রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে চরিত্র বদলের অপচেষ্টা শাহিনের
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) কথিত কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল শাহিনের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখে প্রতিষ্ঠানটির সবাই হতবাক। এর আগে সিবিএ পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট পালনের জন্য বিশাল আকারে ব্যানার ঝুলিয়ে রাখলেও ক্ষমতার পালাবদলে তিনিও পরিবর্তন হন। তাছাড়া তিনি যে সিবিএ’র সাধারন সম্পাদক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন শ্রম আদালত অনেক আগেই তা বাতিল করে।
ক্ষমতার দাপটে আর অবৈধ সম্পদের জোরে তিনি ভোট ছাড়া একটি কমিটি গঠন করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ থাকার পরেও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ তাকে দুদকের লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। এই সিবিএ নাম ব্যবহার করে তিনি নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে, কাগজপত্র জাল করে মিরপুর ও মোহাম্মপুরে বেশ কয়েকটি সরকারি প্লট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আত্মসাত করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। বিষয়টি জানাজানি হলে সদস্য ভুমি কুদ্দুস আলী সরকার তড়িঘরি করে ১ টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করেন। জালিয়াতি চক্রের মুলহোতা মোস্তফা কামাল শাহিন আগম ঝামেলার বিষয়টি বুঝতে পেরে মিরপুর গৃহায়ন অফিসে স্বেচ্ছায় পোস্টিং নেন। যাতে করে তিনি ঝামেলামুক্ত থাকতে পারেন।
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি মিরপুর অফিসে গিয়ে নতুন করে ডিজিটাল নম্বরবিহীন প্লট খোজাঁর কাজে ব্যস্ত। শাহিন সদ্ধ বদলীকৃত অফিসও ঠিক মতো করেন না। তিনি বিভিন্ন ডেভলপার কোম্পানির সাথে আতাঁত করে সারাদিন তাদের কাজ নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে পরে থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে, আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচার উল্লেখ করে তার দেওয়া স্লোগান ও বক্তব্য অফিসটিতে হাস্যরসের সৃষ্টি করে। সিবিএ সাধারন সম্পাদকের পদ চলে গেলে অনেকেই তার বিরুদ্ধাচারন করবে এমনকি তার অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য চাকুরি চলে যেতে পারে এই ভয়ে দিনাতিপাত করছেন মোস্তফা কামাল শাহিন। তার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যে কেউ কথা বললেই তিনি বলেন, আমি ওমরাহ করতে যাবো ,আর চাকরি করবো না।
এমএসএম / এমএসএম