আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কামার শিল্প
যুগের বিবর্তন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কামার শিল্প। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন কামাররা।একসময় যেখানে লোহা পেটানোর টুং-টাং শব্দে গমগম করতো,শোনা যেত হাপরের হিস হিস শব্দ সেখানটা আজ সুনসান নিরব৷ মাঝে মাঝে হঠাৎ বাতাসে ভেসে আসে ধোঁয়ার গন্ধ তীক্ষ্ণভাবে কান পাতলে শোনা যায় লোহা পেটানোর শব্দ৷
অগ্রহায়ন ও পৌষ মাসে যেখানে কৃষকদের ধান কাটার কাস্তে তৈরীরে ব্যস্ত থাকার কথা তখন অলস সময় পার করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কামারপট্টির কামাররা৷ সরেজমিনে গতকাল (২১জানুয়ারী) শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কের কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়,বেশিরভাগ দোকানে হাপরের (হাপর হচ্ছে কামারদের ব্যবহৃত এক ধরনের বাতাস প্রবাহিত করার ব্যবস্থা যার দ্বারা কয়লার আগুন-কে উস্কে রাখা হয়। এই আগুনে ধাতব, প্রধানত লোহা, গরম করে তাকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারের জিনিস তৈরি হয়) চুলা বন্ধ৷ মাত্র দুটি দোকানে জ্বলছে হাপর৷
বিদেশি ধানকাটা মেশিনের প্রভাব এবং চাইনিজ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে কামারশিল্প সংকটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷বেচাকেনা করে খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা,বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে তাদের দোকান ও সংসার৷ একাধিক কামারশিল্পীর দাবি,মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমে যাওয়াও এই শিল্পে সংকটের অন্যতম একটা কারন৷
কামারপট্টিতে হাপরে বসে বটি তৈরী করছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুভাষ দেব তিনি খবরের কাগজকে বলেন,আমি পারিবারিকভাবে এই পেশায় আছি গত ত্রিশ-চল্লিশ বছর ধরে৷ এত খারাপ সময় আমাদের আর কখনো যায় নি,গত মাসখানেক ধরে আমাদের ধান কাটার কাস্তে,দা এগুলো বানানোর মৌসুম চলছে কিন্তু গত একমাসে প্রতিদিন দোকানে বউনী (প্রতিদিনের প্রথম বিক্রি কে বউনী বলা হয়) পর্যন্ত হয় নি৷ এখন নানান ধরনের মেশিন আসছে বাজারে এগুলো দিয়ে কাস্তে ছাড়াই ধান কাটা যায় তাই আমাদের আর কাস্তে বানানো লাগেও না কেউ বানায়ও না৷
আরেক কামারশিল্পী অপূর্ব দেব সকালের সময়কে বলেন,আগে গৃহস্থালীতে ব্যবহারের জন্য প্রচুর দা,বটি,চাকু,ছুরি কুড়াল এসব বানাতে হতো৷ এখন বাজার দখল করে নিয়েছে চাইনিজ ছুরি,চপার এগুলো৷ মানুষ এখন চপিং বোর্ডে চপার দিয়ে জিনিসপত্র কাটাকুটি করে যার কারনে আমাদের তৈরী করা জিনিসের কদর এখন আর নেই৷
পিনাক কর্মকার জানান,নিড়ানি, কোদাল, লাঙলের ফলা, শ্রমিকের কুঠার, শাবল, দা, এগুলো আমরা তৈরি করি। আধুনিক মেশিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এগুলোর চাহিদা কমেছে। অনেক সময় এগুলো তৈরির কাঁচামাল কিনতে ঋণগ্রস্ত হতে হয়। ঋণের বোঝায় আমাদের সংসার চালাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছি। দিনদিন এ পেশায় মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন অথবা বংশপরম্পরায় কেউ কামার পেশায় আসবে না।এদিকে কামারশিল্পীদের দোকানগুলোতে তাঁদের সাথে কথা বললে তারা জানান,এই পেশায় বর্তমানে কোন ধারাবাহিকতা নেই একদিন একহাজার টাকা বিক্রি হলে আবার দু-তিনদিন কোনো বেচাকেনাই হয় না।
একসময় শ্রীমঙ্গলের কামারশিল্প সমৃদ্ধ থাকলেও এখন তা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরে অনেক বেশি দোকান থাকলেও এখন আছে মাত্র ৬ থেকে ৮টি।
এমএসএম / এমএসএম
We Make Mistakes এর Competition-13 এর সর্বোচ্চ পুরস্কার পেলো মাগুরা পুলিশ লাইনস্ হাই স্কুল
মনপুরার মেঘনায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদীতে নেমেছে শত শত জেলে
রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান মিলনের মাদকবিরোধী র্যালি ও মানববন্ধন
রায়পুরে নিম্নমানের তুলা ও ঝুট দিয়ে তৈরি নকল স্যানিটারি প্যাড
শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, ভিকটিমের খালাসহ গ্রেফতার ২
ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ নদী ১৪০ কোটি টাকার পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন
ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কৃষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনে চমক সৃষ্টি করেছেন চৌগাছার কৃষকেরা
নেত্রকোনায় খায়েরবাংলা ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন- চ্যাম্পিয়ন দিগজান একাদশ
জমি বিরোধের জেরে টুঙ্গিপাড়ায় দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট
গজারিয়ায় রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১