ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বেনাপোলে ঘোষণাবর্হিভূত মটরপার্টসের চালান জব্দ


সুমন হোসাইন, শার্শা photo সুমন হোসাইন, শার্শা
প্রকাশিত: ১৬-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৩২

বেনাপোল বন্দরে ঘোষণাবর্হিভূত ৩ কোটি টাকার একটি পণ্য চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তথ্যে আমদানিকৃত পণ্য চালানটিতে ঘোষণাবর্হিভূত ১ হাজার ৭২১ কেজি  পণ্য বেশী রয়েছে বলে জানা গেছে। জরিমানা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়ে হয়েছে দেনদরবার। 
 
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, ঘোষণাবর্হিভূত জব্দকৃত পণ্য চালানটির আমদানিকারক যশোরের“সামিরা ট্রেডিং  এবং পণ্য খালাসের দ্বায়িত্বে রয়েছে বেনাপোলের বিতর্কিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওভারসীস ট্রেডিং কর্পোরেশন।

সূত্র জানায়, বেনাপোলে গত ২-সেপ্টেম্বর বন্দরের ২৭ নং পণ্যগারে ভারতীয় দুটি ট্রাকে ২ হাজার ৩৯৪ প্যাকেজ মোটরসাইকেল পার্টস রাখা হয়। যার মেনিফেস্ট নাম্বার-৬০১-২০২৫-০০২০০৫৫৭৪৭ এবং ওজন ৩৪টন ৩৩৯ কেজি। কাস্টমস ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পণ্যের চালানটির ইনভেন্টরির সময় ঘোষিত ওজন থেকে ১ হাজার ৭২১ কেজি ঘোষণাবর্হিভূত পণ্যের ওজন বেশি পায়। প্রাথমিক অবস্থায় মিথ্যা ঘোষণায় দিতে আনা অতিরিক্ত পণ্যের ওজন বেশি থাকায় পণ্য চালানটি জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

 পণ্য চালনটি পরীক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মনিউর রহমান পণ্য চালানটি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান,ফাইল না দেখে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বলা যাবেনা। কত টাকা জরিমানা হতে পারে জানতে চাইলে বলেন,শুল্কায়ন গ্রুপে খোঁজ নেন। তার এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষণ রিপোর্ট দেওয়ার পরই পণ্যর শুল্কায়ন করা হয়ে থাকে। তাহলে কেন তিনি শুল্কায়ন গ্রুপে খোঁজ নিতে বললেন। যা নিয়ে সৃস্টি হয়েছে ধম্রুজাল। 

আইআরএম রাজস্ব কর্মকর্তা মনিউর রহমানের কাছ থেকে বক্তব্য নেওয়ার পরপরই শুল্কফাঁকির সিন্ডিকেট হোতা এ প্রতিবেদককে কল করে নিউজ করতে নিষেধ করেন এবং তিনি দেখা করতে বলেন। তিনি জানান ‘পণ্য চালানটি তার জামাই ও ছেলের। ওভারসীস ট্রেডিং করপোরেশন লাইসেন্স তার নিজের কি না জানতে চাইলে বলেন আমি এই লাইসেন্সে কাজ করি’। 

এবিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মুশফিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি পণ্য চালানটি জব্দের বিষয়টি  অবগত নন বলে জানান।

আমদানি পণ্য জব্দের বিষয়টি জানতে,পণ্য চালান খালাশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওভারসীস ট্রেডিং কর্পোরেশনের (পাটনার) মালিক ফিরোজা বেগমের সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে,বেনাপোল কাস্টমস (আইআরএম)-এর রাজস্ব কর্মকর্তা মনিউর রহমানের যোগসাজসে পণ্যে পরীক্ষণের জন্য সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা নাঈম ও সোহেলকে প্রাথমিকভাবে সেখানে পাঠান। প্রথমে কারসাজির মাধ্যমে ৪০০ কেজি ওজন বেশি আছে বলে পরীক্ষণ সম্পাদিত করা হয়। যা ঘোষিত পণ্য চালানের ৫ পারসেন্ট কম। কিন্তু গোয়েন্দা তৎপরতায় ওই পণ্য চালানটি ইনভেন্টরি করে ১ হাজার ৭২১ কেজি পেয়েছে যা মিথ্যা ঘোষণা।

দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে (আইআরএম)-এর আইওয়াশে নাম মাত্র পরীক্ষণে বেনাপোল বন্দরে পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী বড় বড় চালান শুল্ক ফাঁকি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও একটি সূত্র জানিয়েছে বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তাদের যে কোন সময় বদলির আদেশ আসতে পারে। এজন্য তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোলের একটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে স্থলবন্দরের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাগজপত্র বিহীন অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

২৭ নং সেড ইনচার্জ কে এম নাহিদুজ্জামানের কাছে পণ্য চালানের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমি সেডের বাইরে আছি খাতা দেখে বলতে হবে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের ইনভেন্টরি করেছেন। 

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাজস্ব কর্মকর্তা মনিউর রহমান দীর্ঘ ১ বছর ধরে (আইআরএম) শাখায় দায়িত্বে রয়েছেন। যেখানে ৬ মাসের বেশি সময় কাওকে রাখা হয়না। অভিযোগ রয়েছে তার সহায়তায় বেনাপোল বন্দরের শুল্ক ফাঁকি চক্রের সদস্যরা নিজ নামীয় (লাইসেন্স) থাকা সত্বেও শুল্ক ফাঁকি দিতে ভাড়া করা লাইসেন্স ব্যবহার করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘোষণা বর্হিভূত বা মিথ্যা ঘোষণায় ভারত হতে আনা আমদানি পণ্য চালান অনায়াসে বন্দর হতে পণ্য খালাস নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এমন কয়েকটি পণ্যের চালান দুই দেশেই ধরা পড়েছে। তাছাড়া এই পণ্যে চালানটি নতুন করে ইনভেন্টরি করলে ওজন আরও বেশি হবে বলে জানান। তাছাড়া এই ২৭ নং শেডে এই সিঅ্যান্ডএফ একাধিক কনসারমেন্ট এখনও মজুদ আছে। তার সাথে এই চালানের প্যাকেজ মিশিয়ে রাখতে পারে। এসব অবৈধ কাজের জন্য শেড ইনচার্জ নাহিদকে একটি রয়েল ইনফিল্ড মটরসাইকেল গিফট করেছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। 

উল্লেখ্য,একই সাথে এই ওভারসীস ট্রেডিং কর্পোরেশন লাইসেন্সে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৪ মাসে ৮০টি আমদানি পণ্যের কনসাইনমেন্ট খালাশ হয়েছে। এসব খালাশ কনসাইনমেন্ট খতিয়ে দেখার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল কাস্টম কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনকে মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা দিলেও তিনি কোন উত্তর দেননি। 

 

এমএসএম / এমএসএম

কুমিল্লায় পূজায় সাইবার টিম সহ বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থাঃ পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ

সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বেনাপোল দিয়ে আগামীকাল আমদানি-রফতানি বন্ধ

গলাচিপা হরিদেবপুর খেয়াঘাটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

রহমাতুননেছা শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন'র উদ্যেগে চারা বিতরন

সভাপতির পদত্যাগ ও অধ্যক্ষের দূর্নীতির বিচার দাবিতে মানববন্ধন

বাদীর হাতে খুন বিবাদী

বিজয়ী হলে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবেঃ শাহজাহান ইসলামাবাদী

চাঁদপুর মেডিকেলে এই প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও বিজ্ঞান মেলা

দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে বাঁশখালীতে পুলিশের মতবিনিময়

মান্দায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

অযৌক্তিক ৩ দফা দাবির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে কারিগরি ছাত্র অধিকার পরিষদের 'লাল অঙ্গীকার' কর্মসূচি পালিত

কুড়িগ্রামেনদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত