কামারখন্দে ছয়টি ট্রান্সফরমার ও পাঁচটি মিটার চুরি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক রাতে ছয়টি ট্রান্সফরমার ও পাঁচটি বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়েছে।রবিবার গভীর রাতে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি এলাকা থেকে ছয়টি ট্রান্সফরমার ও নুরনগর ও চরদোগাছি এলাকা থেকে পাঁচটি বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়। টান্সফরমার চুরি হওয়ায় ধানের জমিতে সেচ নিয়ে শঙ্কিত কৃষকেরা।
স্থানীয়কৃষকেরা বলেন, রবিবার রাত দশটায় বিদ্যুৎ চলে যায় আর বিদুৎ আসে সোমবার ভোরে। সকালে সেচ পাম্পের মালিকেরা সকালে দেখতে পায় তাদের টান্সফরমার নেই। প্রতিটি ট্রান্সফরমার নিতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। গাড়াবাড়ি এলাকায় ছয়টি প্রোজেক্টে প্রায় ৫০০ বিঘায় ধানের আবাদ হয় আর কৃষক রয়েছে প্রায় ৩০০ জন। প্রতি মৌসুমে প্রায় ৬০০ মণ ধানের ফলন হয় বলেও কৃষকেরা জানান। কৃষক ও সেচ পাম্পের মালিকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা দেশের খাদ্য সংকট তৈরী করা ও কৃষকদের বিপদে ফেলার জন্যই পরিকল্পনা করে ট্রান্সফরমার চুরি করেছে।
সেচ পাম্পের মালিক আবুল কাশেমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত রাতে ছয়টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।ট্রান্সফার চুরি হওয়ায় আমরা ধানের আবাদ নিয়ে অনেক বিপদে রয়েছি। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে যদি ফসলী ক্ষেতে পানি দিতে না পারি তাহলে আমাদের ফসলের ক্ষতি হবে এবং আমাদের কৃষক পরিবারগুলো বিপদে পড়ে যাবে। তাঁর দাবি, কৃষকদের বিপদে ফেলার জন্য ও দেশে খাদ্য সংকট তৈরী করার জন্যই পল্লী বিদ্যুৎ এর অসাধু লোকেরা পরিকল্পনা করে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। কেননা অন্যদিনগুলোতে আমরা বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের ফোন করে আনতে পারি না অথচ তারা ভোরে এসে শুধু আমাদের নাম লিখে নিয়ে গেলো কিন্তু আমাদের সাথে কথা বললো না। আমরা দ্রুত কতৃপক্ষের কাছে ট্রান্সফরমার চাই ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক।
কৃষক হারুনুর ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকেরা ইতোমধ্যেই ধান রোপন করেছে। দুই-তিন দিনের ভিতরে যদি ক্ষেতে পানি দিতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কৃষক মাসুদ বলেন,ধান ক্ষেতে ৫-৭ দিনের ভিতরে যদি পানি না পায়। তাহলে আমাদের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এ ধানের আবাদের উপরেই সংসার চলে।
এদিকে নুর নগর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন বলেন,গত রাতে আমার বাণিজ্যিক মিটারটি চুরি করে নিয়ে গেছে। সেখানে একটি মোবাইল নাম্বার ছিল। তারা কল দিয়ে আমার কাছে ৮ হাজার টাকা চেয়েছে। টাকা দিলে বলে দিবে মিটার কোথায় আছে? সর্বশেষ তারা আমার কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা চেয়েছে কিন্তু টাকা এখনো দেয়নি।কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম বলেন,এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।
কামারখন্দ পল্লী বিদ্যুৎ এর এজিএম মো.মুক্তার হোসেনকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।
এমএসএম / এমএসএম