ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

ভূমধ্যসাগরে মানবপাচারকীদের খপ্পরে পড়ছে বাংলাদেশীরা


আব্দুল লতিফ রানা photo আব্দুল লতিফ রানা
প্রকাশিত: ৪-৫-২০২৪ দুপুর ১:৩১

মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করে ভগ্য বদলাতে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে বেকার বাংলাদেশী তরুন ও যুবকেরা। আর ভাগ্য বদলাতে যাওয়া অধিকাংশই দেশ-বিদেশি মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছেন। আর মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে বার বার মারা যাচ্ছেন এসব ব্যক্তিরা। মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বার বার বাংলাদেশিদের নাম আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। 

মানবার পাচারের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে আবারো ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া আট বাংলাদেশির লাশ দেশে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিউনিসিয়া থেকে উড়োজাহাজে নিহতদের লাশ হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ।তাদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি মাদারীপুরে ও তিনজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে বলে জানা গেছে। 

বিপজ্জনক পথে মানব পাচার যে বন্ধ হয়নি, তার বৃহস্পতিবারের ৮জন বাংলাদেশীর লাশ। তারা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়া বাংলাদেশের লোকজনের নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যান। তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ওই ঘটনায় নিখোঁজজ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রথমেই ৩৯ জনের নাম পাওয়া যায়।

আর সেই ঘটনার পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার দপ্তরে গণমাধ্যমে বলেছিলেন, নৌকাডুবিতে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশের ১৪ যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিখোঁজ লোকজন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। যে চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান। তাদের একজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়ার উত্তম কুমার দাস। তিনি গৌতম দাসের ছেলে। ছবি পাঠিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে উত্তম কুমারের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ ৩৯ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২২ জন হচ্ছেন বৃহত্তর সিলেটের অধিবাসী। মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত নোয়াখালীর তিন ভাই ও মাদারীপুরের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেণ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া বৃহত্তর সিলেট থেকে যারা গেছেন, তাাদের পরিবারের সদস্যরা বেশ কিছু দালালকে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে একের পর এক ভুমধ্যসাগরে একের পর এক মানবপাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিমানবন্দরে বিমানযোগে আনা লাশের অপেক্ষায় থাকা নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ৩০ জন যেতে পারবেন এমন একটি ছোট নৌকা যোগে ৫২ জনকে দালাল তোলা হয়। আর সেই নৌকায় যে আটজন মারা গেছেন, তাদের নৌকার পাটাতনের নিচে জোর করে রাখা হয়েছিল।ফলে তারা অক্সিজেনসংকটের কারণে পাটাতন থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু দালালেরা তাদের মারধর করে জোরপূর্বক পাঠানের ভেতরে পাঠান। এভাবে নির্যাতন ও অক্সিজেনসংকটের কারণেই বাংলাদেশী এই ৮নজ মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভুমধ্যসাগরে নৌকায় ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিহতদের লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। বিমানবন্দরে অপেক্ষায় রত নিহত মো. কায়সারের ভগ্নিপতি শাওন ফকির বলেন, দালালেরা লিবিয়া থেকে কায়সারকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য আট লাখ টাকা নিয়েছিল। আর তাদেরকে বলা হয়েছিল, একটি বড় নৌকায় যোগে তাদেরকে ইতালি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু ছোট্ট একটি নৌকা যাতে ৩০ জনের বেশী ধারণ ক্ষমতা নেই। এসমন একটি নৌকায় অতিরিক্ত লোক নেওয়ার কারণে কায়সারসহ আটজনকে নৌকার পাটাতনের নিচে রাখা হয়। ফলে তারা সবাই মারা যান। নিহত কায়গারের  ছোট দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, শববাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটযোগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো হবে। গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।

গত ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ রাত ১১ টার দিকে লিবিয়ার জুয়আরা উপকুল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন। কিন্তু  তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। ওই নৌকায় মোট ৫৩ জন যাত্রী ছিল।দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তিউনিসিয়ার জারবা ও গ্যাবেস হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে সংরক্ষিত লাশগুলো পরিদর্শন করে। এরপর দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় মৃত আটজন বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের পর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে দূতাবাস হতে নিহত বাংলাদেশিদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করে লাশগুলো দশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।নিহত আট বাংলাদেশি হলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির নয়ন বিশ্বাস, একই উপজেলার খালিয়ার মামুন শেখ ও সজল, একই উপজেলার বাজিতপুর নতুনবাজারের কাজি সজীব ও কবিরাজপুরের কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন এবং মানব পাচার অপরাধের শিকার ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষা ও অধিকার বাস্তবায়ন ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন করা হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যেহেতু মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন এবং মানব পাচার অপরাধের শিকার ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষা ও অধিকার বাস্তবায়ন ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে বিধান করা আবশ্যক। আর যেহেতু মানব পাচার সংক্রান্ত সংঘবদ্ধভাবে সংঘটিত আন্তঃদেশীয় অপরাধসমূহ প্রতিরোধ ও দমনকল্পে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ওই আইনের সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন। (১) এই আইন মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ নামে অভিহিত হইবে। আর ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। সংজ্ঞা২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে, ‘‘আশ্রয় কেন্দ্র’’ অর্থ জেলখানা ব্যতীত এমন প্রতিষ্ঠান যাহা, যেই নামেই অভিহিত হউক না কেন, মানব পাচারের শিকার বা মানব পাচার হইতে উদ্ধারকৃত ব্যক্তিবর্গের গ্রহণ, আশ্রয় এবং পুনর্বাসনকল্পে প্রতিষ্ঠিত।

‘‘আশ্রয় দেওয়া’’ বা ‘‘লুকাইয়া রাখা’’ কোন ব্যক্তিকে তাহার দেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে বিক্রয় বা পাচারের উদ্দেশ্যে লুকাইয়া রাখা, আশ্রয় দেওয়া বা অন্য কোনভাবে সহায়তা করা এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ৫২ক এ যেই অর্থে, অভিধাটি ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। তাছাড়া, ‘‘মানব পাচারের শিকার ব্যক্তি’’ বা ‘‘ভিকটিম’’ অর্থ এই আইনের অধীন সংঘটিত মানব পাচার অপরাধের শিকার কোন ব্যক্তি এবং উক্ত ব্যক্তির আইনগত অভিভাবক বা উত্তরাধিকারীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। আর প্রতারণা, অর্থ ঘটনা বা আইন লইয়া ইচ্ছাকৃত বা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথা বা আচরণ বা লিখিত কোন চুক্তি বা দলিল দ্বারা অন্যকে প্রতারিতবা প্রলুদ্ধ বা ভুল পথে পরিচালিত করা এবং প্রতারণাকারী ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির অভিপ্রায়কে কেন্দ্র করিয়া সংঘটিত প্রবঞ্চনা এবং চুক্তি আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ৯নং আইন) এর ধারা ১৭ এ যেই অর্থে”অভিধাটি ব্যবহৃত হইয়াছে তাহাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। কিন্তু এসব আইন থাকলেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। আর যতদিন না এই আইন প্রয়োগ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হবে না, ততদিন এই মানবপাচার রোধ করা সম্ভব হবে না বলে অভিজ্ঞমহল জানিয়েছেন। 

সুত্র জানায়, গত ২০১৮ সালের অক্টোবরে মেক্সিকোর দুর্গম পথে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি আটক হন। তাদের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এর গত বছরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছাতে আগ্রহী অবৈধ অভিবাসীদের দুবাই থেকে ব্রাজিলে নেওয়া হয়। এরপর বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, পানামা সিটি আর গুয়াতেমালা হয়ে নেওয়া হয় মেক্সিকোতে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আটক করা হয় ১৯২ জন বাংলাদেশিকে। তাদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথটি হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তার আগে গত ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওই পথ দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় প্রতি ৫০ জনের ১ জন মারা গেছেন। আর ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে ঢুকে পড়েছে। এ সময়ে সাগরে হারিয়ে গেছে প্রায় ৪৪৩ জন।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের (ইউনিডক) ২০১৮সালের মানব পাচারবিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ৫ শতাংশ নাগরিককে পাওয়া গেছে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে মানব পাচারের শিকার হওয়া এসব লোক মূলত ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিক। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার লোকজন বিশ্বের ৪০টি দেশে মানব পাচারের শিকার হয়। মানব পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিদেশগামী বাংলাদেশিরা বলছেন, মূলত উন্নত জীবনের আশায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ পথে তারা দেশের বাইরে পা রাখেন। তবে সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। আর গত ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। তা অনেক হ্রাস পেলেও বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, দেশের বেকাররা মরিয়া হয়ে বিদেশ যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। শুধু তাই নয়, তাদের অনেকেই স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষার্থী। অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি হয়তো চায়ের দোকানে কিংবা অ্যাপভিত্তিক পরিবহন যাত্রীসেবায় লোকজনের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু বিদেশগামী তরুণেরা আসলে কী ধরনের কাজ চান, সেটা আমাদের নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে। তার নিজেদের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ চান। এহন্য ঝুঁকি নিয়ে তারা বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। 

এমএসএম / এমএসএম

স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধীদের সুইড বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ