়ার কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে চাঞ্চ পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যেই আলোচনা হয়। তার ভর্তির জন্য লামিয়ার স্বামী ১৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।
অপরদিকে গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মোট ১৭ জন গ্রেফতার করে সিআইডি। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিফূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভুইয়া মুন্নুর কাছ থেকে একটি গোপন ডাইরি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডাইরিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল কলেজ ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা উদ্ধার করা হয়েছে। আর চক্রে অন্যান্য সদস্যদের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১০ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৭জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাকসুদা আক্তার মালা, ডা. কে এম বশিরুল হক, ডা. অনিমেষ কুমার কুন্ডু, জাকিয়া ফারইবা ইবানা, সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা। এদের মধ্যে মাকসুদা আক্তার মালা রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা। গত ২০১৫ সালে তার মেয়ে ইকরাসহ ৭জনকে ফাঁস করা প্রশ্নের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। আর ডা. কে এম বশিরুল হক খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিংসেন্টারের পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁসে জড়িত। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
অপরদিকে সিআইডির অভিযানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৫ চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলার তদন্তে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুর, নীলফামারী, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁস চক্রের গুরুত্বপূর্ণ হোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ হাপ্পুসহ ৫ চিকিৎসক এবং অন্য চারজনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। চক্রের মাস্টারমাইন্ড এর গোপন ডাইরি থেকে চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। এরপর প্রশ্নফাঁসের জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল, মো. রায়হানুল ইসলাম সোহান, বকুল রায় শ্রাবণ, মো. আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু, ডা. মো. সোহানুর রহমান সোহান এবং ডা. তৌফকিুল হাসান রকি। তাছাড়া রাজধানীতে এক অভিযানে ডা. ফয়সাল আলম বাদশা এবং ডা. ইবরার আলমকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি ২০১০ সাল থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে সিআইডি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর তদন্ত চালমান রয়েছে। গত দুইদিনের অভিযানের আগে মোট ৩৬জন গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই ৯জনসহ মোট ৪৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

পলাশীর পরাজয় ছিল জাতীয় চেতনার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা : বাংলাদেশ কংগ্রেস

রাজধানীর তাঁতী বাজারে নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারন

আবুল বাশারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি ভুক্তভোগীর

যাত্রা শুরু করল নতুন অনলাইন সংবাদপত্র ‘নিরাপদ ঢাকা নিউজ’

ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ ঘোষণা

খাল রক্ষায় নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ

ফল উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫

দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন ও পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

এম জাহাঙ্গীর হোসেনের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের ২০২৫-২৬ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা

অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে তাদের সদস্যপথ নবায়ন হবে না: মোস্তফা জামান

খিলগাঁও বনশ্রীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ
