ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর এক আদর্শের সৈনিক আ.জ.ম.নাছির


মো. কামাল উদ্দিন photo মো. কামাল উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৫-৬-২০২৪ দুপুর ১:২৯

জীবনের পথচলায় আমরা অনেককেই দেখি, কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের কর্মগুণে ও মানবিকতায় অনন্য হয়ে ওঠেন। এমনই একজন হলেন আমার খুবই প্রিয় ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের সিংহ পুরুষ, মানবতা ও মানবিক বিবেচনা সম্পন্ন মানুষ আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন। তিনি তার অপরিসীম প্রতিভা ও অদম্য অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আমি নাছির ভাইকে দেখে আসছি বিগত ৩০ বছর আগে থেকে, হাসিমাখা মুখের, মিষ্টি ভাষার রাজনীতির রাজপথের রাজপুত্র হিসেবে। তাকে কখনো রাগান্বিত চেহারায় দেখিনি, কখনো কাউকে বড় কথা বলতে শুনিনি। নাছির ভাই একজন কর্মীবান্ধব, লক্ষ লক্ষ তারুণ্যের প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিশ্বাসী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিবেদিত একনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। তার রাজপথ তথা রাজনীতির রাজ্যে কতপরিমাণ বিচরণ তা কাছে না গেলে কেউ সহজে বুঝতে পারবেন না।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল নাছির ভাইয়ের কাছে যাওয়ার। উনার সাথে আমি অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছি, বিশেষ করে বাংলা টিভিতে একাধিক টকশোতে আমার উপস্থাপনায়। তিনি কত যে উদার মানবিক বিবেচনা সম্পন্ন একজন মেধাবী চৌকস রাজনৈতিক সংগঠক, মনে প্রাণে রাজনীতির ইতিহাসের বরপুত্র। আমি সেই নাছির ভাইকে নিয়ে কিছু কথা লিখতে বসলাম। তাহলে আমাদের দেখা দরকার তিনি আসলেই কী, তার এত প্রতিভা কোথায় থেকে ধারণ বা আহরণ করেছেন। চলুন আমরা একটু আলোচনায় যাই। তার মানবতার বহিপ্রকাশ দেখেছি করোনার সময়ে। লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের জন্য ব্যয় করার পাশাপাশি হাজার হাজার টাকা নগরীর কুকুরের জন্য ব্যয় করেছেন।প্রগতির প্রতীক চট্টগ্রামের প্রাক্তন সফল মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন একাধারে একজন দক্ষ প্রশাসক, সমাজসেবক এবং জননেতা হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও প্রগতি হয়েছে, যা চট্টগ্রামবাসীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। উন্নয়নের অগ্রদূত

আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শহরের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতি এবং পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়। তার নেতৃত্বে শহরের রাস্তা ও সেতু উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রয়াস
মেয়র হিসেবে আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং নাগরিকদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালান। তার এই উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরী একটি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরীতে পরিণত হয়।
ঔশিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছেন। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষার প্রসারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য খাতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের উন্নয়ন, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তার উদ্যোগ শহরের মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন: চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন এবং শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে কাজ করেন। তার এই উদ্যোগে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হয়েছে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
সামাজিক কল্যাণ
এ. জে. এম. নাছির উদ্দীন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজেও নিবেদিতপ্রাণ। তিনি অসহায় ও দুস্থ মানুষের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং তাদের জীবনের মান উন্নয়নে কাজ করেন। তার নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সহযোগিতা ও সহানুভূতি পেয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন এবং শহরের প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। তার এই নীতি ও মূল্যবোধ চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও সেবামুখী করেছে।
জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক
আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন সবসময় জনগণের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি জনগণের সমস্যা ও উদ্বেগ সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং তাদের সমাধানে কাজ করেন। তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব তাকে জনগণের প্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আ. জ. ম. নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরী উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তার কর্মদক্ষতা, সততা, সাহসিকতা এবং জনকল্যাণমুখী দৃষ্টি ভঙ্গি চট্টগ্রামবাসীর
জীবনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। তার প্রতি আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দক্ষ নেতা।
জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মহান নেতা, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আ জ ম নাছির উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠা একজন দক্ষ নেতা, সৎ, সাহসী, মানবিক ও দৃঢ়চিত্তের অধিকারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর নীতি ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে জাতির উন্নতি ও প্রগতি নিশ্চিত করে চলছেন।নাছির উদ্দিন
সততা ও নৈতিকতা বজায় রেখে আজীবন কাজ করে আসছেন। মনে রাখবেন  বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন দক্ষ নেতার প্রথম ও প্রধান গুণ হলো সততা ও নৈতিকতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতেন। এই নৈতিক শিক্ষা অনুসরণ করে একজন দক্ষ নেতা কখনও ন্যায়বিচার থেকে সরে আসেন না। তার সিদ্ধান্ত সবসময় সঠিক ও ন্যায্য হয়, যা জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক।
দেশের প্রতি ভালোবাসা
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন দক্ষ নেতা দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করেন যেমনি- তেমনি  তিনিও দেশের স্বার্থকে সবার উপরে রাখেন এবং জাতীয় উন্নয়নে নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা প্রদান করেন। তার নেতৃত্বে দেশ গঠন ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে বিশেষ করে চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। যেমন
সাহসিকতা ও দৃঢ়তা
বঙ্গবন্ধু ও ছিলেন একজন সাহসী ও দৃঢ়চিত্তের নেতা। নাছির উদ্দিন তার আদর্শে গড়ে ওঠা একজন দক্ষ নেতা কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসিকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেন। তিনি বিপদে ভীত না হয়ে সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং দেশের সুরক্ষা ও উন্নতির জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকেন।
জনগণের কল্যাণ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন দক্ষ নেতার প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ।তেমনি তিনিও সবসময় জনগণের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাদের সমস্যার সমাধানে কাজ করেন। তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব জনগণের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তিনি মেয়র থাকাকালীন
শিক্ষার প্রসার করে গেছেন। তিনি কিন্তু
বঙ্গবন্ধু শিক্ষার প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন এবং এখনো দিয়ে আসছেন । তিনি বঙ্গবন্ধুর  আদর্শে গড়ে ওঠা একজন দক্ষ নেতা, শিক্ষার প্রসারে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করেন এবং শিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করেন। নাছির উদ্দিন তার উদ্যোগে শিক্ষার প্রসার চট্টগ্রামের উন্নতির পথ সুগম করেছেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন দক্ষ নেতা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ আকর্ষণ, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের তথা চট্টগ্রামের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেন। তার নেতৃত্বে দেশ একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল ।
-সামাজিক ন্যায়বিচারঃ
বঙ্গবন্ধু সামাজিক ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করতেন। আ জ ম নাছির উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর  আদর্শে গড়ে ওঠা একজন দক্ষ নেতা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং সমাজে সমানাধিকারের বাণী প্রচার করেন। তার নেতৃত্বে সমাজে ন্যায়বিচার ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
-আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
বঙ্গবন্ধু সবসময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দিতেন। তার আদর্শে গড়ে ওঠা একজন দক্ষ নেতা হিসেবে নাছির ভাই  আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেন। তিনি বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নে সচেষ্ট থাকেন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠা তিনি  একজন দক্ষ নেতা হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেন। তিনি পরিবেশের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সবুজায়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুর
আদর্শের একজন দক্ষ নেতা তার সততা, সাহসিকতা, মানবিকতা এবং নেতৃত্বগুণ দিয়ে জাতিকে উন্নতির পথে পরিচালিত করেন। তার নেতৃত্বে দেশ একটি সমৃদ্ধ, ন্যায়
বিচারপূর্ণ এবং উন্নত সমাজে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠা এই ধরনের নেতা জাতির আলোক
বর্তিকা হয়ে কাজ করেন এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মকে প্রেরণা যোগায়।
আ জ ম নাছির উদ্দিন একজন সফল
মেয়র: নেতৃত্বে প্রগতির প্রতিচ্ছবি

একজন সফল মেয়র তার শহরের উন্নয়ন ও প্রগতি নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার দক্ষতা, কর্মদক্ষতা, এবং জনকল্যাণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি শহরের প্রতিটি নাগরিকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শহরের উন্নয়নে অবদান:প্রথমেই বলতে হয়, একজন সফল মেয়র শহরের উন্নয়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি
শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেন। রাস্তা, সেতু, পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা, এবং বিদ্যুৎ সংযোগের উন্নয়ন তার কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তার নেতৃত্বে শহরের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।জনকল্যাণমুখী প্রকল্প সফল মেয়রের একটি প্রধান গুণ হলো জনকল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণ করা। তিনি শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার কার্যক্রমে শহরের প্রতিটি নাগরিক সমানভাবে সুফল পায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সেবার উন্নয়নে তার উদ্যোগ শহরকে আরও সমৃদ্ধশালী করে তোলে। কার্যকর যোগাযোগ ও সমন্বয়
একজন সফল মেয়রের যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শহরের বাসিন্দাদের সাথে সুস্পষ্ট এবং প্রাসঙ্গিকভাবে যোগাযোগ করেন। তিনি জনগণের সমস্যা ও উদ্বেগ সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং তাদের সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা শহরের মানুষের মধ্যে আস্থা এবং সমন্বয় সৃষ্টি করে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন একজন সফল মেয়র শহরের পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি শহরের সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে শহরটি একটি পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ পরিবেশে পরিণত হয়। তিনি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
সফল মেয়র শহরের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ আকর্ষণ, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে শহরের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেন। তার নেতৃত্বে শহরের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হয় এবং নতুন উদ্যোগ ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়।:সুশাসন ও ন্যায় বিচার একজন
সফল মেয়রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং সুশাসনের মাধ্যমে শহরের প্রশাসনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করেন। তার ন্যায়সঙ্গত নেতৃত্বে শহরের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
সাহসিকতা ও দৃঢ়তা
কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসিকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শন একজন সফল মেয়রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য গুণ। তিনি যেকোনো বিপর্যয় বা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার সাহসিকতা শহরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে।সাংস্কৃতিক উন্নয়ন:সফল মেয়র শহরের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে কাজ করেন। তার উদ্যোগে শহরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা প্রেরণা যোগায়।
মানুষের মনের কাছে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সফল মেয়র মানুষের মনের কাছাকাছি থাকেন। তিনি জনগণের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাদের সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট থাকেন। তার মানবিকতা এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব তাকে জনগণের প্রিয় নেতা করে তোলে।
একজন সফল মেয়রের নেতৃত্বে শহরটি প্রগতি ও উন্নতির পথে এগিয়ে চলে। তার কার্যক্রম, সৎ ও ন্যায়সঙ্গত নেতৃত্ব, এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিত মনোভাব শহরকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্থান হিসেবে পরিণত করে। তার প্রতি আমাদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আ জ ম নাছির উদ্দিনের  যোগ্য নেতার গুণাবলি

ও যোগ্যতা রয়েছে । একজন নেতা একটি দলের, সমাজের, বা জাতির প্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে, যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যেকোনো সংস্থা বা সমাজ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। একজন যোগ্য নেতার গুণাবলি নিম্নে বর্ণিত হল: ১. সৎ ও নৈতিক
নেতার সততা ও নৈতিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ। তিনি সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হন। তার কাজ ও কথা সঙ্গতিপূর্ণ এবং তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।
২. কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা একজন যোগ্য নেতার মধ্যে উচ্চ মানের কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা থাকে। তিনি তার কাজের ক্ষেত্র এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখেন এবং সেগুলো কার্যকরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
৩. যোগাযোগ দক্ষতা
নেতার যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি তার দল, সহকর্মী ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সুস্পষ্ট ও প্রাসঙ্গিকভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। তার বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং সবার কাছে বোধগম্য হয়।
৪. দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শিতা একজন
যোগ্য নেতা তার দলকে একটি পরিষ্কার লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেন। তিনি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং তার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তা প্রতিফলিত করেন।
৫. প্রেরণা ও উদ্দীপনা
নেতার মধ্যে তার দলকে প্রেরণা দেয়ার ক্ষমতা থাকে। তিনি দলের সদস্যদের উত্সাহিত করেন এবং তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলেন। তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দলের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
৬. সহানুভূতি ও মানবিকতা একজন
যোগ্য নেতা তার দলের সদস্যদের সাথে সহানুভূতিশীল হন। তিনি তাদের সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট থাকেন এবং তাদের সাফল্য ও কল্যাণের দিকে নজর রাখেন।
৭. সমন্বয় ও
সহযোগিতা
নেতা তার দলের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার
মনোভাব সৃষ্টি করেন। তিনি দলগত কাজের মূল্য বোঝেন এবং সবার সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন করতে আগ্রহী।  ৮. সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
একজন যোগ্য নেতা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তিনি ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং সকলের মতামত বিবেচনা করে সেরা সিদ্ধান্তটি নেন।
৯. নির্ভীকতা ও দৃঢ়তা
নেতার মধ্যে নির্ভীকতা ও দৃঢ়তা থাকে। তিনি কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করতে পারেন এবং তার দলের সুরক্ষা ও উন্নতির জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
১০. শিক্ষানবিস মনোভাব একজন
যোগ্য নেতা সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য উদগ্রীব থাকেন। তিনি তার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা গ্রহণ করেন।
এই গুণাবলি ধারণ করে একজন যোগ্য নেতা তার দলকে সাফল্যের পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হন। তাদের নেতৃত্বে সমাজ বা প্রতিষ্ঠান সঠিক পথে এগিয়ে যায় এবং তার সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে। আ. জ.  ম. নাছির উদ্দিনের জন্ম ১৯৫৭ সালের পহেলা জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার । তিনি ৬৬ সালে ছয় দফার পক্ষে মিছিলের ছিলেম, ৬৯ গণ আন্দোলন জোরদার করতে এবং ৭০ এর নির্বাচনে একজন বঙ্গবন্ধুর কর্মি ও স্কুল ছাত্র হিসেবে  কাজ করেছেন। তিনি ৭৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং একই কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করেন। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি এবং একই সাথে নগর ছাত্র লীগের সংস্কৃতি সম্পাদক, ৮০ থেকে  ৮৩ পর্যন্ত নগর ছাত্র লীগর সাধারণ সম্পাদক ও ৮৫ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি অনেক ঘাতপ্রতিঘাত অতিক্রম করে ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৫ সাল তিনি চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ৮৬ সালে প্রথম মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর চারবছর, ৯০থেকে ৯৪ পর্যন্ত মীর নাছিরের চারবছর,৯৪ থেকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১৮ বছর এবং মনজুরুল আলমের
২০১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত পাঁচ বছর সহ মোট ৩০ বছরের বিগত মেয়রা যা উন্নয়ন করেনি,  সবাই মিলে যা করেছে  তিনি এককভাবে দ্বিগুন উন্নয়ন করেছিল।
শেষত, আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন কেবল একজন নেতা নন, তিনি মানবিকতা ও উদারতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার জীবন ও কর্ম আমাদের শেখায় কীভাবে একজন মানুষ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তার অসাধারণ নেতৃত্ব, অমায়িক স্বভাব এবং অপরিসীম মানবিকতা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এমন নেতার সঙ্গে কাজ করা এবং তাকে কাছ থেকে দেখা আমাদের জীবনের একটি বড় প্রাপ্তি। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি, যাতে তিনি আরো অনেক বছর আমাদের মাঝে থেকে সমাজ ও দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারেন। 
লেখকঃ সাংবাদিক, গবেষক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব- চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম। 

এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া