ঢাকা শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যমুনায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা


নিজস্ব সংবাদদাতা photo নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২৩-৫-২০২২ সকাল ৯:১৬

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো বিপদসীমার ১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের কারণে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বোরো ধান, বাদাম, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসল। ২-৩ দিনে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে ২৫ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া সদর উপজেলার শিমলা, চড়চাপড়ি, বালী ঘুরকি, মাটিয়াপুর এলাকায় নদীভাঙনে ব্যাপক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

অন্যদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী, উত্তর চরপৌলী, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর, হাট আলীপুর, ভৈরব বাড়ি, বিনোদ লুহুরিয়া, কুর্শাবেনু গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার ডান তীরে পাউবো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় এবং যমুনার মাঝখানে নতুন চর জেগে ওঠার কারণে বাম তীরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

চলতি বছর বর্ষার আগেই গত এক সপ্তায় তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। গত দুদিনে ওই এলাকার তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার ভাটিতে নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখে (অফটেকে) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চারটি পৃথক লটে ২৩৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় ১৫৩০মিটার গাইড বাঁধ (অফটেক বাঁধাই) নির্মাণ করে। এরপর যমুনার মাঝ বরাবর নতুন চর জেগে ওঠায় পানির তীব্র স্রোতের ফলে গাইড বাঁধের ১ নম্বর লটের বিভিন্ন অংশে ইতোমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। অফটেকের ভাটিতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে আলীপুর, হাট আলীপুর, ভৈরব বাড়ি, বিনোদ লুহুরিয়া, কুর্শাবেনু, চরপৌলী ও উত্তর চরপৌলী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দু-তিন দিনে এসব এলাকার পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনকবলিতরা অন্যের বা আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ কেউ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনের আশঙ্কায় ওই এলাকায় বসবাসকারীরা বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড গত কয়েক বছর এলাকা রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে (ভাঙনের সময়) জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও ভাঙনের ফলে নদীর সীমানা গত বছরের চেয়ে ২৫০ মিটার পূর্ব দিকে সরে এসেছে। এখন হাট আলীপুর মসজিদ, হাই স্কুল, মাদ্রাসা ও হাট আলীপুর বাজার এবং চরপৌলী মিন্টু মেমোরিয়াল হাই স্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় ওই প্রতিষ্ঠানগুলো করালগ্রাসী যমুনা গিলে খাবে।

জামান / জামান

ভূরুঙ্গামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে রাণীশংকৈলে জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ

জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই বেশিরভাগ দুর্নীতির সাথে জড়িত: ডিসি মোঃ ইসরাইল হোসেন

চাঁদপুরে পরিত্যক্ত রান্নাঘর থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার

আত্রাইয়ে ৫ দফা দাবিতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফুলছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এতিম খানায় দুপুরের খাবার ও দোয়ার আয়োজন করলো মানবিক করিম টিম

১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পুনর্জাগরণ

খাগড়াছড়িতে দুর্গাপূজাকে ঘিরে জন নিরাপত্তায় র‌্যাবের টহল

নির্বাচনে খুনী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সাথে নতুন ভোটারদের লড়াই হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আলীপুর মুমিন পাড়া সড়কটি যুগের পর যুগ উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত

ঝিনাইদহে ৫ দফা দাবীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ