মাটি দিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্ম করতে পারেন হরিরামপুরের তপন পাল

তপন পাল জানান, তিনি ২০১৫ সালে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে লেখাপড়া আরর চালিয়ে যেতে পারেননি। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন পরিবারের সদস্যদের মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে। পরিবার থেকেই মাটির কাজ শিখলেও তার ইচ্ছা ছিল একটু এগিয়ে। মাটির বিভিন্ন শোপিস তৈরিসহ ভাস্কর্যের প্রতি ছিল টান। সেই থেকেই শুরু। ভাস্কর্য তৈরির কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজের ইচ্ছাশক্তির বলেই ভাস্কর্য গড়ছেন তিনি।
তপন পাল বলেন, গত কয়েক বছরে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ ৮-৯টি ভাস্কর্য বানিয়েছেন। তার দাবি তাকে যে কারো ছবি দিলেই, তিনি তার ভাস্কর্য তৈরি করে দিতে পারবেন। তবে এলাকায় তার এমন প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ কম বলে মনে করেন তপন। তিনি বলেন, এলাকায় এসবের চাহিদা নেই। দেশের অনেক জায়গায় অনেক ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। যদি সুযোগ-সহযোগিতা পাই, তাহলে হয়তো একদিন আমিও তেমন ভাস্কর্য নির্মাণ করতে পারব।
বংশীয় পেশায় ছেলে একধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছে বলে খুশি তপনের বাবা হরিপদ পাল। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তপনের বিভিন্ন শোপিস ও ভাস্কর্য তৈরির ঝোঁক ছিল। এখন কারও ছবি দিলেই তপন তার ভাস্কর্য বানিয়ে দিতে পারবে। তবে, আর্থিক সমস্যার কারণে তপনের এমন প্রতিভা বিকাশের বড় সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, "তপন যদি আরও সুযোগ ও সহযোগিতা পায়, তাহলে অনেকদূর যেতে পারবে।
তপনের বোন চাম্পা রানী পাল বলেন, বংশপরম্পরায় আমাদের সবাই হাঁড়ি-পাতিলসহ মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র ও বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করে আসছে। তপন বিভিন্ন শোপিসসহ ভাস্কর্যও তৈরি করতে পারে। এমনকি কারো ছবি দিলে তা দেখেই তার ভাস্কর্য বা মূর্তি বানাতে পারে। দিন দিন মাটির তৈজসপত্রের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। বাপ-দাদার দীর্ঘদিনের পেশা এখন প্রায় বিলুপ্তির মুখে। ভাস্কর্য তৈরি তপনের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান হতে পারে। এতে বাপ-দাদার পেশাটাও টিকে থাকবে। সুযোগ-সহযোগিতা পেলে তপন হয়তো অনেক উন্নতি করতে পারবে। এজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তপনের বড় বৌদি সুমা রানী পাল বলেন, তপনের বাবা ও অন্য দুই ভাই তৈজসপত্র ও মূর্তি তৈরি করলেও ভাস্কর্য তৈরির কাজ পারে না। তপনের হাতের কাজ অনেক ভালো। অনেকেই ওর কাজ দেখতে আসে।
তপনের প্রতিবেশী মো. নিফাজদ্দিন শেখ এসেছিলেন তপনের ভাস্কর্য তৈরি দেখতে। তার মতো এলাকার অনেকেই তপনের কাজ দেখতে আসেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, তপনের হাতের কাজ অনেক ভালো। আমাদের ভালোই লাগে। ও যে কাজ করে এই কাজ এখানে হয় না।
এমএসএম / এমএসএম

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'
