থইথই পানিতে চরম দুর্ভোগে সিলেটবাসী

অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট। পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। সিলেট জেলা ও মহানগরের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় দিতে ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের মধ্যে ১২৯ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার বস্তা শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত মঙ্গলবার (১০ মে) রাত থেকেই সিলেটে ভারি বর্ষণ শুরু হয়। এখনো তা চলমান। বুধবার (১১ মে) থেকেই সিলেটের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে শুরু করে। বর্তমানে থেমে থেমে পানি বেড়ে সিলেটের বেশিরভাগ এলাকাই এখন ভাসছে বন্যায়। জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, জেলার ছয়টি উপজেলা বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পানি উঠে গেছে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায়ও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সিলেটের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত পাঁচ দিনে ১২৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে সিলেটেও। ফলে দ্রুত বাড়ছে নদনদীর পানি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি অমলসীদ ও কানাইঘাট পয়েন্টে প্রায় ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সিলেট সদরে ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানির তোড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই ভেঙে গেছে ২০টি নদীরক্ষা বাঁধ। এছাড়া কুশিয়ারা, সারি ও গোয়াইন নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানান, পানি এত বেশি আসছে যে, আমাদের বাঁধগুলো উপচে পড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি অতিরিক্ত থাকায় আমরা সংস্কারকাজও করতে পারছি না।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
মঙ্গলবার (সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, প্রতি মিনিটেই বাড়ছে পানি। নগরীর অন্তত ২০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে এসব এলাকার সড়ক। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসেও পানি উঠে গেছে। দুপুরে নগরীর তালতলা এলাকার সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি জমে গেছে। পানির কারণে সড়কজুড়ে ছিল দীর্ঘ যানজট। পানি ঢুকে কারো কারো গাড়িতে দেখা দিয়েছে ত্রুটি।
সিলেট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় পানিবন্দি রয়েছেন ১৩ থেকে ১৫ লাখ মানুষ। সোমবার রাতে ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ ছিল ৫০০ জন। মঙ্গলবার সকালে তারা চলে গেছে। এ পর্যন্ত আমরা ১২৯ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য নগরে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া দুটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। নগরে শুকনো খাবার বিতরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, প্লাবিত প্রতি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।
জামান / জামান

ভূরুঙ্গামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে রাণীশংকৈলে জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ

জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই বেশিরভাগ দুর্নীতির সাথে জড়িত: ডিসি মোঃ ইসরাইল হোসেন

চাঁদপুরে পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার

আত্রাইয়ে ৫ দফা দাবিতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফুলছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এতিম খানায় দুপুরের খাবার ও দোয়ার আয়োজন করলো মানবিক করিম টিম

১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পুনর্জাগরণ

খাগড়াছড়িতে দুর্গাপূজাকে ঘিরে জন নিরাপত্তায় র্যাবের টহল

নির্বাচনে খুনী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সাথে নতুন ভোটারদের লড়াই হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আলীপুর মুমিন পাড়া সড়কটি যুগের পর যুগ উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত
