হাসপাতালে কুকুরের বিচরণ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে
ছিচকে চোর ওষুধ চোর মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। রাজধানীর ছিঁচকে চোর, প্রায় অধশত কুকুর, মাদক সেবী-মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধীরা অবাধে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিচরণ করছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। অথচ দেশের বৃহৎ এই সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় ৩৫০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত আছেন। আছে একটি পুলিশ ক্যাম্প, সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও র্যাব সদস্যরা ডিউটি করছেন।
জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালের ৮ থেকে ১০টি প্রবেশ পথ রয়েছে। এসব গেটে চব্বিশ ঘন্টা আনসার সদস্যরা ডিউটি থাকেন। তাদের সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে প্রায় অর্ধশত কুকুর প্রবেশ করছে আবার বের হচ্ছে। এসব কুকুর হাসপাতালের তৃতীয় তলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, কেবি ব্লকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার বারান্দায় রোগীর স্বজন, মাদকসেবীসহ অপরাধীদের সঙ্গে শুয়ে থাকছে। হাসপাতালে তৃতীয় তলার দক্ষিণ পাশের একটি সিঁড়ির উপরে সম্প্রতি একজন রোগির খাবারের পাত্রে কুকুর মুখ দেয়। এসময় ওই রোগির লোকজন কুকুরটিকে ধাওয়া দিলে তা দৌড়িয়ে নিচে নেমে জরুরী বিভাগ দিয়ে বের হয়ে যায়। অথচ জরুরী বিভাগে বেশ কয়েকজন আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাদের সামনেই বিনা বাধায় এসব কুকুর প্রবেশ করছে, আবার বের হচ্ছে।
শুধু কি তাই ? দেশের সরকারি হাসপাতালের কর্মচারী, দালাল, ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, আনসার সদস্য ছাড়াও নার্স ও চিকিৎসকগণ রোগিদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠিরা সরকারি হাসতালে চিকিৎসার পরিবর্তে হয়রানীর শিকার হয়েই ক্ষ্যন্ত হচ্ছেন না, ওষুধ কোম্পানীর উপঢোকনের বিনিময়ে রোগিদের ভেজাল ওষুধ লিখে দিয়ে আরো মারাত্বক রোগে আক্রান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সকালের সময়কে বলেন, এগুলো তো ডাইরেক্টর সাহেব দেখবেন। তার পরও কালকে আমি ওদিকে যাবো। তাকে জিজ্ঞেস করবেন বলে জানান তিনি। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালালয়ের সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের নিজ নিজ কাজে অবহেলার জন্যই হাসপাতাল পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না, রোগীদের সাথে থাকা লোকদের ভিড় থামানো যাচ্ছে না, দালালদের দৌরাত্ম কমানো যাচ্ছে না। এর ফলে, হাসপাতালের সেবার মানও কাঙ্খিত পর্যায়ে নেওয়া যাচ্ছে না।’ গত বছরের ৩ জুলাই (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সকল জেলার সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কদের সাথে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি বিশেষ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেছিলেন।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন সারাদেশে অন্তত ১০ লাখ সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন। আর ১০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য জেলা শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালও রয়েছে। ওই সব হাসপাতাল থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অতিব দরিদ্র রোগিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আনা হচ্ছে।হত দরিদ্র রোগিরা ঢামেক হাসপাতালে এসেই প্রথমেই পড়ছেন দালালদের খপ্পরে।
ঢামেক হাসপাতালে দীর্ঘ সময় সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আর এসব তথ্যের প্রত্যেক জায়গায় রয়েছে, ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, কর্মচারীসহ দালাল সিন্ডিকেটের আধিপত্য। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কোন রোগি আনার পরই দালালচক্র দ্রুত সহযোগিতার নামে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপর তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, এখানে ডা. নেই। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে নিতে হবে, এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা রোগীদের ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। এরপর সেই হাসপাতালে যতদিন রোগি থাকবেন, ততক্ষণ তারা কমিশনের টাকা পাবেন।রোগী সুস্থ হোক বা মারা যাক, ছাড়পত্র নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কমিশন পাবেন।
আবার গুরুতর অসুস্থ রোগিকে হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে নিবিড় আইসিইউ প্রয়োজন হতে পারে। এমন রোগির স্বজনদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগেই বলা হচ্ছে, আইসিইউ খালি নেই। এজন্য সিরিয়াল দিতে। দিনের পর দিন পার হলেও আইসিইউ খালি পায় না রোগির স্বজনরা। অথচ হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও দালালদের চাহিদামত টাকা দেয়ার পরই তাদের ভাগ্যে আইসিইউ জোটছে। আবার রোগিদের সিট বরাদ্দের বিষয়ে এভাবেই সিট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশিদের চিকিৎসকদের কাছে যেতে দালালদের মাধ্যমে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। আর ওই সিরিয়ালের জন্যও অর্থ আদায় করা হয়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন, তখন আবার ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা গিয়ে চিকিৎসকদের ওই কোম্পানীর ওষুধ রোগিদের স্লিপে লিখতে বাধ্য করাে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পরীক্ষার কথা লিখে হাসপাতালের মেশিন নষ্ট বলে হাসপাতালের চার পাশে গজিয়ে উঠা প্যাথলজি সেন্টারের রোগিদের পাঠানো হচ্ছে। অথচ ঢামেক হাসপাতালের এক্সে মেশিন, ইসিজি, সিটিস্ক্যানসহ কোটি কোটি টাকার মেশিন রয়েছে। এসব মেশিন ভাল থাকার পরও চিকিৎসক ও দালালগণ বাইরে পাঠাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৮৬টি আইসিইউ রয়েছে। আর ৩০টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) আছে। এর মধ্যে নন-কোভিড আইসিইউ ৩২টি, কোভিড আইসিইউ ১০টি, নবজাতকের জন্য এনআইসিইউ ৩৮টি এবং ছয়টি পেডিয়াট্রিক (শিশু) আইসিইউ রয়েছে। এসব সিট ঘিরে রয়েছে শক্তিশালী সিণ্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মধ্যে হাসপাতালের কর্মচারী নেতা, আনসার কমান্ডার এবং একজন চিকিৎসক নেতার প্রতিনিধি। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সিটগুলো বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, ঢামেক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। হাসপাতালে আসার পরই তারা দালাল চক্রের নজরে পড়ছেন। দালালচক্র রোগির আর্থিক অবস্থা অনুধাবন করে আইসিইউ বরাদ্দ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু কি তাই ? এসব রোগিদের এজন্য এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করাসহ সব কিছুই তারা করে দিচ্ছেন। আর যে দালাল রোগী পাঠাচ্ছেন, তাকে ওই হাসপাতাল থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হচ্ছে। ঢামেকের কর্মচারী যদি রোগী পাঠান, তাকে প্রথমেই নগদ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর যদি রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগে তাহলে দালালকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। ঢামেক হাসপাতালের দালাল চক্রে রয়েছেন, পেট মোটা খলিল, শরিফ, সৌরভ ও সরদার মুরাদ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালালরা রোস্টার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটি করছেন। এদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ঢামেকের ২১১ (সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক), ২১২ (গাইনি বিভাগ) ও ৯৮ (অধিকাংশ দুর্ঘটনার রোগী) নম্বর ওয়ার্ডে। এসব দালালগণ কর্মচারী নেতা হান্নান গ্রুপে রয়েছেন, কাওসার, দুলাল ওরফে ভেজাইল্লা দুলাল, রুবেল, মজনু, কবির, সাইমন, শামীম, নাসির, উজ্জ্বল, সবুজ, অপু, ভাগ্নে শরীফ ও রব।এছাড়া, ট্যাক্সি কাশেম গ্রুপের ট্যাক্সি কাশেমের ভাই হুজুর মনির, ট্যাক্সি কাশেমের ভায়রা বিল্লাল, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয় সেলিম, খাইরুল ইসলাম, মোমিন গ্রুপের রুবেল, সজল, বিপ্লব, কবির, ২১১নং ওয়ার্ডের আনসার সদস্য স্বপন; হেদায়েতুল্লাহ সরকার গ্রুপের রিপন, বাবু (সুইপার), বিপ্লব, পিচ্চি খলিল ও শরিফ, ২১১নং ওয়ার্ডের সরকারি স্টাফ মনির ও রাজিব, ওয়াহিদ মুরাদ গ্রুপের মনছুর (২১২নং ওয়ার্ডের সরকারি স্টাফ) ও সোহাগ, শুভ গ্রুপের সাবিদ, শাওন ও মাহি।
আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরকারি ড্রাইভার জলিল, খোকন, কাজল, বাবু, ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাদার মিশর, হান্নান, এইচ এম মহিউদ্দিন, রায়হান হোসেন রনি, এনামুল হক, গামছা শাহ আলম, রমজান, সৌরভ, শিহাব, খলিল, জান্নাত, পেট মোটা খলিল, হানিফ, আলামিন, বিল্লাল, কামাল, পলাশ সরকারি স্টাফ, কালাম মিয়াজী, রহমত মিয়াজী সরকারি স্টাফ, আক্তার ট্রলিম্যান, রমজান চতুর্থ তলা আইসিইউ, দেড়শ ইমন, চুইল্লা কাশেম’, ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম, রনি, রুবেল, শাওন, হামিদুর রহমান সরকারি স্টাফ, বর্তমানে বাগানে ডিউটি, রানা, শিপন (ওটি), রাজিব সরকারি স্টাফ, সর্দার স্বপন ২১২নং ওয়ার্ড ও সর্দার মিন্টু, ২০২ নম্বর ওয়ার্ডের খোকন মিয়া সরকারি স্টাফ, ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের তুহিন, ইমরান, আফসানা, পারভীন, আজিম, জুয়েল, সুমনা আক্তার আসমা, ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোহেল ও ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরহাদ।
আরেক সুত্র জানায়. এসব দালা ও কর্মচারীগণ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত মাসহারা পেয়েছেন। এর বিনিময়ে ওই সব হাসপাতালে নানা কৌশলে রোগি পাঠায়। হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে, পান্থপথের ইউনিহেলথ হাসপাতাল, রিলায়েন্স হাসপাতাল (গ্রিন রোড), মাদার কেয়ার (ধানমন্ডি ২৭), হসপিটাল ২৭ প্লাস, ঢাকা ট্রমা সেন্টার (শ্যামলী), রাশমনো স্পেশালিস্ট হাসপাতাল মগবাজার ওয়ারলেস গেট, প্রশান্তি হাসপাতাল রাজারবাগ, কিওর স্পেশালিস্ট হাসপাতাল, বিওসি হাসপাতাল পান্থপথ, মদিনা হাসপাতাল যাত্রাবাড়ী, ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালিস্ট হাসপাতাল মাতুয়াইল, প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতাল সাইনবোর্ড, ধানমন্ডি উইমেন্স চিলড্রেন হাসপাতাল, চাঁনখারপুলের রয়েল কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল, মোহাম্মদপুরের ইস্টার্ন কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল, ধোলাইপাড় ডেল্টা হাসপাতাল, ধানমন্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতাল, রেমেডি কেয়ার হাসপাতাল, আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল শ্যামলী, ধানমন্ডি নিউ লাইফ হাসপাতাল,আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতাল,রেনেসাঁ হাসপাতাল ধানমন্ডি জিগাতলা, বিএনকে হাসপাতাল শান্তিবাগ। এসব দালালদের কারণে সারাদেশ থেকে রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, ঢামেক হাসপাতালে নবজাতক শিশুদের জন্য ৩৮টি এনআইসিইউ রয়েছে।যা রোগীর সংখ্যার তুলনায় অনেক নগন্য।ফলে দায়িত্বরত স্টাফ ও আনসারদের মাধ্যমে দালালরা নবজাতক শিশুদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে অর্থ উপার্জন করছে। রোগীর স্বজনদের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে কাজটি করেন তারা। এর এসব দালালদের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালকরাও জড়িত রয়েছে।
ঢামেক এর আনসার ক্যাম্পের পিসি- উজ্জল এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকালের সময়কে জানান, হাসপাতালে মোট ৩৫০জন সদস্য ডিউটি করেন। অফিস ডিউটি ছাড়াও বিভিন্ন ডিউটি করছেন। আবার অনেকেই ছুটিতে যান। আর হাসপাতালের বিভিন্ন গেট দিয়ে কুকুরের প্রবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কুকুর এই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জন্ম নিয়েছে। তাদেরকে এখানে অনেকেই খাবার দেয়। ফলে তারা এলাকা ছেড়ে অন্য কোথায় যায় না। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কুকুরগুলো প্রবেশের বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, এখানে ১৮ খেকেব ২০টি কুকুর হাসপাতালে প্রবেশ করে। কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এবিষয়ে একটি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এদেরকে মেরে ফেলা যায় না। আমি যেখানে থাকি, এই ভবনের ছাড়ে একটি কুকুর ৯ টি বাচ্চা দিয়েছে।এদের ত মেরে ফেলা যায় না।
এসব বিষয়ে ঢামেক হাপাসালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এমপিএইচ এর সঙ্গে কথা বলতে তার সেল ফোনে কল করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
এমএসএম / এমএসএম

স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধীদের সুইড বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স
