ঢাকা শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

নিয়ামতপুরে ধানক্ষেতে ঝা‍ঁকে ঝাঁকে বক পাখির আনাগোনা


নিয়ামতপুর প্রতিনিধি  photo নিয়ামতপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪-২-২০২২ দুপুর ৩:২৬
ঝাঁকে ঝাঁকে কানি সাদা বক, কীটপতঙ্গ পুঁটি মাছে লোভাতুর চোখ করে চক চক। উঁচিয়ে দীর্ঘ গলা মত্ত যখন শিকারের নেশায় ফেলে পা, জানে না পড়বে কখন কার পাতা ফাঁদে। অজানা শঙ্কা ভয়ে ছম ছমে গা, খাবার খেতে গিয়ে নিজে হয় অন্যের খাবার তাতে যায় আসে কার। উড়ে যায় সাঁঝ বেলা ডানা ঝাপটে আকাশ নীলিমায় রেখে যায় চিহ্ন ঝরে পরে পালক নদী বিল জলাশয়ে। অবাক বিস্ময়ে সৌন্দর্য খোঁজে বুড়ো, যুবক, যুবতী, বালক কবি ইকবাল কবীর রনজুর বক কবিতায় ঠিক এভাবেই ব্যক্ত করেছেন বকের করুণ পরিণতি।
 
বোরো মৌসুমে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ফসলের মাঠে চলছে চাষ ও ধান রোপণ। সেচের পর জমিতে পাওয়ারটিলার দিয়ে চাষ হচ্ছে। সেচ ও চাষের সময় মাটিতে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড় উঠে আসে। সেসব পোকা খেতে জমিতে বাড়ছে বকের আনাগোনা। বোরো ধানক্ষেতে আসছে সাদা, ধূসর রংয়ের বকের সারি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবারের খোঁজে জমির ওপর উড়ে বেড়ায় তারা। বকের পাশাপাশি ফিঙ্গে-শালিক ওড়াউড়িও চোখে পড়ার মতো। সুযোগ পেলেই জমিতে নেমে পড়ে খাবারের খোঁজে। নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ী, হরিপুর, দারাজপুর, রাজাপুর, রশিদপাড়া, শ্রীমন্তপুর, ফুলহারা, ফুলহারা বড় সমাসপুর মাঠের ধানক্ষেতে দেখা মেলে প্রচুর বক। জমিতে নেমে পোকামাকড় ধরে গিলে ফেলে তারা।
 
উপজেলার ফুলহারা গ্রামের নূরুন নবী জানান, আমাদের এখানে মাঠঘাটে প্রচুর বক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ফসলি জমির মাঠে ও বাঁশঝাড়ে। ‍এই মুহূর্তে শামুকখোলা ও কানি বকের সংখ্যাই বেশি।
 
তিনি আরো জানান, ধূসর রংয়ের বক স্থানীয়দের কাছে কানি বক নামে পরিচিত। এরা একা একা কীটপতঙ্গ ধরে খায়। আর সাদা বক দলবদ্ধভাবে উড়ে বেড়ায়। ঝাঁকে ঝাঁকে কৃষি জমির উপর দিয়ে উড়ে বেড়ায়। পানি আছে এমন জমিতে গিয়ে বসে।
 
দারাজপুর গ্রামের রানা বাবু জানান, এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে পরিমাণ বক দেখা যেত, বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফসলি জমিতে বক বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখন চিরন্তন বাংলার সাহিত্য অলংকার ও গ্রামের ঐতিহ্য অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক এই সাদা বক আগের মতো আর দেখা মেলে না। পাখিটি বৈষয়িক পরিবেশ দূষণ, লোভী পাখি শিকারিদের ক্রমশ ফাঁদে পড়ে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
 
উপজেলা কৃষি অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, কৃষির জন্য বক অনেক উপকারী। সুন্দর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বাঁচিয়ে রাখার জন্যে আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহারের বিকল্প নেই। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে শস্য উপকারী পাখি ফসলি জমি থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় নির্ভয়ে খেয়ে ফেলতে সুযোগ পাবে। এতে মাটি তার পরিপূর্ণ পুষ্টিতা পাবে, ফসল ফলবে ভালো। আর কৃষক হবে লাভবান। অন্যদিকে রক্ষা হবে দেশি বক পাখির অভয় নিবাস।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বক আমাদের একটা প্রাকৃতিক বন্ধু। বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে। যাতে বিষাক্ত মাছ ও পোকামাকড় খেয়ে বক পাখি না মারা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় চুরি-ছিনতাই অভিযুক্ত হিজবুল্লাহ জামিনে মুক্ত; সাধারণ মানুষ আতঙ্কে

বেনাপোল সীমান্ত থেকে উইনকোরেক্স সিরাপ ও ফেন্সিডিল আটক

শাহজাদপুরে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

হাটহাজারীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্প্রীতি সমাবেশ

বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে মাদকসহ ১ জন গ্রেপ্তার: ৭০০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ৩টি বিদেশী ওয়ান শুটার গান ও গুলি উদ্ধার

ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর

মোহনগঞ্জে গাঁজাসহ তিন মাদককারবারি গ্রেফতার

প্রতারণার বিচার চাওয়ায় কুয়েত প্রবাসীকে প্রাণনাশের হুমকি, সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ

রেল শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি মানতে হবে: লুৎফর রহমান

ছারছীনা দরবার শরীফে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ১৩৫তম ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল

চারঘাট-বাঘায় উন্নয়ন অঙ্গীকার ও নির্বাচন বার্তা দিলেন আবু সাঈদ চাঁদ

কল্যাণ বোর্ডকে আয়বর্ধক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে': মহাপরিচালক তাসলিমা কানিজ নাহিদা