দয়া নিয়ে রাসুল (সা.)–এর ঘটনা
একবার নবীজি (সা.) সাহাবিদের নিয়ে মজলিশে ছিলেন। এমন সময় (নবীজির কন্যা) জায়নাব (রা.) খবর পাঠালেন যে তাঁর ছেলে মুমূর্ষু। তিনি ভাবলেন, নবীজি (সা.) এলে যদি ছেলেটির কষ্ট সামান্যও লাঘব হয়।
নবীজি (সা.)–এর কাছে সংবাদ পৌঁছলে তিনি সংবাদবাহককে বললেন, ‘তুমি গিয়ে তাকে বলো, আল্লাহ–তাআলা যা নিয়ে গেছেন, তা তো তাঁরই দান ছিল। আবার যা দিয়েছিলেন, সেটাও তাঁরই দান ছিল। প্রত্যেক প্রাণীর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। অতএব আমার মেয়ে জায়নাবকে বলে দাও, যেন সে সবর করে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রতিদানের প্রত্যাশা করে।’
সংবাদদাতা ফিরে এসে বলল, আল্লাহর রাসুল (সা.), তিনি আল্লাহর কসম দিয়ে বলেছেন, আপনি আসুন। নবীজি (সা.) মজলিশ থেকে উঠে রওয়ানা হলেন। নবীজি (সা.)–এর সঙ্গে গেলেন সাদ ইবনে উবাদাহ (রা.), মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) এবং উসামাহ (রা.)। সেখানে তাঁরা পৌঁছলে শিশুটিকে নবীজি (সা.)–এর কাছে উঠিয়ে আনা হলো।
বাচ্চাটি যেভাবে ধড়ফড় করছিল, সেই করুণ অবস্থা দেখে নবীজি (সা.)–এর চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। সাদ (রা.) নবীজি (সা.)–কে বললেন, আল্লাহর রাসুল, আপনিও কাঁদছেন?
তিনি উত্তরে বললেন, ‘এ হচ্ছে দয়া, যা আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের মনে সৃষ্টি করে রেখেছেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে দয়ালু ও স্নেহপরায়ণদের প্রতি দয়া করেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯২৩)
Israt / Israt
অবৈধ সম্পদে জীবনের যত ক্ষতি
মন খারাপ দূর করার আমল
বছর শেষে সময়ের হিসাব মেলানোর তাগিদ
মুমিন হৃদয়ে আরবি ভাষার ভালোবাসা
সচ্চরিত্রের অধিকারী পুরুষের মর্যাদা
কোরআনের হৃৎপিণ্ড যে সুরা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করলেও সওয়াব
সুস্থতার নেয়ামত রক্ষা করা জরুরি
নববী আদর্শের নওজোয়ান: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন-নুমান রিডার
নিরাপদ জীবনের চার উপাদান
ইসলামে মানবাধিকারের শিক্ষা
ঈমান ধ্বংসকারী ফেতনা থেকে আত্মরক্ষা