ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কামার শিল্প


রাজেশ ভৌমিক (শ্রীমঙ্গল) photo রাজেশ ভৌমিক (শ্রীমঙ্গল)
প্রকাশিত: ২৪-১-২০২৪ দুপুর ৩:৫৮

যুগের বিবর্তন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কামার শিল্প। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন  কামাররা।একসময় যেখানে লোহা পেটানোর টুং-টাং শব্দে গমগম করতো,শোনা যেত হাপরের হিস হিস শব্দ সেখানটা আজ সুনসান নিরব৷ মাঝে মাঝে হঠাৎ বাতাসে ভেসে আসে ধোঁয়ার গন্ধ তীক্ষ্ণভাবে কান পাতলে শোনা যায় লোহা পেটানোর শব্দ৷

অগ্রহায়ন ও পৌষ মাসে যেখানে কৃষকদের ধান কাটার কাস্তে তৈরীরে ব্যস্ত থাকার কথা তখন অলস সময় পার করেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কামারপট্টির কামাররা৷ সরেজমিনে গতকাল (২১জানুয়ারী) শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কের কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়,বেশিরভাগ দোকানে হাপরের (হাপর হচ্ছে কামারদের ব্যবহৃত এক ধরনের বাতাস প্রবাহিত করার ব্যবস্থা যার দ্বারা কয়লার আগুন-কে উস্কে রাখা হয়। এই আগুনে ধাতব, প্রধানত লোহা, গরম করে তাকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারের জিনিস তৈরি হয়) চুলা বন্ধ৷ মাত্র দুটি দোকানে জ্বলছে হাপর৷

বিদেশি ধানকাটা মেশিনের প্রভাব এবং চাইনিজ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে কামারশিল্প সংকটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷বেচাকেনা করে খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা,বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে তাদের দোকান ও সংসার৷  একাধিক কামারশিল্পীর দাবি,মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমে যাওয়াও এই শিল্পে সংকটের অন্যতম একটা কারন৷

কামারপট্টিতে হাপরে বসে বটি তৈরী করছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুভাষ দেব তিনি খবরের কাগজকে বলেন,আমি পারিবারিকভাবে এই পেশায় আছি গত ত্রিশ-চল্লিশ বছর ধরে৷ এত খারাপ সময় আমাদের আর কখনো যায় নি,গত মাসখানেক ধরে আমাদের ধান কাটার কাস্তে,দা এগুলো বানানোর মৌসুম চলছে কিন্তু গত একমাসে প্রতিদিন দোকানে বউনী (প্রতিদিনের প্রথম বিক্রি কে বউনী বলা হয়) পর্যন্ত হয় নি৷ এখন নানান ধরনের মেশিন আসছে বাজারে এগুলো দিয়ে কাস্তে ছাড়াই ধান কাটা যায় তাই আমাদের আর কাস্তে বানানো লাগেও না কেউ বানায়ও না৷

আরেক কামারশিল্পী অপূর্ব দেব সকালের সময়কে বলেন,আগে গৃহস্থালীতে ব্যবহারের জন্য প্রচুর দা,বটি,চাকু,ছুরি কুড়াল এসব বানাতে হতো৷ এখন বাজার দখল করে নিয়েছে চাইনিজ ছুরি,চপার এগুলো৷ মানুষ এখন চপিং বোর্ডে চপার দিয়ে জিনিসপত্র কাটাকুটি করে যার কারনে আমাদের তৈরী করা জিনিসের কদর এখন আর নেই৷
পিনাক কর্মকার জানান,নিড়ানি, কোদাল, লাঙলের ফলা, শ্রমিকের কুঠার, শাবল, দা, এগুলো আমরা তৈরি করি। আধুনিক মেশিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এগুলোর চাহিদা কমেছে। অনেক সময় এগুলো তৈরির কাঁচামাল কিনতে ঋণগ্রস্ত হতে হয়। ঋণের বোঝায় আমাদের সংসার চালাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছি। দিনদিন এ পেশায় মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন অথবা বংশপরম্পরায় কেউ কামার পেশায় আসবে না।এদিকে কামারশিল্পীদের দোকানগুলোতে তাঁদের সাথে কথা বললে তারা জানান,এই পেশায় বর্তমানে কোন ধারাবাহিকতা নেই একদিন একহাজার টাকা বিক্রি হলে আবার দু-তিনদিন কোনো বেচাকেনাই হয় না।
একসময় শ্রীমঙ্গলের কামারশিল্প সমৃদ্ধ থাকলেও এখন তা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরে অনেক বেশি দোকান থাকলেও এখন আছে মাত্র ৬ থেকে ৮টি।

এমএসএম / এমএসএম

মেহেরপুর মুজিবনগর সীমান্তে ১৫ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ভূরুঙ্গামারীর রাজনীতিতে নতুন গতি:৩১ দফা নিয়ে আন্ধারিঝাড়ে বিএনপির প্রচারণা

কুড়িগ্রামে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ কর্তৃক পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার

‎কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত লাশ

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগী

হাইস্পিড গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান

বোদায় মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য কবর জেয়ারত ও পরিচালক'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত

ভবদাহ অঞ্চলে পানিবন্দি শত শত পরিবার

বারহাট্টার প্রকৃতিতে ফুটন্ত শাপলা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে

কুড়িগ্রামে দূর্গম চরাঞ্চলের দরিদ্র মহিলাদের মাঝে সেলাই/হস্তশিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন

মানিকগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী মুন্নুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চিকিৎসা সেবা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি