ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

নাশকতার বিচার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী


মো. কামাল উদ্দিন photo মো. কামাল উদ্দিন
প্রকাশিত: ২৮-৭-২০২৪ দুপুর ৪:২৬

শান্ত পৃথিবী, অশান্ত মন, অশান্ত দেশ, অশান্ত রাজপথ। জ্বলেছে দেশ, জ্বালিয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ  স্হাপনা
তবুও, পথচলা থেমে নেই। জঙ্গি ও নাশকতার কবলে বাংলাদেশ কোটা বাতিল আন্দোলনের অরাজকতা সৃষ্টির কবলে অস্তিত্বের সংকটে দেশের মানচিত্র ও পতাকা, চিরতরে বিদায় দিতে ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বঙ্গকণ্যা শেখ হাসিনাকে। কোন কারণ ছাড়াই হারিয়ে গেছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। জনগণের বন্ধু, জননিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ আজ বিপদের মুখোমুখি।
দেশপ্রেমে আবদ্ধ হয়ে, দেশ রক্ষার শপথের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কোন অশুভ শক্তির কাছে আপোষ করেননি। পতাকা কেড়ে নিতে পারবে না স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। রক্ত ভেজা রাজপথে স্বজনহারা মানুষের আত্মকান্নায় তিনি নিজেও কেঁদে যাচ্ছেন। শতবছরের স্বপ্নের সোনার বাংলার সোনার উন্নয়নের ধ্বংসের দৃশ্য দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। এই ধ্বংস ও নাশকতার বিচার জনগণের হাতে দিয়ে তিনি জনগণের আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন। আজ সেই জনগণের মানসকন্যা বাঙালি জাতির আশার বাতিঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু আবেগময় কথা নিয়ে আমি কিছু লিখলাম।আশা করি, এই সংস্করণ আপনার উদ্দেশ্য ও ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।দীর্ঘ বছরের লালিত স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু কতৃক অর্জিত স্বাধীন সোনার বাংলাকেন তিনি সত্যিকারের সোনার বাংলায় রুপান্তর করবে, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর তিনি শুরু করেছিলেন এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম পুরোনো সফল হওয়ার আগেই ২০০১ সালে আবাও রাষ্ট্র ক্ষমতার থেকে সরিয়েদেন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারিরা, তবু্ও তিনি ধর্য্যহারা হননি, দেশের উন্নয়নকে মথায় নিয়ে তিনি আবারো পথচলা শুরু করেন, তাতে অনেক ঘাতপ্রতিঘাত অতিক্রম করে এই দেশের মানুষ মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসুরি হিসেবে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার পর হতে তিনি এ-ই দেশকে বিশ্বের দরবারে একটি আধুনিক উন্নয়নের রোল মডেল স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।  সেই দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি তিলে তিলে শ্রম ও মেধা দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।  তারাই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া বাংলাদেশের বহুমুখী উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান, বিশ্বের দরবারে তিনি অবিশ্বাস্য উন্নয়ন কর্মকান্ড উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।এই উন্নয়ন বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত লাভকরাপর এই দেশের কিছু মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তাতে এই যাঁরা চায়নি তাঁরা আজ একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য বহুমুখী ষড়যন্ত্রের পথ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাঁধা বিপত্তির মুখোমুখি করে আসার অংশবিশেষ হচ্ছে তথাকথিত কোটা বাতিলের আন্দোলনের নামে শেখ হাসিনার সরকার কতৃক অবিশ্বাস্য  দেশ ও জাতির গর্বিত গৌরব গাঁথা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে ব্যর্থহয়ে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা ধ্বংস ও নাশকতার বিচার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন আমি দেশের উন্নয়ন করেছি দেশের মানুষের জন্য, সেই উন্নয়ন যদি আজ ধ্বংস করে দেয় তাহলে এই দায়ী ভার কে নেবে, ধ্বংসকারি কারা, কেন এই ধ্বংসাত্মক তান্ডব চালিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন তা আমি যেমন জানি তেমনি এই দেশের মানুষরা জানেন এবং বুঝেন। তাই আমি এই ধ্বংসের অভিযোগ দেশের মানুষের কারছে উপস্থাপন করলাম। এই দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন করে দিয়ে গেলেও সত্যিকার অর্থে এদেশের মালিক দেশের জনগণ- আজ সময় এসেছে দেশের মালিক জনগণকে তাদের মালিকানা রক্ষা করার জন্য দেশ ধ্বংসকারিদেরকে প্রতিহত করার মানসে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সোচ্চার হতে। আজ সময় এসেছে দেশের মালিকনা বুঝে নিতে, যে-ভাবে আবার দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাতে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষকে সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, সেই আহবানের সারা দেওয়ার জন্য আমি আমার অবস্থান থেকে আজকের লেখাটি লিখলাম- দেশের স্বার্থে চলুন কিছু আলোকপাত করে আসি-- **রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস ও নাশকতার বিচার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন**

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য ঘোষণা করেছেন যে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস ও নাশকতার বিচার জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল লক্ষ্য হলো জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং ন্যায়বিচারের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে তিনি একটি সুদৃঢ় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

প্রথমত, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি জনগণের আস্থা ও সমর্থন বৃদ্ধি পাবে। জনগণ যদি আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হবে। এই পদ্ধতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তি গড়ে তুলবে।

দ্বিতীয়ত, জনগণের কাছে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে, সরকার তাদের এই অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করেছে। জনগণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবে এবং তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
তৃতীয়ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে, নাশকতা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রচেষ্টা আরো সফল হবে এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত--  **নাশকতা সৃষ্টি ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি** জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস এবং নাশকতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তোলা একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন সরকারি ভবন, অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, এবং অন্যান্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ধ্বংস করলে এটি কেবলমাত্র একটি স্থানীয় ক্ষতি নয়, বরং পুরো জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলে।

প্রথমত, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস ও নাশকতা সৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান না থাকলে অপরাধীরা উন্মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, যা সামাজিক অস্থিরতা এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

দ্বিতীয়ত, নাশকতা সৃষ্টির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও অবনতি হয়। রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, পুনঃনির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, যা দেশের অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করে।
তৃতীয়ত, একটি সুদৃঢ় আইনি কাঠামো অপরাধী এবং তাদের কার্যকলাপকে দমনের জন্য অপরিহার্য। এজন্য, নাশকতা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা অন্যান্য কঠোর শাস্তির বিধান থাকা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র অপরাধীদের দমন করতে পারব না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হব।

তবে, শাস্তির বিধান তৈরি করার সময় আইনানুগভাবে প্রমাণিত অপরাধের ভিত্তিতে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত আইন ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে হবে যাতে কোন নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি অন্যায়ভাবে শাস্তি না দেওয়া হয়।

সবশেষে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং আইন ও নীতির প্রতি সম্মান রেখে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে হবে।**কোটা বাতিল আন্দোলন: একটি ন্যায়সঙ্গত দাবি না নাশকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র?
বাংলাদেশের কোটা বাতিল আন্দোলন সম্প্রতি জনমনে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি তুলেছে। তবে, প্রশ্ন উঠেছে—এই আন্দোলন কি একটি ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরণের প্রচেষ্টা, না কি নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ?

প্রথমত, কোটা বাতিল আন্দোলন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ন্যায়সঙ্গত দাবি। তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে কোটা সিস্টেমে অসংগতি ও বৈষম্য বিদ্যমান, যা মেধার মূল্যায়নে বাধা সৃষ্টি করে। এই দাবি তাদের একাডেমিক ও কর্মজীবনের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে সহায়ক। আন্দোলনের নেতারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বৈধ পন্থা অবলম্বন করে, যা তাদের দাবি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
কোটা আন্দোলন আসলেই কিসের আন্দোলন--??
*এইটা কি ৫২ ভাষা আন্দোলন?
* এইটা কি ৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলন?
* এইটা কি ৬৯ সালের গণ আন্দোলন?
* এইটা কি ৭০ সালের নির্বাচনের পর রাষ্ট্র ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার আন্দোলন?
*এইটা কি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতার আন্দোলন?
* এইটা কি জিয়াউর রহমানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন?
* এইটা কি স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন?
*এইটা কি ১৯৯৬ সালের তত্তানধায়ক সরকারের দাবীতে অসহযোগ আন্দোলন?
* এইটা কি মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন?
* এইটা কি গণ মানুষের আন্দোলন?
তাহলে এইটা কিসের আন্দোলন?  এই আন্দোলনে প্রাণ দিতে হবে কেন? পুলিশ মারতে হবে কেন? সাংবাদিক মারতে হবে কেন? রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা ধ্বংস করতে হবে কেন? মানুষের চলমান জীবন অচল করবে কেন? এই আন্দোলনের নামে নাশকতার সৃষ্টি করবে কেন? এই আন্দোলনের নামে কারাগার ভেঙে জঙ্গি ছিনতাই নেবে কেন? এই আন্দোলনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করবে কেন? কে জবাব দেবে!!
এই আন্দোলন শুধু কিছু মানুষের ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনার আন্দোলন! এই আন্দোলন সাধারণ মানুষের কোন ভাগ্য পরিবর্তনে আন্দোলন নয়।একটা শ্রেণীর জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করে সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করা হয়েছে। এই আন্দোলনের রুপকার ছাত্র শিবির- ইতিহাস দেখুন। শিবির বিগত ১৯৯৬ সালে সর্ব প্রথম এই তথাকথিত কোটা আন্দোলনের সূচনা করেছিল। এখনো শিবিরের নেতৃত্বে আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে- যাঁরা এই আন্দোলনের সমন্বয়কারি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের আদি বৃত্তান্ত নিলে তাহলে দেখা যাবে তাঁরা আসলে কারা? মুল নেতৃত্ব যাঁরা দিয়েছে তারা কিন্তু সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, তবে হ্যা তাদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আসল পরিচয় জানেনা বা জানতেন না। আপনারা দেখেন তাদের আন্দোলন হলো কোটা বিরোধী আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে সামনে রাখে তার কিন্তু করেছ সরকার বিরোধী আন্দোলন।  তাদের প্রতি পক্ষ হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাদের প্রতি পক্ষ হলো মুক্তি যোদ্ধা, তাদের প্রতি পক্ষ হলো পুলিশ, তাদের প্রতি পক্ষ হলো সাংবাদিক, তাদের প্রতি পক্ষ হলো স্বাধীনতার সপক্ষে সবাই, তাদের টার্গেট হলো সরকারের উন্নয়নের কাজগুলোর ধ্বংস করা,তাদের টার্গেট হলো সরকারকে  কৌশলে উৎখাত করা, তাদের টার্গেট হলো দেশ অরাজকতা সৃষ্টি করা, যা তারা করেছে এবং আরো করতো। দেখেন মাননীয় আদালতের রায়ের মাধ্যমে সরকার তাদের দাবি সম্পুর্ন ভাবে পুরন করেছে, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের দাবীর আন্দোলনে সফলতা নিয়ে কোন ধরনের বক্তব্য প্রদান করেননি। অন্য দিকে দেখেন তারা কোটা আন্দোলনের দাবির পাশাপাশি আরো কিছু দাবী উপস্থাপন করেছে তাতে তারা তাদের আহবানে যাঁরা আন্দোলন করতে এসে প্রাণ হারিয়েছে তাদের জন্য বা তাদের পরিবারের জন্য কোন নিদিষ্ট দাবী দেননি। সকল হত্যা কান্ডের বিচার আমরা সবাই চাই যেমন তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাই, তাই সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছ, কিন্তু তাদের নিরাপত্তার দাবী দিতে পেরেছ মামলা হামলা থেকে রক্ষার কথা বলেছে, কই তারাতো একবার বলেনি যাঁরা আজ এই দাবীর স্বপক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবার পরিজনের কথা বিবেচনা করে তাদের পরিবার থেকে বিশেষ বিবেচনায় চাকরির ব্যবস্হা করা হোক। তাঁরা তাহলে এই আন্দোলন কিসের জন্য এবং কার জন্য কিসের স্বার্থে করেছে, তা তারা প্রকাশ না করলে-ও আমরা সাধারণ মানুষ বুঝি এবং জানি তাদের আসল রহস্য কি!"" তাদের আন্দোলন কোটার আন্দোলন নয়, তাদের আনদোলনের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশের উন্নয়ন বাঁধা সৃষ্টি করে সরকারকে উৎখাত করা,  অন্য দিকে আরও একটি ১৫ এবং ২১ শে আগস্ট রচনা করা।
তাই আজকে সময় এসেছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার - বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন স্থানের টোল প্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সকল কয়েদিকে বের করে দিয়েছে। 
এসব ধ্বংসলীলা যারা সংগঠিত করেছে,
বিস্তারিত আরো লিখবো ইনশাআল্লাহ--
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও আহবায়ক-
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ  চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি।

এমএসএম / এমএসএম

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব