ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

নবীদের জীবনাদর্শ: মানবজীবনের পাথেয়


সকালের সময় ডেস্ক photo সকালের সময় ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯-৪-২০২৪ দুপুর ১:৭

সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক মহান আল্লাহ। মন সব সময় ভালো রাখা কঠিন। নানা কারণে মন খারাপ হতে পারে। মন খারাপ হলে ভেঙে পড়বেন না। আল্লাহ মানুষকে কষ্টের ওপর নির্ভরশীল করেই সৃষ্টি করেছেন।

মন খারাপ হলে কী করতে হবে, এ সম্পর্কে নবী-রাসুল ও সাহাবাদের জীবনেই রয়েছে মানুষের জন্য সর্বোত্তম শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা। আল কোরআনে আছে, ‘অবশ্যই আমি মানুষকে কষ্ট নির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা বালাদ, আয়াত: ৪)

নবী ও রাসুলদের জীবন আমাদের কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতে সহায়তা করে।

হজরত আদম (আ.)–কে প্রথমে একাকী সঙ্গীবিহীন সৃষ্টি করা হয়েছিল। যখন মানুষ নির্জন ও একাকিত্বে ভোগে, তখনো ভেঙে পড়া যাবে না।

হজরত নুহ (আ.) তার পরিবারের সবাইকে হেদায়েতের পথে আনতে পারেনি। সাড়ে ৯০০ বছর দাওয়াত দিয়ে মাত্র ৮০ জনকে হেদায়েতের পথে আনতে পেরেছিলেন। তাই কোনো কারণে পরিবার ও সন্তানকে যথাযথ পথে আনার সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া যাবে না।

হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর বাবা পৌত্তলিক ছিলেন। তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ হয়।

হজরত ইউসুফ (আ.)–এর ভাইয়েরা গভীর কূপে ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর জীবনের এক পর্যায়ে এসে তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। সেই ভাইদের মুখে নিজের ব্যাপারে মিথ্যা দোষারোপও শুনেছিলেন। রক্তসম্পর্কীয় কেউ কারও সঙ্গে প্রতারণা করলেও নিজের সৎসাহসে অটল থাকতে হবে।

হজরত ইউনুস (আ.) আটকে ছিলেন মাছের পেটে। সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার উপায় ছিল না। আল্লাহর রহমতে পেয়েছিলেন। চরম বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা ছাড়া যাবে না।

আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। আল্লাহ তাকে নিজে সুস্থ করেছিলেন।

মহানবী (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির ষষ্ঠ বছর। মক্কায় তিনি দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হামজা (রা.) ও ওমর (রা.)-সহ মক্কার প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন। বিপরীতে মক্কায় মুশরিকদের ক্রোধ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি মহানবী (সা.)-কে থামানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছিল।

অন্যদিকে গোত্র বনী হাশেম ও বনী মুত্তালিবকেও মহানবী (সা.)-এর সাহায্য থেকে বিরত রাখতে পারছিল না মক্কার অবিশ্বাসীরা। ফলে তারা এ দুই গোত্রসহ মুহাম্মদ (সা.)-কে বয়কট করার ফন্দি আঁটে। ইসলামের ইতিহাসে যা শিআবে আবি তালিবের বয়কট নামে পরিচিত। কিন্তু মহানবী (সা.) অবিচল থেকে বিজয় অর্জন করেন।

 

Israt / Israt