সলঙ্গায় মহাসড়কের পাশে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় মহাসড়কজুড়েই রয়েছে চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। খুপড়ি ও টিনের ছাপড়া ঘরের সামনে কিছু তেলের ড্রাম আর পাইপ ঝোলানো দেখলেই চুরি করে তেল বিক্রি করে দেয় অসাধু চালক। এসব অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে একটি চাঁদাবাজ চক্র।
সরেজমিন দেখা যায়, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিবেশে দোপাকান্দি, সিআরবিসি, হাটিকুমরুল, সাহেবগঞ্জ, ঘুড়কা, হরিণচরা, চড়িয়া শিকার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এসব ঝুপড়ি বা টিনের ছাপড়া ঘরের পেছনে কালো পর্দার আড়ালে একই কায়দায় পণ্যবাহী গাড়ি থেকে নামানো হয় বিপুল পরিমাণ তেল, ভুট্টা, রড, সিমেন্ট, কয়লা, লোহার শিট, চাল, আলু, এমনকি পাথরও। প্রতিরাতেই নামে লাখ লাখ টাকার তেল ও পণ্যসামগ্রী, যা স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
ভোজ্য ও জ্বালানি তেল নামানো হয় এ রোডগুলোতে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈধ তেল ব্যবসায়ী ও পণ্য ডিলার, পাম্প ও পরিবহন মালিকরা। তবে রহস্যজনক কারণে বৈধ ব্যবসায়ীরােএসব বন্ধের সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
ঢাকা-বগুড়া মাহাসড়কের ধোপাকান্দি এলাকার শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, রুহুল আমিন, আব্দুল আলিম, পাঁচলিয়া এলাকার সামিদুল ইসলাম, বগুড়া-পাবনা-নগড়বাড়ী রোডে জালাল উদ্দীন, আব্দুল গনি এরশাদুল ইসলাম ও বোয়ালিতে রয়েছে একটা। বগুড়া রোডে রয়েছে সোহেল রানা, মাদক ব্যবসায়ী লিটনসহ পাপিয়া হোটেল পর্যন্ত আরো কমপক্ষে ১৭টি নাম না জানা চোরাই তেলের পয়েন্ট।
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সিআরবিসিতে এমন চোরাই তেল ব্যবসায়ীর মধ্যে রয়েছে মামা-ভাগ্নে হোটেলের সাইদুল ইসলাম, আল্লার দান হোটেলের হাফিজ, ওয়াজেদ আলী, মায়ের দোয়া হোটেলের পাশে কথিত সাংবাদিক নামধারী ভুয়া সাংবাদিক ও তেল চোর সানোয়ার হোসেন। সাংবাদিককতার আইডি কার্ড ও মোটরসাইকেলে স্টিকার লাগিয়ে করে যাচ্ছে নানা অপকর্ম। চড়িয়া শিকার কালিবাড়ী গ্রামের সোহাগ মিয়া, হরিণচড়া বাজারের লামিয়া পাম্পের পাশে সুজাব, সাইফুল ও আলাউদ্দিনের, ইলিয়াসসহ বেশ কয়েকটি এবং নাম না জানা প্রায় ডজনখানেক অবৈধ চোরাই তেল কারবারি রয়েছে।
এসব চোর সকাল থেকে শুরু করে সারারাত দোকানে প্রকাশ্যে চোরাই তেল নামানোর কাজ করে। অন্যদিকে এসব দোকান থেকে স্থানীয় হাট-বাজারে সরবাহের দৃশ্য চোখে পড়ে প্রকাশ্যেই। রহস্যজনক কারনে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরো প্রসারিত হচ্ছে, শক্তিশালী হচ্ছে তাদের সিন্ডিকেড।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা এসব স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলেন। আর এ কারণেই অবাধে চলে এমন চোরাই তেলের বাণিজ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-বনপাড়া ও ঢাকা-বগুড়া -নগরবাড়ী মহাসড়ক। এই চারটি মহাসড়কে চোরাই তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য ও চোরাই তেল সিন্ডিকেট এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে চোরাই তেল ব্যবসায়ী আব্দুল গনির সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, প্রশাসন ও সবাইকে ম্যানেজ করে গাড়ি থেকে তেল নামাই। আপনি কিছু করতে পারবেন না। প্রশাসনের লোক হারিকেন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, আর এ তো আপনি।
তবে শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম সামিদুল ইসলাম, মাহফুজ ও তার ছেলে আরিফ অবৈধ তেল ব্যবসার পসরা বসিয়েছে। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ও পুলিশকে ম্যানেজ করে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা চালাচ্ছে। মাঝেমধ্যে থানার মাসোয়ারা দিতে দেরি হলেই বন্ধ করে দেয়া হয় এসব দোকান- এমনটাই দাবি অবৈধ তেল ব্যবসায়ীদের ।
একই চিত্র মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ, ঘুড়কা, হাটিকুমরুলসহ ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে। প্রতিটি স্পটে এসব কারবার চলে গোপন লেনদেনের অলিখিত অনুমোদনে।
রহস্যজনক কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরো প্রসারিত হচ্ছে। শক্তিশালী হচ্ছে তাদের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় কিছু পুলিশের অসাধু সদস্য, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা এসব স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলেন। আর এ কারণেই অবাধে চলে এমন চোরাই তেলের বাণিজ্য।মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-বগুড়া-রাজশাহী বোনপাড়া-পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে প্রায় ৮০-৯০ চোরাই তেল পয়েন্টে তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এসব চক্র প্রশাসনের অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
চোরাই তেল ব্যবসায়ী আব্দুল গনি বলেন, মালবাহী ট্রাকের চালক ও আমাদের উভয়পক্ষের সমঝোতায় টাকা দিয়ে তেল ক্রয় করি। এখানে চোরাই বলে কিছু নাই। তেল বিক্রির অনুমোদন আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো বৈধ কাগজপত্র বা লাইসেন্স নেই। তবে এসব দোকান চালাতে গিয়ে অনেককেই খুশি করতে হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, শিগগিরই এসব অবৈধ চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের খুপড়ি ঘর উচ্ছেদে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএএম বদরুল কবির বলেন, মহাসড়কের আশপাশে কিছু অবৈধ চোরাই তেল ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। কিছু নজরদারিতে রাখা হয়েছে। হাতেনাতে ধরতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মামলা দেয়া হবে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন যদি চোরাই তেলের পয়েন্ট থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এমএসএম / জামান

গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী পালিত কর্মসূচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড

লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন
Link Copied