ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পিডব্লিউডি এর কয়েকজন স্টাফের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ


জাহাঙ্গীর আলম শাহীন photo জাহাঙ্গীর আলম শাহীন
প্রকাশিত: ৮-২-২০২৫ রাত ১০:৩

আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইন সহায়তা কেন্দ্রের রহমতউল্লাহ, বাদল, সম্রাটসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ। 

 আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইন সহায়তা  কেন্দ্রের ভিতরে দালাল ছাড়া কোন কাজই হয় না বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সরজমিনে  দেখা যায়, রহমতুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি আইনি সহায়তা নিতে আসা সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলছে। যে আইনি সহায়তা কেন্দ্রের দালাল সিন্ডিকেটের মূল হোতা। রহমতুল্লা, বাদল, সম্রাট, মশিউর, ইউসুফসহ কয়েকজন পিডব্লিউডি অফিসে মাস্টার রুলে চাকরি করেন বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এমনকি আইন সহায়তা কেন্দ্রের অফিসের মধ্যে রহমতুল্লাহকে বেঞ্চের উপর বসে থাকতে দেখা যায়, যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। একটি সরকারি দপ্তরে অফিস চলাকালীন সময়ে কোন ব্যক্তি বেঞ্চের উপর এভাবে বসে থাকতে পারে কি? 

 আইন সহায়তা কেন্দ্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সকল কাজের জন্য এদের অধীনে প্রায় ১০০ লোক কাজ করে। সরজমিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিতর থেকে জানালা কেটে ফাঁকা জাগা দিয়ে ফাইল দেয়া- নেয়ার সময় ক্যামেরার সামনে ধরা পড়েন দালাল সম্রাট। জানতে চাওয়া হল আপনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিতর কি করেন, জবাব না দিয়ে সামনে থেকে শটকে পড়েন। আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইন সহায়তা কেন্দ্রের লিফটের মধ্যে এবং নিচের ফ্লোরে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অনেকগুলো ফাইল হাতে নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়, বাদল তার অন্যতম সহযোগী 
 রহমতউল্লাহ নিজেকে পিডব্লিউডি'র স্টাফ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই কয়েকজনের  সিন্ডিকেটের অধীনে প্রায় ১০০ দালাল প্রতিদিন পররাষ্ট্র ও আইন সহায়তা কেন্দ্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিএমএ ভবনের সামনে নোটারি পাবলিকের নামে মনছুরকে ভুয়া সিল,প্যাডসহ ডিবি তাকে হাতেনাতে ধরে, এই মনসুরের অন্যতম সহযোগী  রনি। দৈনিক বাংলার দালাল আকাশ, রুবেল, রুহুল আমিন ও জয়নাল।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসক্লাবের সামনের কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রহমত উল্লাহ, সম্রাট, বাদলসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেটের অধীনে প্রায় ১০০ জন দালাল পররাষ্ট্র ও আইনি সহায়তা কেন্দ্রে কাজ করে । যারা প্রতিদিন পররাষ্ট্র ও আইন সহায়তা কেন্দ্র থেকে কয়েকটি ফাইল আটেস্টেড করে নিয়ে এসে অন্যান্য ফাইল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অ্যাটেস্টেটসহ পররাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক যত কাজ আছে সবগুলোই এই সিন্ডিকেটের মূল হোতারা নিজের বাসা থেকে জালিয়াতের মাধ্যমে ভুয়া সীলসহ অ্যাটেস্টেড করে নিয়ে আসেন।এদের মধ্যে কয়েকজনকে ডিভি পুলিশ একাধিকবার হাতেনাতে ধরেছিল। তারা আরো বলেন, প্রত্যেকটা ফাইল থেকে ১ হাজার ৫  শত থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেন ।  দালাল সম্রাট,  রহমতউল্লাহ, বাদল,আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিতর থেকে দীর্ঘদিন যাবত দালালি ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ সকল অবৈধ কাজের সাথে পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত না থাকলে কিভাবে তারা এ কাজ গুলো করতে পারে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন সহায়তা কেন্দ্রে 
আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া এবং দালালদের উপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য জানতে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃখালিদ মুনছুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি 'দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, আমরা কোন অনৈতিক কাজের পক্ষে না।যে কোনো সময় দালাল সনাক্ত করে থানাতে ফোন দিলে অফিসাররা সেখানে গিয়ে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসবে( চলবে)

এমএসএম / এমএসএম

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ

পিডব্লিউডি এর কয়েকজন স্টাফের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ

অবশেষে সেই মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট

তুরাগ নদীতে মাটি খেকো চক্র বেপরোয়া

আদম পাচারের ফাঁদ পেতে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ

এলজিইডিতে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে!

প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার চাকরি বাঁচাতে মরিয়া,দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন

দুর্নীতির শীর্ষে ২৪ তম বিসিএস ক্যাডারের অনেকেই

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১০০ কোটি টাকার এফএমডি ভ্যাকসিন ক্রয়ে ভয়ংকর অনিয়ম

সংবাদ প্রকাশ করায় কন্ঠরোধের অপচেষ্টা