রেলে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
বকেয়া বেতন পরিশোধ, আউটসোর্সিং সিস্টেম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ী টিএলআর হিসেবে কর্মরত শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
গত সোমবার সকাল ১০টায় রেলওয়ে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তে ঢাকা সহ রেলওয়ের চার ডিভিশনের বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) অফিসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। রেলওয়েতে টিএলআর খাতে কোনও বাজেট ও মঞ্জুরি বরাদ্দ নাই দেখিয়ে ১লা জানুয়ারি থেকে রেলওয়ের বিভিন্ন দফতরে পোর্টার, গেইটকিপার (ট্রাফিক/ইঞ্জিনিয়ারিং), খালাসী, ওয়েম্যান, অফিস সহকারী, ওয়েটিং রুম (বেয়ারার) কেয়ারটেকার, সহ অন্যান্য পদে দীর্ঘদিন কর্মরত অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের বেতন এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে। বেতন কবে নাগাদ প্রদান করা হবে এ নিয়ে প্রশাসনকে বারবার তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনও সমাধান দিতে পারছে না। এতে করে রমজানে কর্মচারীদের পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আসছে পবিত্র ঈদে কিভাবে ঈদের আনন্দ ভাগ করবেন পরিবারে মুখে খাবার কোথায় হতে দিবেন তা নিয়েই হতাশা পড়েছেন রেলওয়ে কর্মরত টিএলআর কর্মচারীরা।
সরকারি নিয়োগ মানে দীর্ঘসূত্রতা। জনবল সংকট সামাল দিতে তাই টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) পদ্ধতিতে অস্থায়ী কর্মচারী দিয়ে দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল শুরুর লগ্ন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে (কাজ নেই, মজুরি নেই বা কানামনা পদ্ধতি) রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহৎ পরিবহনসেবা সংস্থাটির বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করছেন প্রায় সাত হাজার অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিক। তবে এ পদ্ধতি থেকে সরে এসে রেলওয়ে এবার আউটসোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগ দিতে চাইছে, তাতেই তৈরি হয়েছে কর্মচারী ও রেলের মধ্যে অস্থিরতা। দক্ষ লোকবল স্থায়ী করার বিপরীতে ছাঁটাই করে আউটসোর্সিং পদ্ধতি চালু হলে রেলওয়ের সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট ও বিশিষ্টজনদের।
অস্থায়ী টিএলআর কর্মীদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগে রেলওয়ে ২০১৮ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। যদিও এখন পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা। এর মধ্যে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বরের রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করে। সে অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় পদগুলোয় সরাসরি বা পদোন্নতির মাধ্যমে লোকবল নিয়োগের কথা। আর অন্যান্য পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নেয়ার কথা বলা রয়েছে। সর্বশেষ ১লা জানুয়ারি থেকে সব টিএলআর কর্মী বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং চালুর প্রক্রিয়া শুরু করায় নিয়োগবিধি লঙ্ঘন ছাড়াও রেলের জরুরি সেবা কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
রেলওয়ে নিয়োগবিধি ২০২০ অনুযায়ী, পি-ম্যান (পয়েন্টস ম্যান), গেটম্যান বা গেটকিপার, পোর্টার, খালাসি, ওয়েম্যান, ক্যারেজ খালাসি পদগুলো অত্যাবশ্যকীয়। এগুলোয় সরাসরি কিংবা পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে।
আর অ্যাম্বুলেন্স ক্লিনার, হসপিটাল ক্লিনার, স্ট্রেচার বেয়ারার, নিরাপত্তা প্রহরী, কনজার্ভেন্সি ক্লিনার, ডিসপেন্সারি ক্লিনার, প্যাথলজি ক্লিনার, বাগান মালি, মালি, বাবুর্চি, রেস্টহাউজ বেয়ারার, আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, বাবুর্চি কাম বেয়ারার (রেস্টহাউজ) নিয়োগের বিধান আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০১৮-এর অনুসারেই রাখা হয়েছে। কিন্তু রেলওয়েতে কর্মরত অত্যাবশ্যকীয়সহ সব টিএলআর কর্মীকেই বাদ দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে এসব পদে আউটসোর্সিংয়ের লোকবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এক্ষেত্রে দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ের সংস্থাপন শাখা। বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত টিএলআরদেরও অবশ্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগে সুপারিশের আশ্বাস মিলেছে। সেক্ষেত্রে আগামী কয় মাস তাদের কাজ করতে হবে একেবারে বিনাবেতনে! এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত টিএলআর কর্মীদের কাছ থেকে হাজিরা শিট নিয়ে নেয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা নিজে ইস্তফা দিলে সেটিকেও স্বাগত জানানো হচ্ছে। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে টিএলআর অস্থায়ী কর্মচারীরা পূণরায় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়েতে ৫০০ জনের মতো পি-ম্যান টিএলআর কর্মরত ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কর্মরত সাড়ে তিন হাজারের অধিক গেটম্যান, এক হাজারের অধিক পোর্টার, প্রায় ৪০০ খালাসি, পাঁচ শতাধিক ওয়েম্যান, প্রায় দুই হাজার ক্যারেজ খালাসিকেও সরিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে। দীর্ঘ সময় কাজ করার পর অনিশ্চিত কর্মজীবনের ভয়ে সেই কর্মীরা এখন কাজ বন্ধ করে দিলে রেলওয়ের পরিচালনসেবায় বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা সহ বিশিষ্টজনেরা।
রেলওয়ে আইন ও শ্রম আইনের নিয়মে এরই মধ্যে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি টিএলআর কর্মী উচ্চ আদালতে মামলার মাধ্যমে রেলওয়েতে স্থায়ী চাকরির নির্দেশনা পেয়েছেন। তবে কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে রেলওয়ে প্রশাসন সেই টিএলআর কর্মীদের স্থায়ী করতে রাজি হচ্ছে না। এক দশকের বেশি সময় কাজ করার পরও স্থায়ী পদে যুক্ত হতে না পেরে আন্দোলন, কর্মবিরতি ও ধর্মঘটের দিকে সম্মিলিতভাবে এগোচ্ছে টিএলআর শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিক সংগঠন গুলো।
ঢাকা বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা মোঃ ফেরদৌস বলেন, ‘টিএলআর কর্মীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্থায়ী হওয়ার আশায় অন্যান্য চাকরি বা ভবিষ্যৎ কর্মজীবন বাদ দিয়ে রেলওয়েতে কাজ করেছেন। কিন্তু শ্রমিক আইন, রেলওয়ের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রেলওয়ে প্রশাসন টিএলআরদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়কেও উপেক্ষা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।’
এ শ্রমিক নেতা অভিযোগ করেন, ‘রেলওয়ের মতো স্পর্শকাতর রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকের মতো আউটসোর্সিং কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। আবার নিয়োগবিধিতে অত্যাবশ্যকীয় পদগুলোকে আউটসোর্সিংয়ের আওতার বাইরে রাখার কথা বলা হলেও সেটি অমান্য করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিএলআর কর্মীরা রেলের এসব অন্যায় কার্যক্রম প্রতিহত করা ও উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবেন।’
ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিক নেতা মোঃ কুদ্দুস (বিমানবন্দর গেইট কিপার) বলেন; আমি দীর্ঘ ১৪ বছর রেলওয়েতে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে বিমানবন্দর রেল গেইটে কাজ করছি। আমার মতো এমন সংখ্যা প্রায় হাজারের কাছাকাছি। সরকারি গেজেট অনুযায়ী ৩ বছর পর চাকুরী স্থায়ী করার কথা। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেট মানছেন না। তাহলে তারা মানেন কি?
রেলওয়ে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মহামান্য আদালতে মামলা পরিচালনাকারী শ্রমিক নেতা আব্দুল আজিজ বলেন; আমি নিজের সহ প্রায় ৩ হাজার শ্রমিকের চাকুরী আদালতের রায়ের মাধ্যমে হয়েছে। আদালত শ্রমিকের পক্ষে রায় দিচ্ছেন মানবিকতা, সরকারি গেজেট ও রেলওয়ে আইন অনুযায়ী। যে সরকারি গেজেট মানছেন না রেলওয়ে সেই গেজেট আমলে নিয়ে শ্রমিকদের পক্ষে রায় দিচ্ছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন; সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল টিএলআর শ্রমিকদের চাকুরি স্থায়ী করণের লক্ষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পশ্চিম অঞ্চলে ৯০ জন গেইট কিপারদের প্রাথমিকভাবে কমিটির মাধ্যমে যাছাই বাছাই করে। কমিটি সকল কিছু যাছাই বাছাইয়ের পর চাকুরী স্থায়ী করার সুপারিশ করলেও কর্তৃপক্ষ এখনো তা বাস্তবায়ন করছে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাব বিভাগ ২০২২ সালের ৩০ জুন এক চিঠিতে ‘কাজ নেই, মজুরি নেই- কানামনা’ ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৬-২০তম গ্রেডের ৮৩ জন ও সিজিপিওয়াই শ্রমিক ৩৩ জনকে অব্যাহতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পশ্চিমাঞ্চলের সৈয়দপুর কারখানায় ৪০০ খালাসি, লালমনিরহাট ডিভিশনের ক্যারেজ খালাসি ১৬ জন, পার্বতীপুরে (পাকশী ডিভিশন) ক্যারেজ খালাসি ১২ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর টিএলআর শ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় ছয় মাসের বাজেট বরাদ্দ দেয়া হলে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখে রেলওয়ে। পাশাপাশি টিএলআর শ্রমিকের স্থায়ীকরণের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন।
কর্মচারীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন না করায় এবং উল্টো আগের পথে হাটতে থাকায় জুলাই ২০২৩ কঠোরভাবে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকেরা। ঢাকার সাথে সারা দেশের প্রায় ৬ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রেলওয়ে মহাপরিচালক কামরুল আহসানের আশ্বাসে পূনরায় আন্দোলন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসেন শ্রমিক প্রতিনিধি ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আলোচনার কথা অনুযায়ী কর্মচারীদের পক্ষে কর্তৃপক্ষ থাকলেও সাবেক রেলমন্ত্রীর নুরুল ইসলাম সুজন ছিলেন আউটসোর্সিংয়ের পক্ষে তিনি এটিকে সরকারি সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হোসেন বলছেন আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ এ ৩নং ধারা অনুযায়ী রেলওয়ে আউটসোর্সিং এর আওতা মুক্ত থাকতে পারে।
পরে শ্রমিক প্রতিনিধিরা সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকুরী স্থায়ী করণে সকল প্রমাণ পত্র সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। অনুলিপি জমা দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী পরিষদ সচিব সহ বিভিন্ন দপ্তরে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন বলেন; আমরা বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আসি তাদের সাথে বসতে চাই, আলোচনার টেবিলে সরকারি গেজেট বাস্তবায়ন করে শ্রমিকদের চাকুরী স্থায়ী করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন বিষয় সমাধান করতেই চায় না কোন অজানা কারনে তা জানা নেই! আবার শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে আশ্বাস দেয় কিন্তু সমাধান আসে না। আন্দোলন করলাম যৌক্তিক দাবীতে পেটের দায়ে।
অথচ অন্যায় ভাবে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য শ্রমিকদের নামে, বেনামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যা ১৮৮৬ সালে আমেরিকার সিকাগো ট্র্যাজেডিকে মনে করিয়ে দেয়।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী, আমরা নেত্রীর কাছে স্বারকলিপি দিয়েছি, আন্তর্জাতিক লেবার অরগানাইজেশানে চিঠি দিয়েছি।
আমরা নবনিযুক্ত মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জিল্লুর হাকিম মহোদয়ের কাছে আর্জি শ্রমিক কর্মচারীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা সহ সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকুরী স্থায়ী করণ সহ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে শ্রমিকদের মাঝে একটু সুখ ফিরিয়ে দিবেন। ঈদের ১০ কর্মদিবস আগে সকল টিএলআর শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবী জানান এই শ্রমিক নেতা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রেলের নিম্ন গ্রেডের স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে টিএলআরদের শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করলেও সেটি রেলের বৃহৎ কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালন করতে পারবে না বলে মনে করছেন খোদ রেলকর্মীরাও।
বিক্ষোভ প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন; শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন (চট্টগ্রাম), শফিকুর রহমান (পাকশী), রফিকুল ইসলাম (ঢাকা), আবু হাসান হিরা (সিলেট), শাওন (ঢাকা), রাশেদুল ইসলাম (লালমনিরহাট), রাইসুল ইসলাম ( রাজশাহী), জসিম উদ্দিন (রাজবাড়ী), সাব্বির রহমান (ময়মনসিংহ) , ইকবাল, ইলিয়াস, জান্নাতুল ফেরদৌস, শহিদুল ইসলাম (লাকসাম), স্বপন মিয়া (টঙ্গী) সহ প্রমুখ।
এমএসএম / এমএসএম