সূরা যুমারে হতাশ না হওয়ার আহ্বান
আল্লাহর রহমত প্রশস্ত। মানুষকে আল্লাহর রহমত চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে সবসময়। কঠিন যেকোনো মুহুর্তেও আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে নিজ অনুগ্রহে আগলে রাখেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাঁর করুণার জন্য নির্দিষ্ট করে নেন এবং আল্লাহ মহা করুণাময়। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১০৫)
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের আশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২১৮)
এজন্য কখনো আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নিরাশ হতে নেই। আল্লাহ তায়ালা নিজের রহমত থেকে নিরাশ না হতেও বান্দাকে নির্দেশ দিয়েছেন কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে। সূরা যুমারে বান্দার জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন—
বল- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। (সূরা যুমার, আয়াত : ৫৩)
সত্য হৃদয়ে যদি ঈমান আনে বা নিষ্ঠার সাথে যদি তওবা করে, তবে মহান আল্লাহ সমস্ত পাপকে মাফ করে দেবেন।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কিছু লোক ছিল, যারা অন্যায় হত্যা করেছিল এবং অনেক করেছিল। আরও কিছু লোক ছিল, যারা ব্যভিচার করেছিল এবং অনেক অন্যায় করেছিল। তারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আরজ করল—
আপনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন, তা তো খুবই উত্তম, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে, আমরা অনেক জঘন্য গোনাহ করে ফেলেছি। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি, তবে আমাদের তওবা কবুল হবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয় ৷ (বুখারি, হাদিস : ৪৮১০, মুসলিম, হাদিস : ১২২)
Aminur / Aminur