বেনাপোল পৌরসভার কার্যক্রম ব্যাহত ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ নগরবাসি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। যশোরের শার্শা উপজেলার ১টি মাত্র পৌরসভা বেনাপোল পৌরসভারও কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অতীব জরুরী সেবা জন্ম নিবন্ধন,নাগরিক সনদ,মৃত্যু সনদ,চারিত্রিক সনদ ও ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট সরবরাহের মত গুরুত্বপূর্ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তীতে পৌরবাসী। সেবা প্রত্যাশীরা পৌর নাগরিকরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বিগত ৭ দিন ধরে পৌর কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ জানালেও জরুরী সেবা চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনী পৌরকর্তৃপক্ষ। কবে নাগাত কার্যক্রম সচল হবে তাও বলতে পারেনী পৌরকর্তৃপক্ষ। পৌরসভা হতে ঘোষণা বা কোন প্রকার মাইকিং ছাড়াই জরুরী সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখায় সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের বিড়ম্বনায় সহ আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। পৌরসভাটির ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহেদী মাসুদ বলেন বিগত ১৫ দিন আগে তিনি নাগরিক ও জন্মসনদ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করেন। আজও পর্যন্ত তিনি কোন সনদই হাতে পাননি। পৌরসভার এহেন কর্মকান্ডে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দিঘীরপাড় গ্রামের (৫ নং ওয়ার্ড) পান্না হোসাইন জানান,বিগত ১৫ দিন ধরে তিনি নাগরিক সনদ ও জন্মসনদ গ্রহনের জন্য পৌরসভায় গেলেও তিনি কাঙ্খিত সেবা পাননি। জরুরী প্রয়োজন হওয়ার তিনি কাউন্সিলর ও মেয়রের সহিত কথা বলার চেষ্ঠা চালালে কর্তৃপক্ষ বলেন কেহই অফিসে আসেন না। কবে নাগাত নাগরিক সনদ পাবেন জানতে চাইলে? পৌর কর্তৃপক্ষ কোন সদউত্তর দিতে পারেনী। অভিযোগ বিষয়ে জানতে বেনাপোল পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে মুঠো ফোনে তিনি জানান, পৌরসভার আভ্যন্তরীন সৃষ্ট জটিলতায় জন্ম নিবন্ধন,নাগরিক সনদ,ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেট এর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি ইউএনও সহ ডিসি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতনদের জানানো হয়েছে শীঘ্রই সেবা চালু হবে বলে তিনি আশাবাদী। হঠাৎ করেই জরুরী সেবা দান বন্ধ রাখার কারন অনুসন্ধানে দেখা যায়,বেনাপোল পৌর মেয়র এর নির্দেশনায় বেনাপোল বাজারস্থ হস্তান্তর হওয়া বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে বেনাপোল পৌরসভা কার্যালয়-২ স্থাপন করে নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছিলো। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পৌরসভার পরিচালনা পরিষদের আওয়ামীলীগ পন্থী মেয়র ও কাউন্সিলররা গা ঢাকা দেয়। এই সুযোগে ইউপি ভবন হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানানো ইউপি সদস্যরা একজোট হয়ে পৌরসভার দ্বিতীয় কার্যালয়-২ যা আগে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ছিলো সেটি তারা দখলে নেয়। সেখানে আটকা পড়ে বেনাপোল পৌরসভার কম্পিউটার সব বিভন্ন আসবাব পত্র। সেবা প্রত্যাশীরা পৌর মেয়রকে দায়ী করছেন। অনতীবিলম্বে পৌরসভার সকল জরুরী সেবা সচল করার দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা নগরবাসী। এ বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ইসমিনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম