বারহাট্টায় চলতি মৌসুমে ধানের চেয়ে খড়ের দাম বেশি
অগ্রহায়ণে নবান্নের গন্ডি পার হয়ে পৌষের শুরুতে বারহাট্টা উপজেলার অধিকাংশ এলাকার কৃষকই আমন ধান ঘরে তুলেছেন। চলতি মৌসুমে ধানের দামে মোটামুটি সন্তুষ্টও তাঁরা। তবে বর্তমান বাজারে ধানের চেয়ে খড়ের চাহিদা বেশি থাকায় ধানের চেয়ে বেশি দরে খড় বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকার কৃষকরা।
বর্তমান সময়ে বাজারে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১২ শত টাকা দরে। এই হিসেবে প্রতি কেজি ধানের দাম পরে ২৩ থেকে ২৮ টাকা। বর্তমান বাজারে এক মণ ধানে যে পরিমাণ খড় হয় তা প্রতি গোছা বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২২ টাকা দরে। সে হিসাবে বাজারে ১০০ গোছার (এক মণ) দাম পড়ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। যে কারণে ধান বিক্রির পাশাপাশি খড় বিক্রিতেও লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলা সদর, বাউসী, চিরাম, সাহতা, রায়পুরসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাম ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা সকালের সময়কে জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর খামার বেড়ে যাওয়ায় খড়ের দামও বেড়েছে। আগে আমরা শুধু ধান বিক্রিতেই ব্যস্ত থাকতাম। খড়ের তেমন চাহিদা না থাকার কারণে কিছু খড় আমাদের গবাদি পশুর জন্য রেখে বাকি খড় মাঠে থেকেই নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে ক্ষেত থেকে ধান কাটার পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে যে খড় থেকে যায়, সেগুলো গো-খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন এলাকার খামারিদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা যাচ্ছে।
উপজেলা সদরের কাশবন গ্রামের কৃষক অসিত সিংহ বলেন, এইবার আমি '৫ কাঠা জমিতে ধান লাগাইছিলাম। ফসলও মুটামুটি ভালই হইছে। বাজারে অহন (এখন) মোটা ধানের দাম মণপ্রতি ১০৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ধানের দাম থেইক্যা (থেকে) এইবার ক্ষেরের (খড়) দাম বেশি পাইছি। একই জমির ক্ষের (খড়) মণপ্রতি বিক্রি করছি ১৬০০ টাকা দরে। এককথায় এইবার ধানের থেইক্যা (চেয়ে) খড়ের দাম বেশি পাইছি।'
রায়পুরের কর্ণপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল, জুয়েল ও নীরেন্দ্র এবং বাউসী ইউনিয়নের মোয়াটি গ্রামের রিপন মিয়া, জজ মিয়া, সুনীল সূত্রধর সকালের সময়কে বলেন, 'ধানের তুলনায় এবার খড়ের কদর বেশি। কয়েক বছর আগে অনেককে খড় বিনামূল্যে দিয়েছিলাম। এখন কেউ খড় চাইলে কষ্ট হয়। ধান দিতে রাজি কিন্তু খড় দিতে রাজি না। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি। এখন বিভিন্ন এলাকার খামারিরা ফসল কাটার পর মাঠ থেকেই খড় কিনে নিয়ে যায়।'
নেত্রকোনার রাজুর বাজার থেকে খড় কিনতে আসা খামারি আরিফুল ইসলাম বলেন, গরু পালন করতে শীত মৌসুমে ঘাসের সংকট হয়। তাই আমার মতো অনেক খামারিই আমন মৌসুমে খড় কিনে রাখেন। লাখ টাকার খড় কিনে সারা বছর গরুকে খাওয়াতে হয়। বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় বরাবরের তুলনায় এবার খড়ের দাম বেশি।
তিনি আরও বলেন, এবার খড়ের দাম দেখে মনে হচ্ছে গরুর জন্য খড় কেনা থেকে ধান কিনে রাখা ভালো। ধান যেখানে হাজার টাকা মণ, সেখানে এক ভ্যান (১০০ গোছা) খড় কিনতে ভ্যান ভাড়াসহ দিতে হচ্ছে ধানের দ্বিগুণ দাম। এমন চলতে থাকলে আমাদের মতো খামারিদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যাবে।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান আজাদ সকালের সময়কে বলেন, 'কৃষকরা এখন ধানের চেয়ে খড়ের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়েছেন। অনেকে খড় বিক্রি করেই ধান চাষের খরচ তুলছেন। এখন তারা ধান চাষে আরও আগ্রহী হচ্ছেন।'
এমএসএম / এমএসএম
বালাগঞ্জে নানা কর্মসূচিতে সাঙ্গ হলো বিজয় দিবস
প্রয়াত ড হৃাম্রাউ মারমা সাপ্তাহিক ক্রিয়া অষ্টপরিস্কার ও মহাসংঘদান অনুষ্ঠিত
নৌকার জীবন পেছনে ফেলে শেষ বয়সে স্থায়ী আশ্রয় পেলেন রায়গঞ্জের বৃদ্ধ দম্পতি
উল্লাপাড়ায় বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ
কোনাবাড়ীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
মহেশখালীতে নিশি রাতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ২ জন
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রাণীনগরে গ্রাম্ আদালতের ভিডিওশো অনুষ্ঠিত
আনোয়ারায় ইছামতী খাল থেকে নিখোঁজ আবু সৈয়দের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
বিজয় মেলায় মধুখালী প্রেসক্লাবের ব্যতিক্রম উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে কলম বিতরণ
রাণীশংকৈলে আ'লীগ নেতা প্রশান্ত গ্রেপ্তার
বড়লেখা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন